অনিয়ম-কারচুপিতে কলঙ্কিত ডাকসু নির্বাচন : কাল থেকে ধর্মঘটের ডাক

প্রকাশিত: ৩:২৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ১১, ২০১৯

অনিয়ম-কারচুপিতে কলঙ্কিত ডাকসু নির্বাচন : কাল থেকে ধর্মঘটের ডাক

অনিয়ম আর কারচুপিতে কলঙ্কিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ছাড়া সব জোট, প্যানেল ও প্রার্থীরা এবং মঙ্গলবার থেকে ক্যাম্পাসে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন তারা।

প্রহসনের ভোটের আয়োজন করায় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনের প্রতি ‘ঘৃণা’ জানিয়ে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে তারা। পাশাপাশি নতুন করে তফসিলে ঘোষণা করে পুনঃভোট আয়োজনের দাবি জানিয়েছে তারা।

সবশেষ ছাত্রদল এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেয়।

ছাত্রদলের আগে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে বাম সংগঠনগুলোর জোট প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্য, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের প্লাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ, স্বাধিকার স্বতন্ত্র পরিষদ, ছাত্র ফেডারেশন ও স্বতন্ত্র জোট।

সোমবার দুপুর ১টায় মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে তারা এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দেয়। একইসঙ্গে তারা আগামীকাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস বর্জনের ডাক দিয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, প্রহসন-জালিয়াতির এই নির্বাচন বাতিল করে পুনঃতফসিল ঘোষণা করতে হবে। হলে নয়, নতুনভাবে ভোট হতে হবে একাডেমিক ভবনে। সেই নির্বাচনে ব্যালট বাক্স হতে হবে স্বচ্ছ।

এছাড়া এই ভোট জালিয়াতির প্রতিবাদে আগামীকাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস বর্জন কর্মসূচির ডাক দেয়া হয়েছে জোটগুলোর পক্ষ থেকে।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বাম সংগঠনগুলোর জোট প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্যের সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী লিটন নন্দী। তিনি বিভিন্ন হলে বিভিন্ন অনিয়ম তুলে ধরেন।কুয়েত-মৈত্রী হলে জালভোট মারা ব্যালট উদ্ধারের ঘটনায় নিন্দা জানান।

হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে ভোট কেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্যের প্রার্থী-কর্মীদের ধাওয়া দেয়া হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। এ ঘটনায় ছাত্রলীগকে অভিযুক্ত করছেন ঐক্যের নেতারা।

কুয়েত মৈত্রী হলে ব্যালট ভর্তি বাক্স, প্রভোস্ট বরখাস্ত
সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী আবাসিক হলে সিল মারা ব্যালট পাওয়া যায়। এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে শিক্ষার্থীরা। পরে হলের ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়।

পরে শিক্ষার্থী ও হল সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা প্রেক্ষিতে বেলা সোয়া এগারোটার দিকে পুনরায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। যা চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

উদ্ধার হওয়া ব্যালটগুলোয় ছাত্রলীগের হল সংসদের প্রার্থীদের নামের পাশে সিল দেয়া ছিল বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

এ সময় তারা হলের ভারপ্রাপ্ত প্রভোস্ট ড. শবনম জাহানকে পদত্যাগের দাবি তোলেন।

শিক্ষার্থীদের এমন দাবির মুখে ড. শবনম জাহানকে অব্যাহতি দিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক মাহবুবা নাসরিনকে ভারপ্রাপ্ত প্রভোস্ট হিসেবে নিয়োগ দেয় প্রশাসন।

এর আগে, বিক্ষোভের মুখে হলের ভোটগ্রহণ স্থগিত করার কথা জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ।

পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রব্বানী ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সব অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন।

পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে অধ্যাপক সামাদকে প্রধান করে একটি চার সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

রোকেয়া হলেও ব্যালট ভর্তি বাক্স, ভোট স্থগিত
বেগম রোকেয়া হলেও ব্যালট ভর্তি বাক্স পাওয়া গেছে। সোমবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে প্রার্থী ও শিক্ষার্থীরা এই ব্যালট ভর্তি বাক্স উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে পুরো হলের শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভের মুখে রোকেয়া হলে ডাকসু ও হল সংসদের ভোটগ্রহণ স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এদিকে, অন্যান্য হলে সোমবার সকাল ৮টা থেকে ডাকসু নির্বাচন শুরু হলেও রোকেয়া হলে এক ঘণ্টা দেরিতে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এসময় একাধিক প্রার্থী অভিযোগ করে যে তিনটি ব্যালট বাক্স সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

বাম জোট থেকে রোকেয়া হলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী জিএস মুনিরা দিলশাদ ইরা বলেন, ‘সকালে যখন ভোটগ্রহণ শুরু হয়, তখন আমরা ব্যালট বাক্স দেখতে চাইলেও দেখানো হয়নি।

