বিএনপি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছে, এটা ভালো দিক : তোফায়েল

প্রকাশিত: ১১:৫৯ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৮, ২০১৮

বিএনপি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছে, এটা ভালো দিক : তোফায়েল

  ‘উন্নয়নের জন্য সবার আগে দরকার রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। বর্তমানে তা বিরাজ করছে বলেও দাবি করেন ক্ষমতাসীন দলের এই প্রবীণ নেতা। তিনি বলেন উদাহরণ দিয়ে বলেন- আদালতের রায়ে নেত্রী (বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া) কারাগারে থাকার পরও তারা (বিএনপি) শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছেন। এটা ভালো দিক’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

রবিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এসময় বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ২০২৪ সালে পুরোপুরি স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বেরিয়ে আসবে বাংলাদেশ।

ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগ কমে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তোফায়েল বলেন, এ তথ্যটি ভুল। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা যাচ্ছে, অনেক মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানি হচ্ছে। তার মানেই হচ্ছে দেশে বিনিয়োগ বাড়ছে।

বর্তমানে যেসব দেশ অগ্রাধিকারমূলক বাজারসুবিধা (জিএসপি) দেয়, তারা তা ২০২৭ সাল পর্যন্ত দেবে। এরপর তারা দেবে জিএসপি প্লাস সুবিধা। দেশগুলোর সঙ্গে এ নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। আবার যেসব দেশ জিএসপি দেয় না, সেগুলোর সঙ্গে মুক্তবাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) করার ব্যাপারে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, জাতিসংঘ এমন একটি দিনে বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশে (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সেদিন ছিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর যেদিন বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরছিলেন সেদিন লন্ডন এয়ারপোর্টে সাংবাদিকরা জিজ্ঞেস করেছিল যে, ‘তোমার দেশ তো একটা ধ্বংসস্তুপ, কীভাবে এই দেশকে গড়বে?’ বঙ্গবন্ধু সেদিন উত্তর দিয়েছিলেন, ‘আমার দেশের মাটি ও মানুষ যদি থাকে তাহলে এই বাংলাদেশ একদিন সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা সোনার বাংলা হবে।’ আজ জাতিসংঘের এই ঘোষণা তা-ই প্রমাণ করে। বাংলাদেশ আজ সোনার বাংলা হয়েছে।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, স্বল্পোন্নত দেশে (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশ হতে যে তিনটি শর্ত পূরণ করতে হয় তার একটি হচ্ছে মাথাপিছু আয়। একটি দেশের মাথাপিছু আয়ের প্রয়োজন হয় ১২৩০ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশের এখন মাথাপিছু আয় ১৬১০ ডলার। মানবসম্পদ উন্নয়ন হতে হয় ৬৬ শতাংশ। বাংলাদেশ এই সূচকে বর্তমানে অবস্থান করছে ৭৭ শতাংশে এবং অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতার হার থাকতে হয় ৩২ শতাংশের নিচে। বাংলাদেশের এখন রয়েছে ২৪ শতাংশ।

তিনি বলেন, এই ৩টি শর্তই নয়- সরকারের মেগা প্রকল্প গ্রহণ, নিজেদের অর্থে বাজেট, পদ্মা সেতু নির্মাণ মেট্রো রেল, কর্ণফুলী টানেল, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ প্রকল্পসহ বড় বড় প্রকল্প গ্রহণের সক্ষমতা বাংলাদেশকে এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশ হতে সহায়তা করেছে। সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব শুভাশীষ বসু উপস্থিত ছিলেন। সূত্র বাসস।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট