২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৪:৩৩ অপরাহ্ণ, মে ২৭, ২০১৮
২০১৬ সালে অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদকে হারিয়ে সেই যে ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছিল রিয়াল মাদ্রিদ, সেটা তারা ধরে রাখল টানা তৃতীয় বছর। গত বছর জুভেন্টাসকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপার রেকর্ড গড়েছিল তারা। এবার অনন্য নজির তারা গড়ল হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন হয়ে। শনিবার কিয়েভে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে লিভারপুলকে ৩-১ গোলে হারাল রিয়াল।
চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিশ্চিতের পর থেকে সবার আলোচনার কেন্দ্রে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো ও মোহাম্মদ সালাহ। দুজনের কেউই কিয়েভে শিরোপার লড়াইয়ে জ্বলে উঠতে পারলেন না। রোনালদো কঠিন পরীক্ষা নিতে পারেননি লিভারপুলের রক্ষণভাগের। আর আধ ঘণ্টা যেতেই ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে সালাহকে। দুই তারকার নিভে যাওয়ার দিনে জ্বলে উঠলেন গ্যারেথ বেল, যাকে নিয়ে নানা গুঞ্জনের মধ্যে আস্থা রেখেছিলেন জিনেদিন জিদান।
ডিবক্সের বাইরে থেকে বাঁপায়ের শটে গোল করলেন বেলঅবশ্য শুরুতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল লিভারপুলের হাতে। ২৩ মিনিটে আলেক্সান্দার আরনল্ড জোরালো শট নিলেও রিয়াল গোলরক্ষক কেইলর নাভাস আটকে দেন। তার দুই মিনিট পর লিভারপুল বড় ধাক্কা খায় সালাহর কাঁধের চোটে। সের্হিয়ো রামোসের কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে কেঁদে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। তার ৭ মিনিট পর দানি কারভাহালকে ইনজুরিতে হারায় রিয়াল।
বিরতির দুই মিনিট আগে রোনালদোর শক্তিশালী হেড লিভারপুল গোলরক্ষক রুখে দিলেও ফিরতি শটে বল জালে জড়ান করিম বেনজিমা। কিন্তু অফসাইডের ফাঁদে পড়ে গোলটি বাতিল হয়। অবশ্য বিরতির পর ক্যারিয়ারের সহজতম গোলে রিয়ালকে এগিয়ে দেন ফরাসি ফরোয়ার্ড।
অনেক চেষ্টা করেও বেলের শট ধরে রাখতে পারলেন না কারিউসরিয়ালকে বেনজিমা এগিয়ে দেওয়ার আগে ৪৮ মিনিটে ইস্কোর দুর্দান্ত শট ক্রসবারে আঘাত করে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। তিন মিনিট পর গোলরক্ষকের মস্ত বড় ভুলে পিছিয়ে পড়ে লিভারপুল। ৫১ মিনিটে বল হাতে নিয়ে সতীর্থদের দিকে ছুড়ে দিতে চেয়েছিলেন লরিস কারিউস। কিন্তু লিভারপুলের এই গোলরক্ষকের থ্রো বেনজিমার বাঁ পায়ে লেগে ফিরে ঢুকে যায় জালে। ২০০২ সালে জিনেদিন জিদানের পর প্রথম ফরাসি খেলোয়াড় হিসেবে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে গোল করলেন তিনি।
এই ভুলে মাশুল দিয়ে লিভারপুল পিছিয়ে পড়েছিল ঠিক, কিন্তু ৪ মিনিট পর তারা আনন্দে মাতে। ৫৫ মিনিটে রবার্তো ফিরমিনোর কর্নারে হেড করে সামনের দিকে বল পাঠান লভরেন, সহজ ভলিতে জালে বল জড়ান সাদিও মানে।
জোড়া গোলের পর বেলের উদযাপনকিছুক্ষণ পরই এগিয়ে যায় রিয়াল। ৬৩ মিনিটে ইস্কোর বদলি নামার ২ মিনিট ২ সেকেন্ড পরই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন বেল। মার্সেলোর ক্রস থেকে বল খুঁজে পান তিনি। দারুণ বাইসাইকেল কিকে কারিউসকে কোনও সুযোগ না দিয়ে ২-১ করেন বেল।
৭০ মিনিটে মানের একটি শট গোলবারে লাগলে সমতা ফেরানো হয়নি লিভারপুলের। ৮১ মিনিটে বেনজিমার প্রচেষ্টা নস্যাৎ করে দেন কারিউস। কিন্তু ২ মিনিট যেতেই আবার ভুল করে বসেন লিভারপুল গোলরক্ষক। ডিবক্সের বাইরে থেকে বেলের লম্বা শট সোজা চলে যায় তার হাতে, কিন্তু বল ধরে রাখতে পারেননি কারিউস। তাকে আরেকবার বোকা বানিয়ে জালে ঢুকে যায় বল।
৮৩ মিনিটের এই গোলে প্রথম বদলি খেলোয়াড় হিসেবে একটি চ্যাম্পিয়নস লিগ বা ইউরোপিয়ান কাপ ফাইনালে জোড়া গোলের কৃতিত্ব গড়েন বেল।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
Office : Central Market (1st floor),
Bandar Bazar (Court Point),
Sylhet – 3100, Bangladesh.
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D