পরে আমরা বিক্ষোভ শুরু করলে ৯টার দিকে ব্যালট বাক্স দেখানো হয়। রোকেয়া হলে ব্যালট বাক্স থাকার কথা ৯টি। তবে আমাদেরকে দেখানো হয়েছে ছয়টি।

রোকেয়া হলে ভোটকেন্দ্র করা হয়েছে টিভি রুমে। সেখানে গণমাধ্যম কর্মীদের যেতে দেয়া হচ্ছে না। হল গেট থেকে বলা হচ্ছে এখন ভেতরে যাওয়া যাবে না।

ভোট দেরিতে শুরু করার কারণ সম্পর্কে রোকেয়া হলের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সালমা আক্তার বলেন, কিছু জটিলতার কারণে নির্ধারিত সময়ে ভোট শুরু করা যায়নি। তবে কী ধরনের জটিলতা সে বিষয়ে তিনি কিছু বলতে রাজি হননি।

ডাকসুর ভিপি প্রার্থী নুরুল হক নুরুর উপর হামলা, হাসপাতালে ভর্তি
শিক্ষার্থীরা জানান, প্রায় এক ঘণ্টার পর রোকেয়া হলের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোট গ্রহণের কয়েক ঘণ্টা পর স্বতন্ত্র ও বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থী ও ছাত্রীরা তিনটি বাক্স নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে।

এর কিছুক্ষণ পর কোটা আন্দোলনকারীদের প্যানেলের ভিপি প্রার্থী নুরুল হক নুরু ঘটনাস্থলে আসেন।

এরপর ছাত্রলীগের ভিপি ও জিএস প্রার্থীও ঘটনাস্থলে আসেন। এসময় তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের নারী কর্মীরা নুরু’র ওপর হামলা করেন।

আহত অবস্থায় নুরুল হক নুরুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অনিয়মের অভিযোগে ভোট দেননি ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী মোস্তাফিজ
‘ব্যাপক অনিয়মের’ অভিযোগ তুলে ভোট দেননি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান।

বেলা পৌনে ১২টার দিকে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় একটি প্রহসনের নির্বাচন হচ্ছে। গোটা নির্বাচন ক্ষমতাসীন দলের সংগঠনের নিয়ন্ত্রণে। ভোটকেন্দ্র নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে জালভোট, রাতেই ভোটদান, হামলা যা করা দরকার সবই তারা করছেন। এ কারণে এর প্রতিবাদে এখনও ভোট দেয়া থেকে বিরত থেকেছি। অন্যান্য হল পরিদর্শন করে ভোট দেয়ার সিদ্ধান্ত নেব।

ছাত্রদল ভোট বর্জন করবে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, দুপুরের মধ্যে সব হলের প্রার্থীদের নিয়ে বসে আমরা সিদ্ধান্ত নেব ভোট বর্জন করব কিনা।

ছাত্রদলের এ প্রার্থীর অভিযোগ, সুফিয়া কামাল হলে ছাত্রদলের প্রার্থী ও ভোটারদের ঢুকতে দেয়া হয়নি। শুনেছি রাতেই সুফিয়া হলে ব্যালটভর্তি করে রাখা হয়েছে। সেই অভিযোগ পেয়ে আমরা সেখানে গিয়েছিলাম।

সূর্যসেন হলের অনিয়মের অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ‘সূর্যসেন হলের প্রাধ্যক্ষ প্রফেসর মাকসুদ কামাল নিজে ছাত্রদলের প্রার্থীদের বের করে দিয়েছেন। সামগ্রিকভাবে যেসব অনিয়মের কথা শুনতে পাচ্ছি, তাতে এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত ভোট না দেয়ার।

প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে এ ছাত্রনেতা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি পবিত্র জায়গায় শিক্ষকরা বিবেকহীনভাবে নির্লজ্জের মতো সরকারের নির্দেশে ছাত্রলীগের হয়ে কাজ করছেন। কুয়েত মৈত্রী হলে উদ্ধার হওয়া বস্তাভর্তি জালভোট তার প্রমাণ।

এর আগে সকালে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দেয়ার অভিযোগ করেন মোস্তাফিজুর। এফ রহমান হল ও হাজী মোহাম্মদ মুহসীন হলের ভোটকেন্দ্রের পরিবেশ দেখে তিনি এ অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, ভোটকেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ ছাত্রলীগের হাতে। হলের ফটকে ছাত্রলীগের কর্মী-সমর্থকরা অবস্থান নিয়ে আছে। ছাত্রদলের প্রার্থীদের কেন্দ্রে ঢুকতে দিচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল- ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ গেটের নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে থাকবে। কিন্তু পরিস্থিতি ঠিক তার উল্টো। আমরা দেখছি গোটা নির্বাচনের নিয়ন্ত্রণ ছাত্রলীগের হাতে।

