‘স্বৈরাচারের পর স্বৈরাচার, স্বেচ্ছাচারের পর আরেক স্বেচ্ছাচার আসা বন্ধ করতে হবে’

প্রকাশিত: ১:১০ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৬, ২০১৮

‘স্বৈরাচারের পর স্বৈরাচার, স্বেচ্ছাচারের পর আরেক স্বেচ্ছাচার আসা বন্ধ করতে হবে’

সাবেক রাষ্ট্রপতি ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মতে তারা যে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন সেখানে কেবল নির্বাচন আর ক্ষমতায় যাওয়াই একমাত্র ইস্যু নয়। তিনি বলেন, ‘শেষ কথা মনে রাখতে হবে, আমি ক্ষমতা চাই, আমরা ক্ষমতা চাই, এই বলে আবার একই পদ্ধতি, একই স্বেচ্ছাচারী সরকার আসবে। এক স্বৈরাচারের পর আরেক স্বৈরাচার, এক স্বেচ্ছাচারের পর আরেক স্বেচ্ছাচার আসবে। এটাকে বন্ধ করতে হবে। এই স্বৈরাচারী সরকারের পুনরাবৃত্তি যাতে না হতে পারে সেজন্যে ফর্মুলা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, ‘এটা বন্ধ করার জন্য নতুন ফর্মুলা দিয়েছি। এক হলো-সংসদে ভারসাম্য, দুই মন্ত্রিসভায় ভারসাম্য, তৃতীয় হলো রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য।

এ সময় ড. কামাল হোসেন তার বক্তব্যে স্পষ্টই বললেন, তাদের ঐক্যে জামায়াতসহ কোনো সাম্প্রদায়িক শক্তিকে দেখতে চান না। তিনি বলেন, ‘আমরা সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত বাংলাদেশ দেখতে চাই। কেননা, আমাদের একাত্তর পর্যন্ত একটা তিক্ত অভিজ্ঞতা ছিল। জামায়াত, জামায়াতের কথা না বলে পারা যায় না। তারা যেভাবে ধর্ম দেখার চেষ্টা করেছে, একাত্তরে এই তাদের এই চেষ্টাটা ব্যর্থ প্রমাণিত হয়েছে। তারপরে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডসহ অনেক হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। কিন্তু এটা দিয়ে তারা আর যেটা চেয়েছে সেটা করতে পারবে না। পারার প্রশ্নই ওঠে না।

সভায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা সবার কাছে যাচ্ছি, বলছি। এখানে ধর্ম, বর্ণ, মত সবকিছুকে দূরে রেখে আজকে বাংলাদেশকে রক্ষা করবার জন্য, বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে রক্ষা করবার জন্য, মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারকে রক্ষা করবার জন্য, আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই। আমরা আর হিংসা দেখতে চাই না। আমরা একটা সত্যিকার অর্থেই ঘৃণার রাজ্য থেকে বেরিয়ে ভালোবাসা শান্তির রাজ্যে আসতে চাই।

এ ছাড়া সভায় আ স ম আব্দুর রব ও মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ অন্য নেতৃবৃন্দ নির্বাচনকে সামনে রেখে তাঁরা যে কর্মসূচি পালন করতে যাচ্ছেন তাতে যেন সরকার কোনো ধরনের বাধা না দেয় সেই আহ্বান জানান।

যুক্তফ্রন্টের ব্যানারের ড. কামাল হোসেন, বদরুদ্দোজা চৌধুরী, জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ বেশ কয়েকটি দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন আগামী নির্বাচনকে অবাধ ও নিরপেক্ষ করার উদ্দেশ্য নিয়ে। তাদের সেই ঐক্যের সঙ্গে বিএনপি যুক্ত হচ্ছে কি না, এই নিয়ে যখন চলছে চরম গুঞ্জন, ঠিক সেই সময়ে তাদেরই এক অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও।

বুধবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত ইভিএম বর্জন জাতীয় নির্বাচন ও রাজনৈতিক জোট শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এমন বক্তব্য উঠে আসে।