২৩শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:২৫ পূর্বাহ্ণ, জুন ২২, ২০১৮
সিলেটের কানাইঘাটে বন্যা পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হলেও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। বন্যা কবলিত বেশিরভাগ এলাকায় পুকুর, নলকূপ বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়ায় এমন বিশুদ্ধ পানি সংকটে পড়েছেন মানুষজন। এতে অধিকাংশ মানুষ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট না পেয়ে জীবন বাঁচাতে পান করছে নোংরা পানি। এজন্য নানা ধরণের পানিবাহিত রোগব্যাধী দেখা দিচ্ছে বলে জানা গেছে।
এছাড়াও বন্যার পানিতে উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোর প্রায় ৮০ ভাগই বেহাল অবস্থা। কোথাও কোথাও রাস্তা ভেঙ্গে গেছে, কোথাও আবার রাস্তা একেবারে বিলীন হয়ে গেছে এবং জলাবদ্ধতায় রয়েছে অনেকগুলো গ্রামীণ রাস্তা। এতে জনজীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ। পাশাপাশি নদী ভাঙন কবলিত ডাইকগুলো দ্রুত সংস্কার না করলে পুণরায় বন্যার শংকায় রয়েছেন বন্যা কবলিত এলাকাবাসী।
বন্যা কবলিত এলাকার অনেকেই জানান, দীর্ঘ দেড় যুগের ভিতরে এমন বন্যা দেখা দেয়নি, যা দীর্ঘ ৮ দিন ধরে স্থায়িত্ব পেয়েছে।
এদিকে উপজেলার দিঘীরপাড় পূর্ব ও সাতবাঁক ইউনিয়নে কুশিয়ারার পানি জলাবদ্ধতা স্থির থাকায় ইউনিয়ন দুটির জনগুরুত্বপূর্ণ দলইমাটি যাত্রী ছাউনি হতে ভবানীগঞ্জ বাজার রাস্তা, কটালপুর যাত্রীছাউনি হতে মমতাগঞ্জ খেয়াঘাট রাস্তা, মাঝরগ্রাম, শাহপুর, মাটিজুরা সহ কয়েকটি গ্রামের রাস্তার অধিকাংশ স্থান ডুবে রয়েছে।
দিঘীরপাড় পূর্ব ইউনিয়নের দক্ষিণ ঠাকুরের মাটি গ্রামের আব্দুস শুক্কুরসহ আশ্রয় নেয়া কয়েকটি পরিবারের লোকজন জানান, নিম্নাঞ্চলে তাদের বাড়ী হওয়াতে সেখানে ৫ ফুটের উপরে বন্যার পানি রয়েছে। পানির স্রোতে তাদের অনেকের বসত ঘর ভেঙ্গে নিয়ে গেছে। তাদের পক্ষে পুনরায় বসত ঘর নির্মাণ করার অসাধ্যকর হয়ে পড়েছে।
ইউপির ১নং ওয়ার্ডের সদস্য গিয়াস উদ্দিন মড়াই জানান, এবারের বন্যায় তার ওয়ার্ডে রাস্তা-ঘাটে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে যা জনজীবনে মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে। বাল্লাগ্রাম হতে মমতাজগঞ্জ খেয়াঘাটের রাস্তার পুরোটাই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তিনি রাস্তাটির মাটি ভরাট সহ দ্রুত সংস্কারের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এব্যাপারে দিঘীরপাড় ইউপি চেয়ারম্যান আলী হোসেন কাজল বলেন, ইতিমধ্যে জনপ্রতিনিধিসহ সরকারি-বেসরকারি অনেক কর্মকর্তা তার ইউনিয়নের বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। কানাইঘাট উপজেলার পাশাপাশি সিলেট-৫ আসনের সাংসদ সেলিম উদ্দিন তার ইউপিতে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছেন জানিয়ে তিনি ইউনিয়নের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সার্বিক সহযোগিতা ও সরকারী অনুদানসহ বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
সাতবাঁক ইউপি চেয়ারম্যান মস্তাক আহমদ পলাশ জানান, তার ইউপিতে জলাবদ্ধতা এখনও রয়েছে। যার দরুন পানিবাহিত রোগে সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। তিনি তার ইউপিতে সরকারি ত্রাণের পাশাপাশি ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে নগদ ৫০ হাজার টাকা এবং সকল ইউপি সদস্যদের এক মাসের সম্মানী বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় পরিবারের মধ্যে বিতরণ করেছেন। বর্তমানে তার ইউপিতে কোন ত্রাণ সামগ্রী মজুদ না থাকায় অসহায়দের মধ্যে হাহাকার দেখা দিয়েছে বলে জানান।
উপজেলা চেয়ারম্যান আশিক উদ্দিন চৌধুরী জানান, ইতিমধ্যে উপজেলার বন্যা কবলিত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণে উপস্থিত ছিলাম। অত্র উপজেলায় দীর্ঘস্থায়ী এ বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে। তিনি সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও বিভিন্ন দাতা গোষ্ঠীকে নদীভাঙন এলাকা সহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
Office : Central Market (1st floor),
Bandar Bazar (Court Point),
Sylhet – 3100, Bangladesh.
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D