৯ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬:৩২ অপরাহ্ণ, মে ২৪, ২০১৮
মাদকবিরোধী অভিযানে নিহতের সংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমনি এই প্রক্রিয়ার বৈধতা, উদ্দেশ্য এবং কার্যকারিতা নিয়েও সন্দেহ ও উদ্বেগ জোরালো হচ্ছে। অনেকেই একে বিচারবর্হিভুত হত্যাকান্ড বলে অভিযোগ করছেন।
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় সাম্প্রতিক মাদকবিরোধী অভিযানে এখন পর্যন্ত অন্তত ৪০ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে আরো কয়েকশ’ সন্দেহভাজন মাদক ব্যবসায়ীকে। খবর বিবিসি
মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জিরো টলারেন্স নীতির আওয়ায় গত চৌঠা মে থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযান শুরু করে পুলিশ ও র্যাব।
তাদের কথিত বন্দুকযুদ্ধে এ পর্যন্ত যারা নিহত হয়েছেন তারা মাদক-ব্যবসার সঙ্গে জড়িত এবং প্রায় প্রত্যেকের বিরুদ্ধে থানায় এক বা একাধিক মামলা রয়েছে বলে দাবি নিরাপত্তা বাহিনীর। তবে চিহ্নিত অপরাধী বলে যাদের বন্দুকের নলের সামনে আনা হচ্ছে তাদের কেন আদালতে বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছেনা এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।
মানবাধিকার কর্মীরা এ ব্যাপারে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার নীতিমালা ও দেশের আইনের শাসন মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে আসছেন। তবে শুধু আবেদন জানানোই কি যথেষ্ট? জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বিষয়টি নিয়ে কি করছে?
এ বিষয়ে জানত চাওয়া হয় কমিশনের চেয়ারম্যান কাজি রিয়াজুল হকের কাছে।
তিনি জানান, কোন মানুষকে বন্দুকযুদ্ধে বা তথাকথিত বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে প্রাণ হারাতে না হয় সেটা নিশ্চিত করতে তারা সুস্পষ্ট বক্তব্য রেখেছেন এবং তারা বিষয়গুলো সুক্ষ্মভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।
সরকার পক্ষকে তারা জানান, এ ধরণের অভিযানে চুনোপুটিদের ঘায়েল করা গেলেও পার পেয়ে যায় গডফাদাররা। তাদের ধরতে না পারলে সরকারের এই মাদক বিরোধী বিফলে যাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তবে, রিয়াজুল হক জানান এসব অভিযানের ব্যাপারে পুলিশের বিরুদ্ধে সরাসরি স্বাধীনভাবে তদন্ত পরিচালনার কোন সুযোগ মানবাধিকার কমিশনের নেই। এ সংক্রান্ত সব তদন্ত সরকারের মাধ্যমেই করতে হয় বলে জানান তিনি।
পুলিশ ও সরকারের বিভিন্ন এজেন্সি থেকে মাদক ব্যবসায়ী এবং এই চক্রের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে উল্লেখ করে রিয়াজুল হক জানান তারা সেই তালিকা ধরে ধরে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করছে।
বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান মাদক উদ্ধারও করছে পুলিশ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সেই মাদক উদ্ধার অভিযানের সময়ে এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে বলে জানান রিয়াজুল হক।
এক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সন্দেহভাজনদের যে তালিকা তৈরি করছে সেটা সতর্কতার সঙ্গে পরীক্ষা নীরিক্ষা করে শতভাগ নিশ্চিত হয়ে এই অভিযান পরিচালনা করার আহ্বান জানান তিনি। যেন কোন নিরাপরাধ ব্যক্তি এর শিকার না হয়।
রিয়াজুল হক জানান, সবার মৌলিক অধিকার, মানবাধিকার এবং আইনের শাসন রক্ষা করেই মাদক নির্মূল করতে হবে। এতে যেন কারো মানবাধিকার বিসর্জন দিতে না হয়।
চলতি মাসের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেয়ার পর থেকেই মাদকবিরোধী সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রীর সেই দিক নির্দেশনা অনুযায়ী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, মাদকের সঙ্গে যারাই জড়িত থাক না কেন তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের উদাহরণ টেনে রিয়াজুল হক জানান, আপাত দৃষ্টিতে সরকার কখনোই মানবাধিকার সংস্থার বিপরীতে কোন বক্তব্য দেয়নি। তারাও সবসময় আইনের আওতায় বিচার করার কথা জানিয়ে আসছে।
রিয়াজুল হক বলেন, মাদকের মতো মরণ নেশা সমাজে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ায় দেশের ভবিষ্যত প্রজন্ম ঝুঁকির মুখে রয়েছে। এক্ষেত্রে সরকারের মাদক বিরোধী পদক্ষেপকে স্বাগত জানান তিনি।
তবে সরকারের কোন ভূমিকা যেন আইনের লঙ্ঘণ না করে সে ব্যাপারে তিনি সব পক্ষকে সতর্ক ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান রিয়াজুল হক।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
Office : Central Market (1st floor),
Bandar Bazar (Court Point),
Sylhet – 3100, Bangladesh.
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D