আগামী নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা উচিত : সিইসি

প্রকাশিত: ৩:৪২ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৮, ২০১৮

আগামী নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা উচিত : সিইসি

আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা।

রবিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সেমিনারের আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে একবারও বলিনি যে সেনা মোতায়েন হবে না তবে এটা আমার একার সিদ্ধান্তের বিষয় নয়। ইসির আরো পাঁচজন সদস্য আছেন তারা মিলেই এটা সিদ্ধান্ত নেবেন।’

জাতীয় নির্বাচনে সেনা চাইলেও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের পক্ষে নই—এ কথা উল্লেখ করে সিইসি বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা উচিত বলে মনে করি না।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপ (ইডব্লিউজি) আয়োজিত ওই আলোচনায় সিইসি ছাড়াও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান সেনা মোতায়েনের কথা বলেন।

সব দল আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে : সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, আমরা নিরপেক্ষ থেকে নির্বাচন করবো, এই দৃঢ়তা আমাদের আছে। আশাকরি সব দল আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে। আমাদের প্রতি দলগুলোর কোনো অনাস্থা নেই। দলগুলোর রাজনৈতিক বিষয়ে অনাস্থা রয়েছে।

শনিবার পিআইবি আয়োজিত তিন দিনব্যাপী এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

আগামী সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে সিইসি বলেন, গাজীপুর ও খুলনা সিটি নির্বাচনে যতটুকু সম্ভব ইভিএম ব্যবহার করবো। তারপর যদি জাতীয় নির্বাচনে আস্থা অর্জন হয়, তবে সেখানেও ব্যবহার করবো।

পিআইবি’র এ সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে সংস্থার মহাসচিব মো. শাহ আলমগীর সভাপতিত্ব করেন। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবুয়াল হোসেন।

আরও খবর…
ডিসেম্বর অথবা জানুয়ারির প্রথম দিকে জাতীয় নির্বাচন : সিইসি

‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী ডিসেম্বর অথবা জানুয়ারি মাসের প্রথম দিকে অনুষ্ঠিত হবে’ বলে জানিয়েছন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা।

শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর আশুতোষ পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ে ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনে উপনির্বাচন উপলক্ষে পোলিং অফিসারদের জন্য দিনব্যাপী’ এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শফিকুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিএম মশিউর রহমান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) উম্মে সালমা, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এসময় সিইসি পোলিং অফিসারদের উদ্দেশে বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে আপনাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। এটি একটি মহড়ার মতো। আপনারা এর আগে অনেকেই এ দায়িত্ব পালন করেছেন। ভবিষ্যতে আরও দায়িত্ব পালন করবেন। এটি আপনাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরো বলেন, ‘আপনারা ভালোভাবে নির্বাচন পরিচালনা করবেন। ভালোভাবে নির্বাচন পরিচালনা করলে আমারও সুনাম। আপনারা ব্যর্থ হলে আমিও ব্যর্থ।’

বিভিন্ন সময় ভোট গণনা নিয়ে অভিযোগ আসে উল্লেখ করে নুরুল হুদা বলেন, নির্বাচনে যারা পরাজিত হন তারা প্রায়ই বলেন- তাদের এজেন্ট ছিল না। ভোট গণনা ঠিকমতো হয়নি। ভোটার আসবে ভোটার যাবে। যাকে খুশি তাকে ভোট দেবে। আপনাদের দায়িত্ব হল ব্যালট পেপার হাতে নিয়ে সঠিকভাবে ভোটটি দেয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত করা। ভোটটি বাক্সের মধ্যে ঠিকমতো পড়ল কিনা তা নিশ্চিত করা। অনেকক্ষণ সময় নষ্ট করল কিনা তা দেখা।

আগামী ১৩ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনে উপনির্বাচন নির্বিঘ্নে করতে নির্বাচন কমিশন নিয়োগকৃত এক হাজার ১৬৬ কর্মকর্তাকে নির্দেশনামূলক প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ইলেকশন কমিশন। প্রথম দিনের ৭২৮ পোলিং অফিসারের প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুক্রবার শুরু হয়েছে।

প্রসঙ্গত, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মুহাম্মদ ছায়েদুল হকের মৃত্যুতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনে মার্চের মধ্যে উপনির্বাচনের বাধ্যবাধকতা তৈরি হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের টিকিটে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া ছায়েদুল হক গত ১৬ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। একই দিন গাইবান্ধা-১ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে আগামী ১৩ মার্চ ভোট গ্রহণের দিন নির্ধারণ করে তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফার মৃত্যুতে গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসন শূন্য হয়।