‘জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারে বিএনপির আপত্তি কোথায়?’

প্রকাশিত: ১২:৩৫ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ৩১, ২০১৮

‘জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারে বিএনপির আপত্তি কোথায়?’

‘‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারে বিএনপির আপত্তি কোথায় আর কেনই বা তারা এর বিরোধিতা করছেন’’- তা জানতে চেয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেটের রেজিস্টারি মাঠে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শোকসভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্য করে এ প্রশ্ন রাখেন তিনি।

ইভিএম প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘ইভিএম নিয়ে আমাদের দাবি নতুন নয়।  ইসির সাথে বৈঠকে যুক্তি দিয়ে, তথ্য দিয়ে আমরা এই দাবি করেছিলাম। ইভিএম দিয়ে নির্বাচন করলে কাউন্টিং দ্রুত করা যায়, রেজাল্ট দ্রুত দেয়া যায়।  ৩ সিটি নির্বাচনের কয়েকটি কেন্দ্রে ইভিএম এর ব্যবহার হয়েছে। সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ২ ইভিএম কেন্দ্রের ফলাফলে বিএনপি জয়ী হয়েছিল। তারপরেও তারা কেন ইভিএম নিয়ে এত কথা বলছে, তারা কী চায়?’’- জানতে চান ওবায়দুল কাদের।

তিনি দাবি করেন, ‘সিলেটে সরকারি দল যদি চাইতো অনিয়ম করতে পারতো। শেখ হাসিনার নির্দেশ চক্রান্ত যড়যন্ত্র করে নির্বাচনে জয়ের অভিলাষ তাঁর নেই। বিএনপির উদ্দেশ্য ওবায়দুল কাদের বলেন, যত চক্রান্তই করেন না কেন যড়যন্ত্র চক্রান্তের চোরাবালি দিয়ে ক্ষমতা দখলের চক্রান্ত জনগণকে সাথে নিয়ে প্রতিহত করবো। আর ২০০১ এর মত নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।’

সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, ‘অনেকে সংলাপের কথা বলছেন। আমরাও সংলাপের বিরুদ্ধে নই। তবে কার সাথে সংলাপ, শেখ হাসিনা কি খালেদা জিয়াকে সংলাপের প্রস্তাব দেন নি এমন প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, টেলিভিশনের কল্যাণে মানুষ শেখ হাসিনা-খালেদা জিয়ার কথোপকথন দেখেছে। ছোট ছেলের মৃত্যুর পর শেখ হাসিনা কি খালেদা জিয়াকে সান্ত¡না দিতে তাঁর বাসায় যান নি ? সেসময় খালেদা জিয়া বাড়ির দরজা বন্ধ রেখে শেখ হাসিনাকে সান্তনা দিতে দেন নি। সেদিনই সংলাপের দরজা বন্ধ করে দিয়েছিলেন খালেদা জিয়া ।’এমনটিও উল্লেখ করেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, আগস্ট এলেই আমাদের বেদনার অশ্রু গলিয়ে পরে, হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়। দুচোখে নামে অশ্রু ধারা। আবেগের অশ্রু বারেবারে গলিয়ে পরে। বিশ্বাসঘাতকতা ও যড়যন্ত্রের কারণে ঘটে হত্যাকা-। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে পুরস্কৃত হয়েছিল কারা, কারা হত্যাকারীদের বিদেশে পাঠিয়ে ছিল, কারা দূতাবাসে চাকরি দিয়েছিল তাদের, ইন্ডিমিনিটি জারী করেছিল কে এসকল প্রশ্নের উত্তরে জিয়াউর রহমানের নাম যোগ করেন তিনি।

২১ আগস্টে হামলার সময় কে ক্ষমতায় ছিল, হাওয়া ভবনের যুবরাজ কে ছিল উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, হাওয়া ভবনে এই হামলার পরিকল্পনা হয়। হামলার ঘটনায় পরবর্তীতে জজ মিয়া নাটক সাজানো হয়। এই ঘটনার এফবিআই তদন্তে এসে ফিরে যায়। এই হত্যাকা-ের সব আলামত নষ্ট করেন তৎকালীন ঢাকার মেয়র সাদেক হোসেন খোকা বলে অভিযোগ করেন কাদের। আল্লাহ্র রহমতে শেখ হাসিনা সেদিন প্রাণে বেঁচে গেলেও আইভি রহমান সেদিন রক্ষা পাননি। কাদের কারণে এতোগুলো প্রাণ সেদিন চলে গেলো সেদিনের এই হত্যাকান্ডের দায় কি বিএনপি অস্বীকার করতে পারে, তারেক রহমান কি এর দায় এড়াতে পারে এমন প্রশ্ন রাখেন কাদের।

সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরীর পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সদস্য অধ্যাপক রফিকুর রহমান।

বক্তব্য রাখেন সিলেট-৪ আসনের সংসদ সদস্য ইমরান আহমদ, সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ।

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট