গণগ্রেপ্তার থেকে রেহাই পাচ্ছে না প্রার্থীরাও, ইইউ প্রতিনিধি দলকে বিএনপি

প্রকাশিত: ২:০৭ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ৩০, ২০১৮

গণগ্রেপ্তার থেকে রেহাই পাচ্ছে না প্রার্থীরাও, ইইউ প্রতিনিধি দলকে বিএনপি

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য এখন পর্যন্ত সারাদেশে ‘লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড’ তৈরী হয়নি।

বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতার ও তাদের বিরুদ্ধে নতুন নতুন মামলা দায়ের আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অনুকূল নির্বাচনী পরিবেশের প্রধান অন্তরায় বলে ইইউ প্রতিনিধিদলকে জানান তারা।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে একাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে ইইউর নির্বাচন বিশেষজ্ঞ দলের সঙ্গে দলটির নেতাদের পৌনে দুই ঘন্টাব্যাপী বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে এসব বিষয় জানানো হয় বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়।

তবে বৈঠকের পর ইইউ প্রতিনিধি দল কিংবা বিএনপি নেতারা আনুষ্ঠানিকভাবে গণমাধ্যমকে কিছু বলেননি।

ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রেনজিং টিরিংকের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ইইউর নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ডেভিড নোয়েল ওয়ার্ড ও ইরিনি মারিয়া গোনারি ছিলেন।

বিএনপি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আরও ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, সহ আন্তর্জাতিক সম্পাদক রুমিন ফারহানা, নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল প্রমুখ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির কূটনৈতিক শাখার এক সদস্য বলেন, বৈঠকে ইইউর প্রতিনিধি দলের সদস্যরা নির্বাচনের পরিবেশ সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। জবাবে বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এখন পর্যন্ত সব রাজনৈতিক দলের জন্য সমান সুযোগ তৈরি করতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। তফসিল ঘোষণার দিন থেকে এ পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট গ্রেফতার ও মামলার তথ্য জানানো হয়েছে। সারা দেশে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার অব্যাহত রয়েছে। বিএনপির মনোনীত প্রার্থীদের গ্রেফতারের বিষয়েও অবহিত করেছেন তারা।

সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার মামলা ও তার অসুস্থতার কথাও জানান বিএনপি নেতারা। এছাড়া নির্বাচন কমিশনের কাছে বিতর্কিত পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের রদবদলের জন্য তালিকা দেওয়া হলেও ইসি কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলেও তাদের অবহিত করেন বিএনপি নেতারা।

ইইউর প্রতিনিধি দলের সদস্যরা জানিয়েছেন, তারা নির্বাচনের সময় পর্যবেক্ষক পাঠাবেন না। তবে বাংলাদেশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন।