খালেদা জিয়াকে নেয়া হচ্ছে কেরানীগঞ্জ কারাগারে

প্রকাশিত: ৫:১২ অপরাহ্ণ, মে ২২, ২০১৯

খালেদা জিয়াকে নেয়া হচ্ছে কেরানীগঞ্জ কারাগারে

বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেবিনে আর বেশিদিন থাকা হচ্ছে না বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার। তাকে শিগগির নেয়া হতে পারে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে। এ জন্য ভিআইপি হাজতখানা প্রস্তুত করা হয়েছে।

সূত্র জানিয়েছে, সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী সপ্তাহের প্রথমদিকে তাকে সেখানে স্থানান্তর করার সম্ভাবনা রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন দায়িত্বশীল কারা কর্মকর্তা মঙ্গলবার বলেন, খালেদা জিয়া থাকবেন কেন্দ্রীয় কারাগারের মহিলা জেলের একটি এক তলা ভবনে। যেটি মূল কারাগারের মধ্যে হলেও পৃথক সীমানাপ্রাচীর ঘেরা। সেখানে দুটি ভিআইপি হাজতখানা রয়েছে।

তার একটি খালেদা জিয়ার জন্য বিশেষভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে। নতুন করে রং করা ছাড়াও দুই কক্ষের হাজতখানাটি টাইলসে মোড়ানো। কারাবিধি অনুযায়ী প্রথম শ্রেণীর বন্দি হিসেবে কক্ষের ভেতর একটি খাট, চেয়ার-টেবিল ও একটি আলনা দিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।

এ ছাড়া কক্ষটিতে অ্যাটাস্ট বাথরুমসহ একটি সিলিং ফ্যানও আছে। মূল কক্ষের সঙ্গে লাগোয়া আরেকটি ছোট কক্ষে তার ব্যক্তিগত গৃহকর্মী ফাতেমার থাকার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।

সূত্রটি জানায়, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য কারা কর্তৃপক্ষ সব সময় সতর্ক থাকবে। এ জন্য বিশেষ চিকিৎসক দল প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

যাতে তিনি অসুস্থ বোধ করলেই তাৎক্ষণিকভাবে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া যায়। এ ছাড়া তার খাওয়া-দাওয়ার বিষয়েও বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হবে। কারণ খালেদা জিয়া কারাগারে ভাত খান না বললেই চলে। প্রায় প্রতিদিনই তার খাবার মেন্যু হচ্ছে সুপ ও নুডলস। কারাগারের রান্নাঘরেই এ খাবার তৈরি করা হয়।

এ ছাড়া পরিবারের পক্ষ থেকে মাঝে মধ্যে খাবার দিয়ে গেলে সেগুলো কারাবিধি অনুযায়ী পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর রিলিজ করা হয়। কয়েকজন কারা কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খুব প্রয়োজন না পড়লে তিনি দায়িত্বরত কারারক্ষীদের ডাকেন না। বেশিরভাগ সময় একা চেয়ারে বসে থাকেন। দুপুরের খাবার সারেন দুপুর ২টার পর।

সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এখন যেসব মামলা চলছে সেগুলো বিচার চলবে কেরানীগঞ্জ কারাগারের ভেতর ২ নম্বর ভবনে স্থাপিত নতুন একটি আদালত কক্ষে। ইতিমধ্যে ওই আদালত কক্ষটিও প্রস্তুত করা হয়েছে।

সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আদালত কক্ষটিতে আইনজীবী ও সাংবাদিকদের বসার পৃথক ব্যবস্থা আছে। এখানে খালেদা জিয়ার মামলাসহ মোট ১৭টি মামলার বিচারকাজ চলবে। ইতিমধ্যে এ সংক্রান্ত গেজেটও প্রকাশ করা হয়েছে।

এদিকে খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে দু’ধরনের রাজনৈতিক বক্তব্য রয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে সম্প্রতি বলা হয়েছে, বিএনপির চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপের দিকে যাচ্ছে। তিনি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আছেন।

অপরদিকে সরকারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তিনি আগের চেয়ে ভালো আছেন।

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট