২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৪:৩৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৫, ২০১৭
সারাদেশে যানবাহনে ব্যবহৃত হাইড্রোলিক হর্ন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ বিষয়টি পর্যালোচনা করে পরিবেশ আইন অনুসারে শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার দুপুরে এক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজিপিসহ ২০ জনকে এই রুলে বিবাদী করা হয়েছে। একই সঙ্গে এ বিষয়ে তাদেরকে জবাব দিতে বলা হয়। পুলিশের আইজি, ট্রাফিক পুলিশ কমিশনারসহ চারজনকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
এর আগে সকালে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদনটি দায়ের করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
রিটে বলা হয়েছিল, মোটরযান অধ্যাদেশ অনুযায়ী যানবাহনে এমন কোনো যন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না, যা শব্দ দূষণের সৃষ্টি করে। কিন্তু আইন ভঙ্গ করে বিভিন্ন যানবাহনে হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার করা হচ্ছে। তাই উক্ত রিটে হর্ন ব্যবহারকারী যানবাহন জব্দের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশসহ (ডিএমপি) সংশ্লিষ্টদের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের পর রোববার (০৮ অক্টোবর) বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
গত ২৩ আগস্ট রুল জারিসহ রাজধানীতে চলাচলকারী সকল যানবাহনে হাইড্রোলিক হর্নের ব্যবহার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধ, ২৭ আগস্টের পর কোনো গাড়িতে হাইড্রোলিক হর্ন থাকলে সে গাড়ি জব্দ এবং হাইড্রোলিক হর্নের আমদানি বন্ধ করে বাজারে এখনও যেসব হর্ন রয়েছে, তা জব্দের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
দু’সপ্তাহের মধ্যে হাইড্রোলিক হর্নের আমদানি-ব্যবহার নিষিদ্ধের এ আদেশ বাস্তবায়নের বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদনও দিতে বলেছিলেন আদালত। এর প্রেক্ষিতে প্রতিবেদন দাখিল করেন ডিএমপিসহ সংশ্লিষ্টরা।
রুলে হাইড্রোলিক হর্ন বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না এবং সারাদেশে হাইড্রোলিক হর্ন বন্ধে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে চান হাইকোর্ট।
চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের আইজিপি, হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি, ডিএমপি’র কমিশনার, ট্রাফিকের যুগ্ম কমিশনার, বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান, ঢাকার ট্রাফিকের চার ডিসিসহ ২০ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। হিউম্যান রাইটস্ অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে রিটটি করেছিলেন তিনি।
মনজিল মোরসেদ পরে সাংবাদিকদের বলেন, যেসব গাড়িতে এখনো হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার করা হচ্ছে, সেসব গাড়ির মালিকদেরকে ১৫ দিনের মধ্যে নিকটস্থ থানায় জমা দিতে বলেছেন হাইকোর্ট। আর পুলিশ কর্তৃপক্ষকে বলেছেন, যেসব হাইড্রোলিক হর্ন জমা হবে, সেগুলো ধংস করতে হবে।
এর আগে হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ করা সংক্রান্ত যে আদেশ দিয়েছেন আদালত, তা বহাল আছে বলেও জানান এই আইনজীবী।
তিনি জানান, ঢাকাসহ সারা দেশে শব্দদূষণের অন্যতম কারণ হলো যানবাহনে ব্যবহৃত হাইড্রোলিক হর্ন। এ হর্ন জব্দ করতে আদেশ ও তার অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। তারই প্রেক্ষিতে আদালতে পুলিশ কমিশনার এবং অন্য কর্তৃপক্ষ প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রশাসন শত শত হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ করেছে। কিন্তু তাতে টেকনিক্যাল সমস্যা।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
Office : Central Market (1st floor),
Bandar Bazar (Court Point),
Sylhet – 3100, Bangladesh.
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D