ভোটকেন্দ্রে কৃত্রিম লাইন তৈরি করা হয়েছে জানিয়ে ছাত্রদলের এ ভিপি প্রার্থী বলেন, ভোটকেন্দ্রে কৃত্রিম একটি লাইন তৈরি করে রাখা হয়েছে। লাইনে যারা দাঁড়িয়েছেন তারা সাধারণ ভোটারদের প্রবেশ করতে দিচ্ছেন না।

সুফিয়া কামাল হলে ভোট সাময়িক বন্ধ
কবি সুফিয়া কামাল হলে সকাল থেকেই ভোটাররা জড়ো হলেও সেখানে ভোটগ্রহণ সাময়িক বন্ধ রাখা হয়।

ভোট কর্মকর্তারা শিক্ষার্থীদের সামনে ব্যালট বাক্স খুলে দেখাতে অস্বীকৃতি জানালে শিক্ষার্থীরা এতে ক্ষোভ জানায়।

পরে শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে ৫টি ব্যালটের মধ্যে ২টি ব্যালট খুলে দেখানো হয়।

এরপর হল সংসদ প্রার্থীরা ভোটে অনাস্থা জানিয়ে পুরো ভবনটি তল্লাশির দাবি জানান। এমন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে ভোট সাময়িক বন্ধ রাখা হয়।

শিক্ষার্থীদের ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল পুরো ভবনটি তল্লাশি করছে বলে জানান এক ভোট কর্মকর্তা।

ডাকসুর ভিপি প্রার্থী লিটন নন্দীকে ধাওয়া
এদিকে প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্য প্যানেলের ডাকসুর সহ-সভাপতি পদপ্রার্থী লিটন নন্দীকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে ‘ক্ষমতাসীন ছাত্র লীগের কয়েকজন কর্মী’ ধাওয়া দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

ঘটনাস্থল থেকে আমাদের সংবাদদাতা জানান যে, সকাল পৌনে ১১টার দিকে বাম ছাত্র সংগঠনের নেতা লিটন নন্দীকে প্রথমে হল কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। পরে তিনি হলে ঢুকে নির্বাচনে কারচুপির বিষয়ে অভিযোগ তোলেন। এসময় ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মীর সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়।

সেসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

লিটন নন্দী বলেন, আমরা যখন মুহসীন হলের ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে যাই তখন ছাত্রলীগ নেতা সানির নেতৃত্বে কয়েকজন শিক্ষার্থী আমাদের ধাওয়া করে। আমরা কেন্দ্রীয় সংসদের প্রার্থী হওয়া সত্ত্বেও আমাদেরকে হলে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। তারপর আমরা সেখান থেকে বের হয়ে প্রভোস্ট স্যারের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে ছাত্রলীগের লোকজন আমাদেরকে ধাওয়া করে।

সেসময় হলের প্রভোস্ট এবং নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন উল্লেখ করে লিটন আরও বলেন, হামলার যে সংস্কৃতি বিরাজমান রয়েছে তা থেকে আমরা আশঙ্কা করতে পারি যে ভোটগ্রহণ সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে না।

প্রসঙ্গত ২৮ বছর পর অনুষ্ঠেয় ডাকসু নির্বাচন শুরু হয়েছে সকাল ৮টায়। বেলা ২টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। এতে ৪৩ হাজার ২৫৬ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। মোট ভোটারের মধ্যে ছাত্র ২৬ হাজার ৯৪৪ এবং ছাত্রী ১৬ হাজার ৩১২ জন।

ডাকসুতে ২৫ পদে নির্বাচন হচ্ছে। বিভিন্ন পদের মধ্যে আছে ভিপি, জিএস, এজিএস একটি করে ৩টি। আরও আছে- সম্পাদকীয় ৯টি এবং ১৩টি সদস্যপদ। এসব পদের জন্য বিভিন্ন প্যানেল ও স্বতন্ত্রসহ প্রার্থী ২২৯ জন। তাদের মধ্যে স্বতন্ত্রসহ ভিপি ২১, জিএস ১৪ জন।

ডাকসু নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে ১৩টি প্যানেল। অন্যদিকে প্রত্যেক হল সংসদে ১৩টি পদে নির্বাচন হচ্ছে। এর মধ্যে ভিপি, জিএস, এজিএস একটি করে তিনটি। আরও আছে সম্পাদকীয় ৬, সদস্য ৪টি। হল সংসদ (১৮টি হল, ২৩৪ পদে) প্রার্থী ৫০৯ জন। হল সংসদ ও ডাকসু মিলিয়ে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে গড়ে ৩৮টি করে ভোট দিতে হবে। সুষ্ঠুভাবে ভোটের কাজ শেষ করতে রিটার্নিং অফিসারসহ (আরও) ৪২ জন কাজ করছেন।