২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৪:১৫ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৩, ২০১৮
নতুন প্রেক্ষাপটে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনকে ভেজালহীন করার জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, ‘দলীয় সরকারের অধীনে থেকে যে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব এবারের নির্বাচন সেই ইতিহাস সৃষ্টি করবে।’
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে মঙ্গলবার রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ব্রিফিং অনুষ্ঠানে সিইসি প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। খবর বাসসের।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটের তারিখ পেছানোর আর কোনো সুযোগ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘৩০ তারিখ নির্বাচনের দিন নির্ধারিত হয়েছে। এরপর আর তারিখ পেছানোর সুযোগ নেই। প্রথম কারণ হলো জাতীয় পর্যায়ে এতো বড় একটি নির্বাচনের পর ২৯ জানুয়ারি সংসদ বসতে হবে। ফলে এটি বড় মাপের সময় নয়। কারণ নির্বাচনের পর ফলাফল আসবে, এরপর গেজেট করা। এই তিনশ’ আসনের গেজেট করার জন্য সময় লাগে। দ্বিতীয়ত হলো, টঙ্গীর ইজতেমা হবে ১১ জানুয়ারি। এটি আমাদের চিঠি দিয়া জানানো হয়েছে। এ সময় সারাদেশ থেকে আইনশৃঙ্ঘলা বাহিনীর সদস্যদের আনতে হয়। যাতে কোন সহিংসতা না ঘটে।
সিইসি বলেন, নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছে, তাতে আমরা খুশি হয়েছি। কিন্তু ভোটের তারিখ আর পেছানোর সুযোগ নেই।
রিটার্নিং কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনারা দেশী-বিদেশী সকল স্তরের সংস্থার পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। এ বছর নির্বাচনের পরিবেশ হবে ভিন্ন। আমাদের দেশে কখনো নির্বাচন হয়েছে রাষ্ট্রপতি শাসিত নির্বাচন, কখনো সেনাবাহিনী, কখনো কেয়ারটেকারের অধীনে। কিন্তু অন্যান্য নির্বাচন থেকে এই নির্বাচন সম্পূর্ণ ভিন্ন। কারণ সংসদ ও সরকার বহাল রেখে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ২০১৪ সালে এমন একটি নির্বাচন হয়েছিল। কিন্তু সেই নির্বাচনে সব দল অংশ নেয়নি।
আমরা এবার আনন্দিত যে, এই নির্বাচনে সব দল অংশ নিতে যাচ্ছে। সে কারণে আপনাদের দায়িত্বও অনেক বেড়ে গেছে এবং ভেজালমুক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠানে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।’
এখন থেকে নির্বাচনের সকল দায়িত্ব রিটার্নিং কর্মকর্তাদের উল্লেখ করে সিইসি বলেন, নির্বাচন হতে হবে সম্পূর্ণ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ। ভোট একটি উৎসব। ভোটের দিন ভোটাররা আনন্দমুখর পরিবেশে ভোট দিতে যাবে। সবাই নিজ নিজ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবেন।
ভোট প্রদান কক্ষ ছাড়া বাকি সব স্থানে পর্যবেক্ষকসহ সবাই যেতে পারবেন এবং তা পর্যবেক্ষণ করতে পারেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যে নির্বাচন জনগণ গ্রহণ করবেন, যে নির্বাচন সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে- সেটিই হবে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। এই অবস্থা রিটার্নিং কর্মকর্তার সৃষ্টি করতে হবে। কিভাবে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা নিয়োগ করবেন, ভোটকক্ষ তৈরি করবেন সব দায়িত্ব আপনাদের। সবাই আন্তরিকভাবে নির্বাচন পরিচালনা করলে সামগ্রিকভাবে আমাদের উপর জনগণের সন্দেহ হবে না।’
প্রার্থী ও রাজনীতিবিদদের সাথে সুসম্পর্ক রাখার নির্দেশ দিয়ে সিইসি বলেন, ‘অনেকেই এমপি ছিলেন, অনেকে যারা এমপি ছিলেন না তারা এলাকায় সম্মানিত ব্যক্তি। তাদের সাথে যদি সুসম্পর্ক রাখেন, তাহলে কেউই নির্বাচনে সমস্যা সৃষ্টি করবেন না। তাদেরকে কখনো প্রতিপক্ষ হিসেবে নেবেন না। তাদের সহযোগিতা করলে তারাও আপনাদের সহযোগী, বন্ধু হিসেবে কাজ করবে। বিরোধিতা করবে না। নিরপেক্ষতা হবে একমাত্র মাপকাঠি।’
ভয়ভীতির ঊর্ধ্বে থেকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, আপনাদের কারণে নির্বাচন কমিশনের যাতে বদনাম না হয়। ভয়ভীতির ঊর্ধ্বে থেকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করুন।
নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সংসদ নির্বাচনের পুনঃতফসিল অনুযায়ী ৩০ ডিসেম্বর রোববার ভোটগ্রহণ। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২৮ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন ২ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৯ ডিসেম্বর।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
Office : Central Market (1st floor),
Bandar Bazar (Court Point),
Sylhet – 3100, Bangladesh.
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D