প্রধান বিচারপতির পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত: ১১:৫১ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১৪, ২০১৭

প্রধান বিচারপতির পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি

বিদেশে অবস্থানরত প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ।

সোমবার রাতে রাষ্ট্রপতি তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন।

রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন মঙ্গলবার বলেন, পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র আজ আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে ক্ষমতাসীনদের তোপের মুখে এক মাসের বেশি ছুটি নিয়ে গত ১৩ অক্টোবর বিদেশে যান বিচারপতি সিনহা। সেই ছুটি শেষে গত শনিবার তার পদত্যাগপত্র পাওয়ার কথা জানায় বঙ্গভবন।

২০১৫ সালের ১৭ জানুয়ারি দেশের ২১তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন এস কে সিনহা। বয়স অনুযায়ী ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি তার অবসরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পদত্যাগের মধ্যে দিয়ে ৮১ দিন আগেই তার কার্যকাল শেষ হয়।

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ২১ জন বিচারক প্রধান বিচারপতির পদে অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন, তাদের মধ্যে বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাই প্রথম পদত্যাগ করলেন। দায়িত্বে থাকা অবস্থায় বাংলাদেশে আর কোনো প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে প্রকাশ্যে এত আলোচনা-সমালোচনাও হয়নি।

বিচারপতি সিনহা ছুটি নিয়ে বিদেশ যাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অর্থ পাচার, আর্থিক অনিয়ম ও নৈতিক স্খলনসহ সুনির্দিষ্ট ১১টি অভিযোগ ওঠার কথা সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

সর্বোচ্চ আদালত জানায়, ওই সব অভিযোগের ‘গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা’তিনি না দিতে পারায় সহকর্মীরা তার সঙ্গে এজলাসে বসতে নারাজ।

গত অক্টোবরে বিচারপতি সিনহা ছুটিতে যাওয়ার পর আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারক বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিঞাকে প্রধান বিচারপতির দায়িত্বভার দেন রাষ্ট্রপ্রধান মো. আবদুল হামিদ।

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের মত আইনমন্ত্রী আনিসুলক হক ইতোমধ্যে জানিয়েছেন, যতদিন নতুন প্রধান বিচারপতি শপথ না নেবেন, ততদিন পর্যন্ত সর্বোচ্চ আদালতের কর্তৃত্ব আবদুল ওয়াহহাব মিঞার হাতেই থাকছে।

এদিকে, সরকার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে পদত্যাগে বাধ্য করেছে বলে অভিযোগ করেছে জাতীয় হিন্দু মহাজোট।

সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক এ অভিযোগ করেন।

হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক বলেন, বিচারবিভাগকে স্বাধীন বলা হলেও প্রধান বিচারপতিকে যেভাবে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে, তা ইতিহাসে নজিরবিহীন।