সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ে ঢাকা-টোকিও অঙ্গীকার

প্রকাশিত: ১:৩৯ পূর্বাহ্ণ, মে ৩০, ২০১৯

সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ে ঢাকা-টোকিও অঙ্গীকার

টোকিও: বাংলাদেশ ও জাপান সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে।

বুধবার টোকিওতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর জাপানী সমকক্ষ শিনজো আবের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় এ কথা বলা হয়। খবর বাসসের।

দ্বিপক্ষীয় আলোচনা শেষে আজ বিকেলে টোকিওতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পররাষ্ট্র সচিব মোহাম্মদ শহীদুল হক এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘দুই নেতা সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস চরম পন্থার বিরুদ্ধে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।’ ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের লেখক মো. নজরুল ইসলামও উপস্থিত ছিলেন।

পররাষ্ট্র সচিব জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ ও জাপান বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক একটি কৌশলগত পর্যায় নিয়ে যেতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে।

প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি নেয়ার জন্য শিনজো আবের প্রতি আহ্বান জানান। এ প্রসঙ্গে তিনি দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে বাংলাদেশে একটি দক্ষতা উন্নয়ন ইনস্টিটিউট খোলারও প্রস্তাব দেন।

এ বিষয়ে ইতিবাচক জবাব দিয়ে শিনজো আবে বলেন, দুই দেশের কর্মকর্তারা এ ব্যাপারে আলোচনা করবেন। জাপানের প্রধানমন্ত্রী তৃতীয় মেয়াদে পুনঃনির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান। তিনি শেখ হাসিনার সরকারের সঙ্গে কাজ করে যাওয়ার আগ্রহ ব্যক্ত করেন।

শেখ হাসিনা ২০২০-২১ সালে যে মুজিব বর্ষ উদযাপিত হতে যাচ্ছে তাতে যোগদানের জন্য জাপানের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানান। শিনজো আবে আমন্ত্রণ গ্রহণ করে বলেন, তিনি বিষয়টি ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করবেন।

এর আগে, চারটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে আজ ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ৪০তম অফিসিয়াল ডেভেলপমেন্ট এসিসটেন্স (ওডিএ) চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর ফলে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরো জোরদার হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বুধবার টোকিওতে নিজ নিজ পক্ষে এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন যথাক্রমে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মনোয়ার আহমেদ ও বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত হিরোইয়াসু ইজুমি।

দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত চুক্তি স্বাক্ষর কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করেন।

৪০তম ওডিএ প্যাকেজ চুক্তির আওতায় যে ৪টি প্রকল্প রয়েছে সেগুলো হলো : মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প, ঢাকা মাস রেপিড ট্রানজি ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প (লাইন-১), সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ উন্নয়ন প্রকল্প এবং এনার্জি ইফিসিয়েন্সি এন্ড কনজার্ভেশন প্রমোশন ফিনেন্সিং প্রজেক্ট (পর্ব-২)।