ক্রোয়েশিয়াকে ৪-২ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপ শিরোপা নিল ফ্রান্স

প্রকাশিত: ১২:২৯ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১৬, ২০১৮

ক্রোয়েশিয়াকে ৪-২ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপ শিরোপা নিল ফ্রান্স

মস্কো : রাশিয়ার মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ ফাইনালে ৪-২ গোলে ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে সাবেক চ্যাম্পিয়নরা।

ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে প্রথমে আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় ফ্রান্স, পরে গ্রিজম্যান, পগবা ও এমবাপে একটি করে গোল করেন। ক্রোয়েশিয়ার পক্ষে ইভান পেরিসিচ ও মারিও মান্দজুকিচ করেন একটি করে গোল।

এতে হাতে সময় থাকতেই শিরোপা জয়ের সুগন্ধ পেতে থাকে সাবেক চ্যাম্পিয়নরাই।

মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে অন্যরকম আবহ বিরাজ করতে থাকে। এর আগে রাত ৯টায় রাশিয়া বিশ্বকাপে শিরোপার যুদ্ধে নামে ফ্রান্স ও ক্রোয়েশিয়া। তারুণ্যে উজ্জীবিত ফ্রান্স এবং সোনালি প্রজন্ম নিয়ে আসা ক্রোয়েশিয়ার এই লড়াই ৪-২ গোলে এগিয়ে যায় গ্রিজম্যান-এমবাপেরা।

খেলার ধারায় ম্যাচের ১৮ মিনিটে আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় সাবেক চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স (১-০)। বক্সের বাইরে থেকে আতোয়োন গ্রিজম্যানের চমৎকার ফ্রি-কিকে বিপদমুক্ত করতে গিয়ে নিজেদের জালে জড়িয়ে দেন বল মারিও মান্দজুকিচ। তাঁর মাথা ছুঁয়ে বল চলে যায় জালে।

অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে গোলটি সমতায় নিয়ে আসে ক্রোয়েশিয়া (১-১)। ঠিক ১০ মিনিট পর চমৎকার গোলে দলকে খেলায় ফেরান ইভান পেরিসিচ। বক্সে ঢুকেই তার চমৎকার প্লেসিং বল ঠিকানা খুঁজে পায় জালে।

৩৮ মিনিটে আবার এগিয়ে যায় ফ্রান্স (২-১)। পেনাল্টি থেকে গোল করে দলের ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আতোয়োন গ্রিজম্যান। বক্সের মধ্যে ক্রোয়েশিয়া ডিফেন্ডার পেরিসিচের হাতে বল লাগলে রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান।

ফ্রান্সের পক্ষে তৃতীয় গোলটি করেন পল পগবা। ৫৯ মিনিটে বক্সের সামনে থেকে আচমকা শটে লক্ষ্যভেদ করেন এই ফরাসি মিডফিল্ডার।

ছয় মিনিট পর দলের ব্যবধান আরো বড় করেন (৪-১) এমবাপে। মাঝমাঠ থেকে পাওয়া একটি বল নিয়ে বক্সে ঢুকে দারুণ শটে গোল করেন তিনি।

৬৯ মিনিটে মারিও মান্দজুকিচ ক্রোয়েশিয়ার পক্ষে দ্বিতীয় গোল কতরে ব্যবধান কিছুটা কমান (২-৪)। ফ্রান্স গোলরক্ষকের সমানে থেকে বল নিয়েই জালে জড়ান তিনি। এরপর আর কোনো পক্ষই গোলের দেখা পায়নি।

এদিকে পরিসংখ্যানেও এগিয়ে ছিল ফ্রান্স। তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে তারা। ১৯৯৮ সালের পর ২০০৬ সালে জার্মানি বিশ্বকাপে ফাইনালে উঠেও ইতালির কাছে হেরে যায় তারা।

সে হিসেবে পিছিয়ে ছিল ক্রোয়োশিয়া, প্রথমবার ফাইনালে উঠে তারা। শেষ ষোলো ও কোয়ার্টার ফাইনাল ও সেমিফাইনালে অসাধারণ নৈপুণ্য দেখিয়ে এসে তারা বুঝিয়েছিল শিরোপা জেতার যোগ্য ছিল তারাও। কিন্তু সেটা আর তাদের ভাগ্যে জোটেনি।

আর গ্রুপ পর্বে নাইজেরিয়াকে ২-০, আর্জেন্টিনাকে ৩-০ এবং আইসল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে ‘ডি’ গ্রুপের সেরা শেষ ষোলোতে আসে ক্রোয়েশিয়া।

আর ফ্রান্স গ্রুপ পর্বে অস্ট্রেলিয়াকে ২-১ গোলে হারায় এবং পেরুর বিপক্ষে ১-০ গোলে জেতে। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ডেনমার্কের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে তারা।