ডাক্তার না পেয়ে ইবি’র চিকিৎসা কেন্দ্র ভাংচুর

প্রকাশিত: ২:২৬ পূর্বাহ্ণ, মে ৯, ২০১৮

ডাক্তার না পেয়ে ইবি’র চিকিৎসা কেন্দ্র ভাংচুর

ডাক্তার না পেয়ে আবারও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) চিকিৎসা কেন্দ্র ভাংচুর করেছে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। এর আগেও চিকিৎসা কেন্দ্রে ডাক্তার না পেয়ে কয়েকবার ভাংচুর করেছিল শিক্ষার্থীরা। দায়িত্বরত চিকিৎসকরা তাদের দায়িত্ব ঠিকমত পালন না করায় এমনটি ঘটছে বলে মনে করছেন সচেতন শিক্ষকরা। ফলে ডাক্তারদের অনুপস্থিতে তার সহযোগীরাই হয়ে উঠেছেন মূল চিকিৎসক।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে জিয়াউর রহমান জিয়া নামে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। কুষ্টিয়া থেকে ক্যাম্পাসে ফেরার পর বাথরুমে গোসল করতে গেলে সেখানেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলে সে। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের এ্যাম্বুলেন্সকে ফোন করা হলেও কোন এ্যাম্বুলেন্স আসেনি। অথচ মাতাল শিক্ষার্থীকে বাড়ি পৌঁছানোর জন্য সাথে সাথে এ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে শিক্ষার্থীরা। পরে তার ব্লকের অন্যান্য শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার করে ভ্যানে করে মেডিকেলে নিয়ে যায়। মেডিকেলে নেওয়ার পর ৪০মিনিট অতিক্রান্ত হলেও কোন ডাক্তার আসেনি রোগী দেখতে। এসময় শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে মেডিকেলের জরুরী কক্ষের ফাইল, আলমারী, টেবিল চেয়ারসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ফেলে দেয়। চাপের মুখে পড়ে ডাক্তারের সহকারী আল-আমিন অসুস্থ জিয়াকে ওয়ার্ডে নিয়ে স্যালাইন ও ঔষধ দেয়। তবে সহকারী আল-আমিন মূল চিকিৎসকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ার পরও ডাক্তারকে পাওয়া যায়নি। পরে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মোঃ রেজওয়ানুল ইসলামকে ফোন দিলে তিনি বিষয়টি দেখছেন বলে শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দেন। প্রায় দেড় ঘণ্টা অপেক্ষার পর ডাঃ মোঃ ওয়াহিদুল হাসান (মিল্টন) চিকিৎসা কেন্দ্রে আসেন। রোগীকে দেখার পর তিনি বলেন এখন রোগীর অবস্থা মোটামুটি ভাল। আশা করছি খুব দ্রত সে সুস্থ হয়ে যাবে।’

চিকিৎসা কেন্দ্রে ডাক্তার না থাকার কারণ জানতে চাইলে প্রধান মেডিক্যাল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ এস এম নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ডিউটির যে চার্ট ছিল তাতে একটু প্রিন্টিং মিসটেক হয়েছে। আমি ডাক্তার পাঠিয়ে দিচ্ছি তিনি এখনই চিকিৎসা কেন্দ্রে পৌঁছে যাবেন।’

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মোঃ রেজওয়ানুল ইসলাম বলেন, ‘আমি বিষয়টি শুনেছি। আসলে ছুটির রোস্টারে একটু ভুল ছিল। আজ মূলত ডিউটি ছিল ডাঃ ওহিদুল হাসানের (মিল্টন)। কিন্তু ৮ মে ছুটির রোস্টারে রাতের ডিউটিতে ডাঃ মোঃ পারভেজ মিয়ার নাম দেওয়া আছে। ডাক্তার না পেয়ে শিক্ষার্থীরা কিছু জিনিসপত্র এলোমেলো করেছে। আমরা বিষটি নিয়ে আগামীকাল বুধবার বসব।

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট