৫ই অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১:৩৮ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৪, ২০১৮
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মেজবাহ-উল ইসলামের বিরুদ্ধে একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলামকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছনা ও আঘাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে অধ্যাপক মেজবাহ-উল ইসলামের দাবি, তাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় একাডেমিক কমিটি ও প্রক্টরের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন আনোয়ারুল ইসলাম। তার অভিযোগ গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিভাগটির চেয়ারম্যান তার কক্ষে তাকে (আনোয়ারুল ইসলাম) মারধর করেন।
অভিযোগে আনোয়ারুল ইসলাম উল্লেখ করেন, সন্তানের অসুস্থতার কারণে সোমবার বিভাগের একাডেমিক মিটিংয়ে আসতে না পারায় পরের দিন মঙ্গলবার ক্লাস নিতে এলে বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মেজবাহ-উল ইসলাম একাডেমিক মিটিংয়ে কেন আসতে পারেননি বলে তার কৈফিয়ত চান। এ সময় এ শিক্ষককে গালিগালাজ এবং তার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। এদিকে একই দিন বিকেলে বিভাগের সন্ধ্যাকালীন প্রোগ্রামে ক্লাস নিতে এলে বিভাগের কর্মচারী দিয়ে আনোয়ারুলকে ডেকে আনেন ড. মেজবাহ-উল ইসলাম। পরে চেয়ারম্যানের রুমে গেলে চেয়ারম্যান তাকে অনেক গালিগালাজ করেন এবং কেন মিটিংয়ে আসেনি তার কারণ জানিয়ে দরখাস্ত দিতে বলেন। আনোয়ারুল দরখাস্ত না দিয়ে ছুটির ফরম জমা দেবেন জানালে তখন অন্য সহকর্মীদের সামনে চেয়ারম্যান তার (আনোয়ারুল) শার্টের কলার ধরে তাকে ধাক্কা দেন। এ সময় সহকর্মীরা চেয়ারম্যানকে আটকানোর চেষ্টা করেন। পরে তারা চলে গেলে চেয়ারম্যান মেজবাহ ফের আনোয়ারুলের ওপর চড়াও হন এবং তাকে লাথি ও ঘুষি দেন। এরপর ভুক্তভোগী এ শিক্ষক বাসায় চলে যান।
অভিযোগের বিষয়ে চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ মেজবাহ-উল-ইসলাম বলেন, ‘আমাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এ নিয়ে ডিনসহ আমাদের একাডেমিক কমিটির মিটিং হয়েছে। বিষয়টি ঠিক হয়ে গেছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘আমাদের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। আমরা বিষয়টি দেখব।’
ঢাবি’র রসায়ন বিভাগে আবারো অনিয়ম
গেল বছর মাস্টার্স ডিগ্রি ছাড়াই শিক্ষক নেওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগ ফের আলোচনায় এসেছে। বিভাগটির দুই সহকারী অধ্যাপক ছুটি শেষে বিভাগে যোগদান করলেও তাদের বিপরীতে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকরা এখনো বহাল আছেন।
এ নিয়ে বিড়ম্বনা সৃষ্টি হয়েছে বিভাগটিতে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম বলছে, কোনো বিভাগে ছুটিজনিত শূন্য পদের বিপরীতে বিভাগ চাইলে ওই পদে অস্থায়ী নিয়োগ দিতে পারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে যে শিক্ষকের বিপরীতে নিয়োগ দেওয়া হবে, তিনি ছুটি শেষে বিভাগে ফিরলে অস্থায়ীভাবে নিয়োগপ্রাপ্তদের নিয়োগ বাতিল হবে। তার আর ক্লাস, বেতন-ভাতাও পাবেন না।
২০১৭ সালের ৬ মার্চ ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগে ৯ জনকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শিক্ষা ছুটি শেষে বিভাগের দুই সহাকারী অধ্যাপক মো. শহিদুল ইসলাম ২০১৭ সালের ১০ ডিসেম্বর ও সুমাইয়া ফারহানা কবির ৩১ জানুয়ারি যোগ দিয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী এ দুজন স্বপদে ফেরার সঙ্গে সঙ্গেই চাকরি চলে যাওয়ার কথা তাদের বিপরীতে অস্থায়ীভাবে নিয়োগপ্রাপ্তরা। কিন্তু তাদের বিপরীতে নিয়োগপ্রাপ্ত দুই প্রভাষক মো. সিরাজুর রহমান ও মো. সাজেদুল ইসলাম এখনো বহাল রয়েছেন। তারা দুজনই এখনো বিভাগে নিয়মিত ক্লাস নিচ্ছেন।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
Office : Central Market (1st floor),
Bandar Bazar (Court Point),
Sylhet – 3100, Bangladesh.
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D