দক্ষিণ সুরমার ধরাধরপুর পশ্চিমপাড়ায় জলাবদ্ধতা ॥ জনদুর্ভোগ চরমে

প্রকাশিত: ৪:২৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ১, ২০১৭

দক্ষিণ সুরমার ধরাধরপুর পশ্চিমপাড়ায় জলাবদ্ধতা ॥ জনদুর্ভোগ চরমে

শরীফ আহমদ, দক্ষিণ সুরমাঃ সিলেট শহরতলীর দক্ষিণ সুরমা উপজেলা তেতলী ইউনিয়নে ধরাধরপুর পশ্চিমপাড়ায় কয়েক হাজার মানুষ বাস করেন। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টি হলেই গ্রামের একমাত্র রাস্তায় হাঁটু পানি জমে। অল্প বৃষ্টি কিংবা অধিক বৃষ্টিতে গ্রামের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলো তলিয়ে যায়। যানবাহন কিংবা পথচারী সবাই নোংরা পানি ঘেঁটে গন্তব্যে যাতায়াত করেন।

এ ইউনিয়নে জলাবদ্ধতা নিরসনের কোনো উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্টরা। সঠিক পরিকল্পনায় জলাবদ্ধতা নিরসনের ব্যবস্থা নেয়া হলে এ দুর্ভোগ পোহাতে হতো না গ্রামের জনগণকে। তেতলী ইউনিয়নের অন্যান্য রাস্তা সংস্কার করা হলেও পশ্চিমপাড়ার এই রাস্তাটি দীর্ঘ দিন ধরে অবহেলিত হয়ে আসছে। পশ্চিমপাড়া বাসিন্দা পংকি মিয়া আক্ষেপ করে বলেন, গ্রামের এই রাস্তাঘাট আগে অনেক ভালো ছিল। এখন রাস্তা দিয়ে হেঁটে মসজিদে যাওয়ার পর মনে সন্দেহ থাকে শরীরি পবিত্র আছে তো?

দীর্ঘ ১৫ বছর যাবৎ গ্রামের পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা জলাবদ্ধতার কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধির কাছে অর্ধ কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তার পানি নিষ্কাশনের জন্য বার বার অভিযোগ করলেও কোন সুরাহা পায়নি গ্রামবাসী।

এ ব্যাপারে সিলেট-৩ আসনের এমপি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী ২০১২ সালের ৮ ডিসেম্বর রাস্তাটি পরিদর্শন করেন এবং জলাবদ্ধতা নিরসনে আশ্বস প্রদান করেন।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবু জাহিদ অভিযোগের ভিত্তিতে তেতলী ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়ার রাস্তাটি পরিদর্শন করেছেন। তিনি উপজেলা থেকে বরাদ্দ পেলে রাস্তার উন্নয়নে কাজ করবেন।

ইউনিয়নের ধরাধরপুর ফুরকানিয়া এবতেদায়ী মাদরাসার সামন হতে ধরাধরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সামন পর্যন্ত বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। স্কুল ও মাদরাসাগামী শিক্ষার্থীরা দুর্ভোগের শিকার হন। পশ্চিমপাড়ার ২৫০টি পরিবারের কয়েক হাজার মানুষ পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিনিয়ত সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। এতে তাদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট