নীতিনির্ধারকদের বৈঠকে যেসব সিদ্ধান্ত নিল বিএনপি

প্রকাশিত: ১২:৫৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৮

নীতিনির্ধারকদের বৈঠকে যেসব সিদ্ধান্ত নিল বিএনপি

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ, ২৯ সেপ্টেম্বর শনিবার বিএনপির জনসভা এবং জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ায় যোগ দিতে জামায়াতকে ছেড়ে দেয়া না দেয়া এসব বিষয় নিয়ে বুধবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে নীতিনির্ধারকদের নিয়ে বৈঠকে বসে বিএনপি।

এই বৈঠকে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি বলে জানা গেছে। তবে সিদ্ধান্ত যেটাই হোক না কেন ক্ষমতাসীনদের গতিবিধির উপর নজর রেখে কৌশলে এগোনোর কথা জানিয়েছে দলটি।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা না করা নিয়ে দলীয় অবস্থান এখনই খোলাসা করছে না বিএনপি। এ ব্যাপারে কৌশলে এগোনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। তবে শনিবারের জনসভার অনুমতি মিললে সেখান থেকে দলীয় অবস্থান তুলে ধরে নেতাকর্মীদের প্রাথমিক দিকনির্দেশনা দেয়া হবে।

নেতারা বলছেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে দলের ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা ও কর্মসূচি তুলে ধরতে চায় তারা। তবে এখনো শনিবারের জনসভার অনুমতি পায়নি বিএনপি। সংঘাত এড়াতে ‘পুলিশের পরামর্শে’ কর্মসূচি পিছিয়ে ২৯ সেপ্টেম্বর শনিবার দিন ঠিক করেছে।

কিন্তু একই দিন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের কর্মসূচি থাকায় ওই দিন কর্মসূচি পালন নিয়েও শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে দলটির নেতারা আশাবাদী, তারা জনসভা করার অনুমতি পাবেন।

আগামী একাদশ জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে দলের পক্ষ থেকে নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থার রূপরেখা নিয়েও নেতারা আলোচনা করেন। দল সমর্থিত আইনজীবী ও থিংকট্যাংক থেকে নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা সম্পর্কে নেয়া দুটি খসড়া রূপরেখা নিয়ে তারা নিজেদের মতামত তুলে ধরেন। খুব শিগগিরই এ রূপরেখা চূড়ান্ত করে জাতির সামনে উপস্থাপনেরও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

অন্যদিকে গণফোরাম আর যুক্তফ্রন্টকে পাশে পেতে বিএনপি কি প্রায় দুই দশকের মিত্র জামায়াতকে ছেড়ে দেবে? এই প্রশ্ন যখন রাজনৈতিক অঙ্গনে বড় হয়ে উঠেছে। তখন অপেক্ষার খেলায় রয়েছে বিএনপি।

হিসাব কষে বিএনপি নেতারা বলছেন, এই জোটের চেয়ে জামায়াতের সঙ্গ বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, তাদের ভোট আছে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক, যেটি নেই গণফোরাম আর যুক্তফ্রন্টের। তবে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব দোটানায়। না পারছে তারা জামায়াত ত্যাগ করতে, না পারছে আলোচনা বন্ধ করতে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক নেতা বলেন, যে জাতীয় ঐক্যের প্রক্রিয়া চলছে তার মাধ্যমে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে হলে ভোটের হিসাবটা খুব জরুরি। তাই যে যাই মন্তব্য করুন তা বুঝেশুনে করা উচিত। কেউ যদি মনে করে বিএনপিকে ঘাড় নীচু করে কারও সঙ্গে ঐক্য করতে হবে তারা এমন কথা বলতে পারে। কিন্ত জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করতে হলে ব্যক্তিগত রাগ অনুরাগের বাইরে এসে কথা বলতে হবে।

যুক্তফ্রন্টের পক্ষ থেকে জামায়াত নিয়ে যেসব বক্তব্য দেয়া হয়েছে সেসব বিষয়ে বুধবার রাতে বৈঠক করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির নেতারা। সেখানে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শরিক দলগুলোর সঙ্গে নিয়ে এ বিষয়ে আবারও বৈঠকে বসবে বিএনপি বলে জানা গেছে।

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট