বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে যাচ্ছে দেখে ভারত আনন্দিত : শ্রিংলা

প্রকাশিত: ১১:৪০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৪, ২০১৮

বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে যাচ্ছে দেখে ভারত আনন্দিত : শ্রিংলা

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেছেন, বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে যাচ্ছে দেখে ভারত আনন্দিত।

তিনি বলেন, ‘তারা চায় বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ধারা সব সময় অব্যাহত থাকুক এবং নির্ধারিত সময়ে সকলের অংশগ্রহণে ভোটের মাধ্যমে সরকার গঠন হোক।’

বুধবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সাথে সাক্ষাৎ করতে এসে হাইকমিশনার এ কথা বলেন। খবর বাসসের।

এ সময় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, সরকার সংবিধানসম্মতভাবে সকল দলের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে নির্বাচনের জন্য সর্বদা বদ্ধপরিকর। সকল দল নির্বাচনে অংশ নেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বর্তমানে সর্বোচ্চ বন্ধুত্বমূলক সম্পর্ক বিরাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও উচ্চমাত্রায় নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের জনগণও স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের অবদানকে সব সময় কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করে।

ভারতের হাইকমিশনার বলেন, তাদের পররাষ্ট্র নীতিতে প্রতিবেশী দেশসমূহের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে বাংলাদেশকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে তালিকার শীর্ষে রেখেছে ভারত। ভারত মনে করে বাংলাদেশকে সঙ্গে নিয়ে এই অঞ্চলের উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে।

এ সময় মোহাম্মদ নাসিম জানান, ভারত সরকারের সহযোগিতায় যশোর, পাবনা, নোয়াখালী, কক্সবাজার, পটুয়াখালি ও জামালপুরে ছয়টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নির্মাণের কাজ প্রক্রিয়াধীন। ইতোমধ্যে দেশে নতুন ৩৬ টি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করার ক্ষেত্রে সে দেশের সরকারের সহযোগিতার কথা স্মরণ করছি আমরা।

তিনি বলেন, শুধু স্বাস্থ্য খাত নয় বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভারতের অবদান দুদেশের মধ্যকার সম্পর্ক উন্নয়নে প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে।

হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বাংলাদেশের চিকিৎসা শিক্ষার সাম্প্রতিক মানোন্নয়নের জন্য সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, প্রতি বছর ভারত থেকে আগত শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের মেডিকেল কলেজগুলো থেকে পাশ করে দেশে ফিরে গিয়ে মানসম্মত সেবা দিতে সক্ষম হচ্ছে।

এ সময়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও ভারতীয় হাই কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।