জৈন্তাপুরে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে আহত ৫০

প্রকাশিত: ১০:৩৭ পূর্বাহ্ণ, মে ২৪, ২০১৭

জৈন্তাপুরে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে আহত ৫০

মোঃ রেজওয়ান করিম সাব্বির : সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুরে দুই ছাত্রের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শালিস বৈঠকে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্র, ইউপি সদস্য সহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছে। লামাশ্যামপুর হাউদপাড়া ও হেমু তিনপাড়া গ্রামবাসীর মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
উপজেলার হরিপুর বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ে গত ২১ মে রবিবার বিদ্যালয়ের ক্লাসে ১০ম শ্রেনীর ২ ছাত্র কমর উদ্দিন ও আবু বক্কর সিদ্দেক এর মধ্যে ত্চ্ছু ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনা আপোষ নিষ্পত্তির লক্ষে মঙ্গলবার দুপুর ১টায় বিদ্যলয়ের হল রুমে ছাত্র শিক্ষক অভিভাবক এবং বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্যদের নিয়ে এলাকার জন প্রতিনিধি ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সালিষ বৈঠক বসে।
বৈঠক শেষে ফেরার পথে স্কুল গেইটে দুই গ্রামের লোকজন পূর্বের ঘটনার সূত্র ধরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে ছাত্র, ইউপি সদস্য ও পথচারী সহ ৫০জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েক জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেটের বিভিন্ন ক্লিনিকে প্রেরণ করা হয়েছে বলে আহতদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে। অন্যরা স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ী ফিরেছে।
ঘটনার সংবাদ উভয় গ্রামের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে তারা দেশিয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজিত হয়ে সংঘর্ষের জন্য ঘটনাস্থলে জড়ো হতে থাকে। সংঘর্ষের জন্য তারা সেল, বল্মম, তীর ধনুক, লাটি সোটা, বুলেটপ্রুফ জেকেট ও মাথায় হেলমেট এবং পাথর ভর্তি বেগ নিয়ে উপস্থিত হয়। এনিয়ে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
আহতরা হলেন- তিনপাড়া গ্রামের হাজী হাফিজ উল্লার ছেলে ৫নং ফতেপুর ইউপি সদস্য আব্দুল মুতলিব, একই গ্রামের প্রকাশ সেক্রেকারীর ছেলে দোলোয়ার হোসেন, হেমু পাখি টিখি গ্রামের তজই মিয়ার ছেলে আবু মিয়া, ভাটপাড়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুছ এর ছেলে মঞ্জুর আহমদ, তিনপাড়া গ্রামের আব্দুল মাল এর ছেলে মামুনুর রশিদ, হরিপুর বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেনীর ছাত্র তিনপাড়া গ্রামের জয়নালের ছেলে রাশেল আহমদ, ফখরুল ইসলামের ছেলে আল-আমিন, আবু-বক্কর সিদ্দেক। অন্যান্য আহতদের নাম জানা যায়নি।
অপরদিকে ঘটনার সংবাদ পেয়ে জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, ভাইস চেয়ারম্যান বশির উদ্দিন, দরবস্ত ইউপি চেয়ারম্যান বাহারুল আলম বাহার, সাবেক জৈন্তাপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল মাহমুদ ঘটনাস্থলে পৌছে সৃষ্ট ঘটনার নিষ্পত্তির লক্ষে উভয় পক্ষের সাথে আলোচনা অব্যাহত রেখেছেন।

এদিকে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে হরিপুর বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত লামাশ্যামপুর হাউদপাড়া গ্রামের লোকজন আপোষ নিষ্পত্তির জন্য সালিশ গনের কাছে সম্মতি দিয়েছে। তবে হেমু তিনপাড়া গ্রামের লোকজান সম্মতি দিতে রাত ৯টা পর্যন্ত সময় নিয়েছে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট