মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ, উদ্বিগ্ন প্রবাসীরা

প্রকাশিত: ৪:৫২ অপরাহ্ণ, জুন ৫, ২০১৭

মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ, উদ্বিগ্ন প্রবাসীরা

কাতারের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের চারটি দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের প্রেক্ষিতে যে উত্তেজনা বিরাজ করছে তা ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ।

সোমবার সৌদি আরবসহ ওই চারটি দেশের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত ঘোষণা আসার পরপরই মধ্যপ্রাচ্যের মিশনগুলোতে যোগাযোগ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ সার্বক্ষনিক বিষয়টির ওপর নজর রাখছে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে।

অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির অভিযোগ এনে সোমবার কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের আরো তিনটি দেশ। ওই তিনটি দেশ হলো- মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন। এ দেশগুলো সৌদি আরবের একান্ত বন্ধু রাষ্ট ও মিত্র।

কাতারের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থার সাম্প্রতিক একটি হ্যাকের ঘটনা নিয়ে কাতার ও উপসাগরীয় এ আরব দেশগুলোর মধ্যে বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ছে। যার সূত্র ধরে ওই চারটি দেশ কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দেয়।

এদিকে এ ঘটনায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন প্রবাসীরা।

প্রসঙ্গত, ট্রাম্প ও সউদী বাদশাহ সালমান ইরানকে বিশ্বে সন্ত্রাসবাদের প্রধান মদতদাতা বলে আখ্যায়িত করার তিনদিন পর সউদী আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) ইরানকে বিচ্ছিন্ন করার প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত করার জন্য কাতারকে অভিযুক্ত করে।

বিশ্লেষকরা বলেন, ট্রাম্পের অধীনে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে বলীয়ান সউদী আরব ও ইউএই মধ্যপ্রাচ্যে ইরানি প্রভাবের বিরুদ্ধে সম্মিলিত জোটকে দুর্বল করতে পারে এমন যে কোনো বিরোধিতা চূর্ণ করতে চায়। দু’দেশ মুসলিম ব্রাদারহুড ও হামাসের মত ইসলামী আন্দোলনের প্রতি সমর্থন বন্ধের জন্য কাতারের উপর চাপ সৃষ্টি করেছে।

ট্রাম্প রিয়াদে দু’দিন অবস্থান করেন। এ সময় তিনি দু’দেশের মধ্যে ৪০০ বিলিয়ন ডলার চুক্তি স্বাক্ষর তদারক করেন। তিনি কাতারের মার্কিন সামরিক সরঞ্জাম ক্রয় নিয়ে শেখ তামিমের সাথে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, দু’দেশের মধ্যকার এ বন্ধুত্ব দীর্ঘদিনের।

সর্বশেষ সংকটের সৃষ্টি হয় তখন যখন রাষ্ট্র পরিচালিত কাতার বার্তা সংস্থা ক্রমবর্ধমান ইরান বিরোধী মনোভাবের বিরুদ্ধে শেখ তামিমের সমালোচনার খবর প্রকাশ করে। কর্মকর্তারা দ্রুত খবরটি মুছে ফেলেন, এ খবরের জন্য হ্যাকারদের দায়ী করেন এবং শান্ত থাকার আবেদন জানান।

কিন্তু তা সউদী ও ইউএই-র সংবাদ মাধ্যমগুলোকে কাতারের বিরুদ্ধে মৌখিক যুদ্ধ ঘোষণা থেকে নিবৃত্ত করতে পারেনি। তারপর সপ্তাহান্তে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সাথে শেখ তামিমের ফোনে কথাবার্তাকে সউদী আরবকে পাত্তা না দেয়া হিসেবে দেখা হয়। ফলে, কাতারের প্রতি তাদের সমালোচনা আরো বিস্তার লাভ করে।