রাতে কোথাও ব্যালটে সিল মারার ঘটনা ঘটলে ব্যবস্থা নেব, ইসির কড়া হুঁশিয়ারি

প্রকাশিত: ১:১০ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ৩০, ২০১৮

সোমবার তিনটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ। নির্বাচন কমিশন বলছে রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেটে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের জন্যে তারা পুরোপুরি প্রস্তুত।

খুলনা ও গাজীপুরের নির্বাচনে বিরোধী দল বিএনপির প্রার্থীর পক্ষ থেকে অনিয়মের ব্যাপক অভিযোগের মধ্যেই সোমবার নির্বাচন এবং আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে এটিকে নির্বাচন কমিশনের জন্যে একটি বড় পরীক্ষা হিসেবে দেখা হচ্ছে। খবর বিবিসির।

তবে এই নির্বাচনের প্রাক্কালে অন্যতম নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, কোনও দলের পোলিং এজেন্ট যাতে ভোটের পুরোটা সময় ভোটকেন্দ্রে থাকেন সেটা সেই দলকেই দেখতে হবে।

তার কথায়, ‘বিএনপির একটা প্রতিনিধিদল রবিবার আমাদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল। কমিশন তাদের বলেছে আপনারা প্রার্থীর কিংবা তার প্রধান নির্বাচনী এজেন্টের স্বাক্ষরিত নিয়োগপত্র দিয়ে পোলিং এজেন্টদের পাঠানোর ব্যবস্থা করুন।’

‘তারা সেই নিয়োগপত্র নিয়ে গেলে যাতে নির্বিঘ্নে পুরোটা সময় ভোটকেন্দ্রে থাকতে পারেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সেই মর্মে আমরা নির্দেশ দিয়ে রেখেছি’, বলেন চৌধুরী।

কিন্তু পোলিং এজেন্টরা নিজে থেকেই মাঝপথে চলে গেলে বা নিয়মমাফিক নিয়োগপত্র না-নিয়ে এলে তাদের ভোটকেন্দ্রে ধরে রাখার দায়িত্ব যে কমিশনের নয়, সেটাও তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন।

এর আগে সাম্প্রতিক বিভিন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে বিরোধী দল ও নির্বাচন কমিশনের মধ্যে একটা আস্থার সঙ্কট তৈরি হয়েছে, এই অভিযোগও মানতে চাননি তিনি।

‘কুমিল্লায় তো বিএনপি প্রার্থীই ভোটে জিতেছেন। রংপুরে জিতেছে জাতীয় পার্টি। আবার খুলনা ও গাজীপুরে জিতেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। কাজেই পক্ষপাতের অভিযোগ উঠলে আমাদের কিছু বলার নেই’, মন্তব্য করেন ওই নির্বাচন কমিশনার।

সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনগুলোর ফল বেরোনোর পরও কোনও দলের আপত্তি থাকলে তাদের জন্য আদালতের দরজা যে সব সময়ই খোলা, সে কথাও তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন।

সোমবার সিলেট, রাজশাহী ও বরিশালে ভোটের আগের রাতে কোথাও ব্যালটে সিল মারার ঘটনা ঘটলে কমিশন কড়া ব্যবস্থা নেবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

‘সকাল আটটায় ভোট শুরুর আগেই আমাদের প্রতিনিধিরা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে প্রতিটি ব্যালট পরীক্ষা করবেন। যদি কোথাও পূর্ব রাতে ব্যালটে সিল মারার প্রমাণ পাওয়া যায় কমিশন সেই কেন্দ্রের ভোট বাতিল করতে দ্বিধা করবে না’, বলেন চৌধুরী।

রাজশাহীতে ‘ছোট্ট একটা ককটেলের ঘটনা’ ছাড়া বাকি সব জায়গাতেই মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনী প্রচারনা সম্পন্ন হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

সোমবার ভোটের দিনেও প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে অন্তত ২২ থেকে ২৪জন পুলিশ ও আনসার সদস্য পাহারায় থাকবেন বলেও জানানো হয়েছে। এদের মধ্যে দশ থেকে বারোজন হবেন অস্ত্রধারী।