২৩শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:২০ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৮, ২০১৮
বেগম খালেদা জিয়ার জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের লিভ টু আপিল শুনানি শেষে সোমবার আদেশ দেওয়ার জন্য দিন নির্ধারণ করেছে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ।
রবিবার দুপুরে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এই রায় দেন।
এর আগে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের দায়ের করা পৃথক দুটি আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হয়েছে।
এর আগে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নির্দেশ অনুযায়ী, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপাসন খালেদা জিয়াকে দেয়া হাইকোর্টের জামিন স্থগিত চেয়ে গত বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় দুদক এবং রাষ্ট্রপক্ষ লিভ টু আপিল দায়ের করে।
এর আগে ১২ মার্চ সোমবার হাইকোর্ট থেকে চার মাসের অন্তবর্তীকালীন জামিন দেয়ার পরের দিনই আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে তা স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক। ১৩ মার্চ আপিল বিভাগের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর চেম্বার জজ আদালত আবেদন দুটি পরের দিন শুনানির জন্য রেখে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন।
১৪ মার্চ চার মাসের জামিন দিয়ে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ ১৮ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করেন আপিল বিভাগ। ওই সময়ের মধ্যে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষকে নিয়মিত আপিলের আবেদন (লিভ টু আপিল) করার নির্দেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত। সে নির্দেশনা অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকালে লিভ টু আপিল দায়ের করা হয় বলে জানান দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
তিনি বলেন, আপিল বিভাগ রবিবারের মধ্যে লিভ টু আপিল ফাইল করতে বলেছিলেন। সে নির্দেশনা অনুযায়ী, দুদকের পক্ষ থেকে লিভ টু আপিল ফাইল করা হয়েছে। খুরশীদ বলেন, খালেদা জিয়াকে দেয়া হাইকোর্টের জামিন আপিল বিভাগ ১৮ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত রেখেছেন। এখন কোনো কারণে যদি ১৮ মার্চ লিভ টু আপিলের শুনানি না হয় তাহলে কি হবে? সে কারণে স্থগিত আদেশের মেয়াদ বৃদ্ধি চেয়ে অর্থাৎ লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একরামুল হক টুটুল বলেন, খালেদা জিয়ার জামিন স্থগিত চেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরের পর আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় লিভ টু আপিল দায়ের করা হয়েছে। এতে আইনজীবী সুফিয়া খাতুনকে অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড করা হয়েছে। রবিবার তা শুনানির জন্য কার্যতালিকায় এসেছে।
প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়ার পর থেকে তিনি পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন সড়কের পুরনো কারাগারে রয়েছেন। এরপর খালেদা জিয়াকে বয়স ও শারীরিক অসুস্থতা বিবেচনায় ১২ মার্চ চার মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ জামিনের এই আদেশ দেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। একই সঙ্গে খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানসহ মামলার অপর পাঁচ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
চার আসামি হলেন, সাবেক মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, সাবেক সংসদ সদস্য ও ব্যবসায়ী কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও জিয়াউর রহমানের ভাগনে মমিনুর রহমান। এর মধ্যে তারেক রহমান, কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান পলাতক।
অন্যদিকে নড়াইল, কুমিল্লায় একটি করে ও সিএমএম কোর্টের দুই মামলার ওকালতনামায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সই নিতে পারেননি তার আইনজীবীরা।
শনিবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডে অবস্থিত কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে অপেক্ষা করেন বিএনপির আইনজীবী। অনুমতি না পাওয়ায় দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে তারা ফিরে যান। ওকালতনামায় সইয়ের অনুমতি না পাওয়া প্রসঙ্গ অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার অভিযোগ করে বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দীর্ঘ সময় কারাবন্দি রাখতেই ওকালতনামায় সই না দিতে কারা কর্তৃপক্ষ কৌশল নিয়েছে।
তিনি বলেন, জিয়া অরফানেজ মামলায় খালেদা জিয়া জেলে যাওয়ার পর তাকে চারটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তার মধ্যে একটি মামলা কুমিল্লায়, একটি নড়াইলের ও দু’টি মামলা ঢাকার সিএমএম আদালতের। অনেকবার চেষ্টা করেও ওকালতনামায় খালেদা জিয়ার স্বাক্ষর পাওয়া যায়নি। ওকালতনামায় স্বাক্ষর নিয়ে খালেদা জিয়ার জামিনের জন্য আবেদন করা হবে।
তিনি জানান, এর আগে কারাগারে ১৯টি ওকালতনামা দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে নড়াইল ও সিএমএম কোর্টের মামলার ওকালতনামাও ছিলো। কারা কর্তৃপক্ষ কেবল কুমিল্লার একটি মামলার ওকালতনামা স্বাক্ষর করিয়ে সরবরাহ করেছে। বাকি ওকালতনামা স্বাক্ষর করে জেল অথরিটি ফিরিয়ে দেয়নি।
এই আইনজীবী আরো জানান, নড়াইল ও সিএমএম কোর্টের তিনটি মামলার ওকালতনামায় স্বাক্ষর করাতে এসেছিলাম। আমাদের কাছ থেকে সেই ওকালতনামা নিয়ে ভেরিফাই করেছেন জেল অথরিটি। কিন্তু ওই তিনটি ওকালতনামায় স্বাক্ষর এনে দিতে বিব্রতবোধ করেছে তারা।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
Office : Central Market (1st floor),
Bandar Bazar (Court Point),
Sylhet – 3100, Bangladesh.
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D