২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১:৩৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৭
মায়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে ত্রাণ কার্যক্রমে সমন্বয়হীনতা এবং বিশৃঙ্খলার অভিযোগ তুলছেন স্থানীয়রা।
এসব রোহিঙ্গাদের সাহায্যের জন্য ত্রাণ সহায়তা আসছে বিভিন্ন স্থান থেকে। বিভিন্ন সংগঠন থেকে শুরু করে ব্যক্তি পর্যায়ে দেয়া হচ্ছে নানা ধরনের ত্রাণ সহায়তা। খবর বিবিসির।
বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কয়েক লক্ষ মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণে বিশৃঙ্খল অবস্থা তৈরি হয়েছে। তবে স্থানীয় প্রশাসন দাবি করছে গত চার দিনে তারা প্রায় আশি শতাংশ শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন।
সেখানে খিচুরি রান্না করে একবেলা খাওয়ানোই মূলত তার উদ্দেশ্যে। কয়েকজন বন্ধু মিলে একেবারে ব্যক্তি পর্যায়ের এই উদ্যোগে বেশ ঝামেলায় পড়েছিলেন তিনি।
‘আসলে ত্রাণ কাকে দিব, কাকে দিলে উপকার হবে সেটা বুঝতে পারিনি। সামনে যাকে পাচ্ছি তাকেই দিয়ে দেয়া হচ্ছে। অনেকে ডাবল পাচ্ছে, অনেকে পাচ্ছে না। যারা ত্রাণ দিতে আসছে তারা না বলে আসছে। ত্রাণ দিতে এসে অনেকে আবার অসুস্থ হয়ে পড়ছে’।
সলিমুল্লাহ খানের মতো আরো অনেকেই বাংলাদেশের নানা জেলা থেকে ত্রাণ সাহায্য নিয়ে যাচ্ছেন। ব্যক্তিগত উদ্যোগ ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সংগঠনের পক্ষ থেকে খাদ্য, বস্ত্র, ওষুধ, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস নেয়া হচ্ছে সেখানে।
তবে এই ত্রাণ বিলি-বন্টন নিয়ে নানা ধরনের অভিযোগও শোনা যাচ্ছে।
কক্সবাজারের আরেকটি উপজেলা উখিয়ার একজন স্থানীয় বাসিন্দা ওবায়দুল হক বলছিলেন, ট্রাকে করে রাতের বেলায় যেসব ত্রাণ আসছে সেগুলো ক্যাম্প পর্যন্ত পৌছাতে পারছে না।
‘লক্ষ্য করছি গাড়িগুলো যখন আসে প্রশাসনের চোখে পড়ে না। রাতের বেলা যে গাড়িগুলো এলাকায় ঢুকছে সেগুলো ঠিকমতো ক্যাম্পে পৌঁছাতে পারছে না, এখানকার স্থানীয় কিছু দালাল, বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মালামালগুলো তাদের হাতে পড়ছে বলে আমরা অনেক তথ্যও পেয়েছি’।
তবে প্রশাসন থেকে বলা হচ্ছে গত চারদিন ধরে ত্রাণ ব্যবস্থাকে একটা নিয়মের মধ্যে আনার চেষ্টা করছে তারা। পুরো কক্সবাজার এলাকায় এখন ১৭টি ত্রাণকেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে।
যারা ত্রাণ দিতে চান তারা প্রশাসনের কাছে জমা দিচ্ছেন। সেখান থেকেই রোহিঙ্গাদের মাঝে ত্রাণ বন্টনের চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে কয়েক লক্ষ মানুষের মধ্যে সুষ্ঠুভাবে ত্রাণ বিতরণ যে একটা বিরাট চ্যালেঞ্জের ব্যাপার সেটা প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরাও স্বীকার করছেন।
উখিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মাইনউদ্দিন বলছিলেন শুরুতে সেই সমস্যা থাকলেও, ত্রাণ নিয়ে বিশৃঙ্খলা এখন তারা ৮০ শতাংশ সামলে উঠেছেন।
‘গত চার দিন থেকে আশি শতাংশ শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। আমরা যখন কন্ট্রোল রুম চালু করলাম আর ডিস্ট্রিবিউশন পয়েন্ট ঠিক করলাম, তখন থেকে অনেক শৃঙ্খলা ফিরেছে। আর কদিনের মধ্যে পুরোপুরি এ বিষয়টা শৃঙ্খলার মধ্যে চলে আসবে’।
গত সপ্তাহে কক্সবাজারে অবস্থানের সময় দুইটি উপজেলায় যে ত্রাণ নিয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছিল তা আমার নজরে পড়েছে। পুরাতন কাপড় ভর্তি ট্রাক সেখানে যাচ্ছিল এবং রাস্তার পাশে বসে থাকা মানুষদের দিকে ছুঁড়ে দিচ্ছিল।
আবার একটু পরেই দেখেছি সেই সব কাপড় রোহিঙ্গারা ফেলে দিয়েছে, জানতে চাইলে তারা বলেছে পুরাতন কাপড়ের দরকার নেই তাদের। তাদের দরকার আশ্রয় এবং খাদ্য।
এছাড়া যেকোনো ত্রাণের গাড়ী দেখলেই শত শত রোহিঙ্গা সেদিকে ছুটে যেতে দেখেছি। নিয়মতান্ত্রিকভাবে সেসব ত্রাণ বন্টন করা যায়নি।
এদিকে ত্রাণ বিতরণ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে মানুষের বিভিন্ন পোস্ট এবং ছবিকে ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। এ ধরনের পোস্টকে অহেতুক প্রচারণা হিসেবে মনে করছেন অনেকে।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
Office : Central Market (1st floor),
Bandar Bazar (Court Point),
Sylhet – 3100, Bangladesh.
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D