ভারতের ইচ্ছানুযায়ী প্রতিরক্ষা সাজালে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব থাকবে না : মঈন খান

প্রকাশিত: ১১:৩২ অপরাহ্ণ, মার্চ ৭, ২০১৭

ভারতের ইচ্ছানুযায়ী প্রতিরক্ষা সাজালে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব থাকবে না : মঈন খান

ভারতের ইচ্ছানুযায়ী প্রতিরক্ষা সাজালে দেশের স্বাধীনতা থাকবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপি নেতারা। মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তারা এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন ভারত সফরে প্রতিরক্ষা চুক্তির গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমের কারণে বিষয়টি জানতে পেরেছি। আমাদের দেশের তিন দিকে ভারত আর একদিকে সমুদ্র। যে দেশের সবদিকে বন্ধুরাষ্ট্র সেখানে দেশের প্রতিরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে কেন?

তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, বন্ধুরা কেন আমাদেরকে প্রতিরক্ষা দিতে উৎসুক হয়ে উঠেছেন? কেনই-বা আমাদের সরকারের প্রতিরক্ষা নিয়ে এতো দুশ্চিন্তা? সরকারকে আহ্বান জানাবো- এ প্রশ্নের জবাব দেশের ১৬ কোটি মানুষের কাছে দিন।

‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে শত্রুতা নয়’- দেশের এমন পররাষ্ট্রনীতির কথা উল্লেখ করে মঈন খান বলেন, ‘তাহলে এ প্রতিরক্ষা চুক্তির বিষয়টি কেন? ভারত কেন আমাদের ওপর এটি চাপিয়ে দিচ্ছে?

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরো বলেন, বিএনপি নিবন্ধনের জন্য রাজনীতি করে না। রাজনীতি মানুষের মৌলিক অধিকার। আর রাজনৈতিক দল নির্বাচন করবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বিএনপি কখনো নিবন্ধন বাতিলের জন্য রাজনীতি করে না।

আগামী নির্বাচনে না গেলে বিএনপির নিবন্ধ বাতিল হয়ে যাবে আওয়ামী লীগের নেতাদের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেন তিনি।

মঈন খান বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতার যাওয়ার জন্য, অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে এবং ভালো থাকার জন্য রাজনীতি করে।

বিএনপির এ নীতি নির্ধারক আরো বলেন, দেশে যতদিন বহুদলীয় গণতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠিত না হবে ততদিন আন্দোলন চালিয়ে যাবো। আর এ আন্দোলন এক ব্যক্তি, পরিবার ও দলের জন্য নয়, হবে দেশের জন্য।

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১১তম কারাবন্দি দিবস’ উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম আয়োজিত আলোচনা সভায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, একের পর এক চুক্তি হচ্ছে, কিন্তু দেশের জনগণকে কিছুই জানানো হচ্ছে না। ২০১০ সালে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কী কী চুক্তি হয়েছে- তা কিন্তু প্রকাশ করা হয়নি। এটি অত্যন্ত একটি বিপজ্জনক বিষয়। এখন যেটি আগে থেকেই আশঙ্কা করছিলাম, সেই প্রতিরক্ষা চুক্তির দিকে ধাবিত হচ্ছে। সরকার এসব চুক্তি করতেই জাতীয়তাবাদী শক্তির ধারাবাহিক নেতৃত্বকে বিপর্যস্ত করছে।

সংগঠনের সভাপতি শামা ওবায়েদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সাদেক খান, নিপুন রায় চৌধুরী প্রমুখ।