ঢাকা আসছেন চীনের বিশেষ দূত

প্রকাশিত: ৬:০১ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৫, ২০১৭

ঢাকা আসছেন চীনের বিশেষ দূত

আগামী ২০ মার্চ ৩ দিনের সফরে ঢাকা আসছেন চীনের এশিয়া বিষয়ক বিশেষ দূত সান গোসিয়াং। এই সফরে মায়ানমার পরিস্থিতি এবং রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হতে পারে বলে জানা গেছে।

এদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে আগামী ৭ থেকে ১০ এপ্রিল ভারত সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরসূচি চুড়ান্ত হওয়ার পর চীনের বিশেষ দূতের ঢাকা সফরের খবর এলো। ফলে এই সফরকে বেশ গুরত্বের সঙ্গে দেখছেন কূটনৈতিক মহল।

চীনের বিশেষ দূত সফরকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ও পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হকের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এসব বৈঠকে মায়ানমার ও রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।

কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, মায়ানমারে স্থিতিশীলতা চায় বাংলাদেশ। দেশটিতে রোহিঙ্গা সমস্যার কারণে বাংলাদেশে যে প্রভাব পড়েছে তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে চীনের বিশেষ দূতের এ সফরে। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। ওই বিষয়ে চীনের অবস্থানও জানতে চেয়েছে বাংলাদেশ।

আরো জানা গেছে, রোহিঙ্গাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে মায়ানমার আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে আছে। আলোচনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও চীন উভয় দেশ মায়ানমার ও রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে মনোভাব বুঝার চেষ্টা করবে। এ জন্য সফরটি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখছে ঢাকা ও বেইজিং।

গত বছরের অক্টোবরে বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে মায়ানমারের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে সন্ত্রাসী হামলায় ৯ পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার পর এর দায় চাপানো হয় রোহিঙ্গাদের ওপর। এরপর মায়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর নির্যাতনে শতাধিক রোহিঙ্গা নিহত হয়। জাতিসংঘের হিসেবে গত অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৭০ হাজার রোহিঙ্গা সমুদ্র ও নাফ নদী পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।

এদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, দুই দেশ যৌথভাবে শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময়সূচির ঘোষণা দিয়েছে। এই সফর দুই দেশের বন্ধুত্বের বন্ধনকে শক্তিশালী করবে এবং দুই নেতার মধ্যে আস্থা বাড়াবে।

খসড়া সফরসূচি অনুযায়ী, শেখ হাসিনা ৮ এপ্রিল নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন ভারতের বিরোধীদলীয় নেত্রী ও কংগ্রেসের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। ওই দিনই এক অনুষ্ঠানে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর পরিবারের সদস্যদের হাতে সম্মাননা তুলে দেবেন শেখ হাসিনা।

এর আগে ২০১০ সালের জানুয়ারিতে ভারত সফর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে ২০১৫ সালের জুনে ঢাকায় এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদি।