পিলখানায় বিডিআর হত্যার মামলার আপিলের রায় যেকোনো দিন

প্রকাশিত: ৪:০৭ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৩, ২০১৭

পিলখানায় বিডিআর হত্যার মামলার আপিলের রায় যেকোনো দিন

বহুল আলোচিত পিলখানায় বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) হত্যা মামলায় নিম্ন আদালতের দেয়া রায়ের ডেথ রেফারেন্স ও ফৌজদারি আপিলের শুনানি শেষ হয়েছে। যেকোনো দিন রায় ঘোষণা করা হবে।

বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) বিচারপতি মো. শওকত হোসাইন, বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এই বেঞ্চে ৩৭০ কার্যদিবস আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের ওপর শুনানি হয়।

এই মামলায় বিভিন্ন আসামিদের বিরুদ্ধে দেয়া সাজার বৃদ্ধির জন্য রাষ্ট্রপক্ষের করা ৩টি আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত। আদালতে আসামিদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এম আমিনুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমসহ বিভিন্ন আইনজীবী অংশ নেন।

এর আগে ২০১৫ সালে পিলখানা হত্যাকাণ্ড মামলায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানির জন্য বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করা হয়।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিডিআরের সদর দফতরে পিলখানা ট্র্যাজেডিতে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন প্রাণ হারান। ওই বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি লালবাগ থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। পরে মামলা দুটি নিউমার্কেট থানায় স্থানান্তরিত হয়। বিচার হয় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারসংলগ্ন আলীয়া মাদ্রাসা মাঠসংলগ্ন অস্থায়ী এজলাসে। বিচার শেষে ঢাকা মহানগর তৃতীয় বিশেষ আদালতের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে বিডিআরের প্রাক্তন ডিএডি তৌহিদসহ ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। এ ছাড়া বিএনপি দলীয় প্রাক্তন সংসদ সদস্য নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টু (প্রয়াত) ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলীসহ ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ২৭৭ জনকে খালাস দেয়া হয়।

রায়ের পর ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। রায়ের পর বিভিন্ন সময়ে আসামিরা দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিল ও জেল আপিল করেন। এর মধ্যে ৬৯ জনকে খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করেন।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট