পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহারের নীতিগত সিদ্ধান্ত : ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত: ১২:২৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ১, ২০১৭

পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহারের নীতিগত সিদ্ধান্ত : ওবায়দুল কাদের

দেশব্যাপী চলমান অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহারের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার সচিবালয়ে যোগাযোগ মন্ত্রীর কার্যালয়ে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক শেষে তিনি এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।

বৈঠকে উপস্থিতি ছিলেন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাহাজাহান খান, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ।

এদিকে বুধবার সকালে দেশব্যাপী চলমান পরিবহন শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহারের নির্দেশনা চেয়ে জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রিটের ওপর দুপুরে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

রিটে স্বরাষ্ট্রসচিব, নৌসচিব ও আইজিপিসহ ১৭ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।

রিটকারী মনজিল মোরসেদ বলেন, সারাদেশে সাধারণ জনগণকে জিম্মি করে পরিবহন ধর্মঘট নাগরিকদের মৌলিক অধিকার ও সংবিধানের পরিপন্থী। তাই এই রিট দায়ের করা হয়েছে।

রিটে গাড়ি রাস্তায় না নামালে মালিকদের গাড়ি জব্দ ও চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রত্যাহারের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে দেশব্যাপী অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট। মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হওয়া এ কর্মসূচিতে অচল হয়ে পড়েছে সারাদেশ। পূর্বঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ পরিবহন বন্ধ করে দেয়ায় জনগণের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।

বুধবার সকালে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালের সামনে পুলিশ-শ্রমিকদের কয়েক দফায় সংঘর্ষে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এতে একজন মারা গেছেন বলে জানা যাচ্ছে। সংঘর্ষের পর এখন সেখানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

এরআগে, গাবতলীতে সংঘর্ষে শাহআলম নামে একজন গুলিবিদ্ধ হন। শাহআলমের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা যায়। গুরুতর আহত শাহআলমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। তবে নিহত ব্যাক্তি শাহআলম কি না তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এদিকে টার্মিনাল এলাকায় আন্দোলনরত পরিবহন শ্রমিকদের সরিয়ে দিতে অভিযানে নেমেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এখন পর্যন্ত শ্রমিকদের প্রায় সরিয়ে দিয়ে টেকনিক্যাল মোড় থেকে আমিনবাজার পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে র‌্যাব-পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য।

বুধবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে গাবতলী এলাকায় দাঙ্গা পুলিশকে নিয়ে অভিযানে নামে র‌্যাব ও পুলিশ। তার আগে কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।

দুই চালককে দেয়া আদালতের রায়ের প্রতিবাদে এবং তাদের মুক্তির দাবিতে মঙ্গলবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট কর্মসূচি শুরু করে পরিবহন শ্রমিকরা। ওই দুই চালক মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার ধর্মঘটের প্রথমদিন রাজধানীর গাবতলীতে পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় পুলিশ শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। তবে বাধা উপেক্ষা করে শ্রমিকরা পুলিশ বক্স ও ব্যারাকে আগুন ধরিয়ে দেয়।