আত্মসাতের অভিযোগে বিজিত চৌধুরীর বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের

প্রকাশিত: ২:০৮ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ২২, ২০১৭

আত্মসাতের অভিযোগে বিজিত চৌধুরীর বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের

চার কোটি টাকা আত্মসাত এবং হত্যার হুমকির অভিযোগ এনে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক বিজিত চৌধুরীর বিরুদ্ধে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দুটি মামলা হয়েছে। যার নং- কোতোয়ালী সিআর ১৫৭২ ও ১৫৭৩ (২১-১১-১৭)। ধারা- বাংলাদেশ দন্ডবিধি আইনের ৩৮৫/৩৮৬/৩২৫/৪১৬/৪১৯/৪০৬/৪২০/৪৬৮/৫০৬ (২)/৩৪।

মঙ্গলবার নগরীর মিরাবাজারের মেসার্স সিটি ফার্নিচারের সত্বাধিকারী রাঙ্গা সিংহ ও তার স্বামী নগেন্দ্র চন্দ্র বর্মন বাদী হয়ে মামলা দু’টি দায়ের করেন। এরপর আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক সাইফুল ইসলাম মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত করতে জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিশেনকে (পিবিআই) নির্দেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন বাদীদের আইনজীবী এডভোকেট শেখ পপি।

তবে, অভিযোগের বিষয় সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা বিজিত চৌধুরী। তিনি নিজেও আইনের আশ্রয় নেবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বাদী নগেন্দ্র বর্মণ এক সময় তার দোকানের কর্মচারি ছিল। সে কোন কুচক্রি মহলের ইন্ধনে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মামলা দায়ের করেছে। তদন্তের মাধ্যমে মামলাটি ‘মিথ্য ও বানোয়াট’ বলে প্রমাণিত হবে বলেও দাবি এই নেতার।

বিজিত চৌধুরী আরোও বলেন- ‘নগেন্দ্র চন্দ্র বর্মণ সময় সে আমাকে ব্যবসা করার জন্য পার্টনার হওয়ার অনুরোধ করে। পরে আমি তাকে ব্যবসার জন্য বিভিন্ন সময়ে ২০ থেকে ২১ লাখ টাকা দিয়েছি। এগুলোর কাগজপত্র আমার কাছে রয়েছে। এছাড়া তার একটি ব্যাংক লোনেও আমি নিজে গ্রান্টার হিসেবে আছি। কিন্তু এখন সে কোন একটি মহলের ইন্ধনে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে। আমি এর সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করছি।’

বিভিন্ন জনের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদা আদায় প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে বিজিত চৌধুরী বলেন- এই সিলেট শহরের কারোর কাছ থেকে আমি কোনদিন ১শ’ টাকাও চাঁদাবাজি করিনি। আর কারোর নাম ভাঙানোর প্রশ্নও উঠে না। আপনারা সাংবাদিকরাও বিষয়টি অবগত রয়েছেন।

মামলা অভিযোগে বলা হয়েছে- ২০০৯ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বাদীদ্বয়ের কাছ থেকে বড় অংকের টাকা চাঁদা হিসেবে নেন বিজিত চৌধুরী (৫৬)। এছাড়া তারাপুরের ভূমি জোরপূর্বক বিক্রির টাকাসহ সাড়ে ৪ কোটি টাকা আত্মসাত করেন বিজিত চৌধুরী। এর মধ্যে রাঙ্গা সিংহের ৩ কোটি টাকা ও স্বামী নগেন্দ্র চন্দ্র বর্মণের দেড় কোটি টাকা মামলা দু’টিতে উল্লেখ করা হয়।

মামলায় আরো উল্লেখ রয়েছে, বিজিত চৌধুরী অর্থমন্ত্রীসহ বিভিন্ন মন্ত্রী, মোল্লা আবু কাওছার, মিসবাহ উদ্দিন সিরাজের, কখনো ক্রীড়া সংস্থার, কখনো মন্ত্রীদের বন্ধু, কখনো পত্রিকার সম্পাদকসহ বিভিন্ন পরিচয় দিয়ে চাঁদা আদায় করেন। পাওনা টাকার বিপরীতে বাদীদেরকে চেকও দেন বিজিত চৌধুরী। কিন্তু ব্যাংকে টাকা তুলতে গেলে চেক ফেরত আসে।

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট