২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১:৫৪ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৩০, ২০১৭
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলছে, অধঃস্তন আদালতে প্রাতিষ্ঠানিক, অবকাঠামোগত এবং নিয়োগ, বদলি থেকে শুরু করে সর্বত্রই জটিলতা রয়েছে। বিচারব্যবস্থার প্রতিটি স্তরেই নিয়মবহির্ভূতভাবে আর্থিক লেনদেনের প্রমাণও মিলেছে এই গবেষণায়।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর টিআইবির নিজস্ব কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দ্বৈত শাসনব্যবস্থা, বিচারক সংকট এবং মামলার দীর্ঘসূত্রতার কারণে অধঃস্তন আদালতে উদ্বেগজনক হারে দুর্নীতি হয়। সংস্থাটি বলছে, অনেক ক্ষেত্রে দুর্নীতির সুযোগ করে দিতেও করা হয় দীর্ঘসূত্রতা।
অধস্তন আদালতের নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধান এককভাবে সুপ্রিম কোর্টের ওপর ন্যস্ত করার সুপারিশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
অধঃস্তন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা ও আচরণ বিধিমালা প্রকাশিত না হওয়া এবং আদালতের কর্মচারীদের পৃথক আচরণবিধি না থাকাতেও জবাবদিহিতার জায়গাটি স্পষ্ট হচ্ছে না বলে মনে করে করা হয়েছে টিআইবি এই গবেষনায়।
অধঃস্তন আদালত কতটুকু প্রভাবিত হচ্ছে, উচ্চ আদালতের সাম্প্রতিক ঘটনায় সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নও ছিল সংবাদ সম্মেলনে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘বিচারকের নাম করে, বিচারককে দিতে হবে এই ধরনের আরগুমেন্ট দেখিয়ে কিন্তু যারা অংশীজন আইনজীবী থেকে শুরু করে বিচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এই প্রবণতা আছে। যার মাধ্যমে দুর্নীতি বা অর্থ লেনদেন হয়। আমাদের কাছে এমন কোনো তথ্য অবশ্যই নেই যে সরাসরি কোনো বিচারক ট্রানজেকশন করেছেন। থাকলে সেটা আমরা চিহ্নিত করতাম।’
এ বিষয়ে টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান সুলতানা কামাল বলেন, ‘আমরা সাধারণ নাগরিক হিসেবেও কিন্তু প্রভাবিত হয়েছি। আমাদের জীবনেও কিন্তু এটার একটা ছায়া পড়েছে, একটা আলোড়ন সৃষ্টি করেছে আমাদের নিজেদের মধ্যে। আমরা যে বিচার ব্যবস্থার বিষয় নিয়ে কথা বলছি, সেটা তো ওই বিচার ব্যবস্থারই একটা অংশ। তো আমি আপনার প্রশ্নের যদি সরাসরি উত্তর দেই, তাহলে হ্যাঁ অবশ্যই প্রভাবান্বিত হবে।’
দেশের ১৮টি জেলায় এই গবেষণা চালায় টিআইবি। যেখানে ৪৩৭ জনের সাক্ষৎকার নেওয়া হয় যাদের মধ্যে বিচারক ছিলেন ৬৬ জন।
গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন টিআইবির রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি বিভাগের প্রোগ্রাম ম্যানেজার শাম্মী লায়লা ইসলাম ও অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রোগ্রাম ম্যানেজার নাজমুল হুদা মিনা।
এ সময় ছিলেন টিআইবি ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান ছাড়াও নির্বাহী ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের, মো. রফিকুল হাসানসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য দেশে যেসব মামলা বিচারাধীন রয়েছে, তার ৮৬ শতাংশই নিম্ন আদালতে। আর এই আদালতের বিচারব্যবস্থায় দুর্নীতি হয় বলে মনে করে দেশের ৩১ শতাংশ মানুষ। ২০১৫ সালে ইউএনডিপির এক জরিপে উঠে এসেছিল এমন তথ্য।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
Office : Central Market (1st floor),
Bandar Bazar (Court Point),
Sylhet – 3100, Bangladesh.
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D