২০শে জানুয়ারি, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই মাঘ, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১:৫৭ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৭
স্টাফ রিপোর্টার : স্বজনদের বিশ্বাস করে দেখাশুনার দায়িত্ব দিয়ে নিজ বাসার দখল হারান যুক্তরাজ্য প্রবাসী দম্পতি। অবশেষে মামলা-মোকদ্দমা ও পুলিশের সহযোগিতায় প্রায় ১০ বছর পর নিজ বাসা ফিরে পান তারা। প্রায় ৩ কোটি টাকা মুল্যের বাসার দখলকারী আত্মীয় খসরুজ্জামান গংদের টাই হয় শ্রী ঘরে। প্রবাসী কল্যান সেল ও পুলিশ এর সহযোগিতায় সেটা সম্ভব হয়েছে বলে জানান বাসার মালিক যুক্তরাজ্য প্রবাসী শাফিক আলী ও শেফালী বেগম দম্পতি।
শনিবার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়- আম্বরখানা পুলিশ ফাড়িতে কর্মরত এসআই রমজান আলীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ নিয়ে প্রবাসীকে নিজ বাসার দায়িত্ব বুঝিয়ে দিচ্ছেন। তখন পুলিশ ও বাসার মালিকের সাথে আলাপ করে জানা যায়-১৯৯৯ সালে নগরীর ইলেকট্রিক সাপ্লাই এলাকায় দিগন্ত-২৮ বাসাটি জনৈক প্রবাসী খন্দকার এরশাদ আলী সাহেবের কাছ থেকে ক্রয় করেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী শাফিক আলী। তখন থেকে বাসাটি তাঁর বাবা হাজী রাজা মিয়া দেখাশুনা করেন। পরবর্তীতে ধারাবাহিকভাবে নিজ ভাই, চাচাত ভাই ও শ্যালকগন বাসাটি দেখাশুনা করেন। ৩ তালা বাসাটির ২য় তালা নিজেরা থাকতেন তারা। বাকী ইউনিট ও বাসার সাথে সংযুক্ত দোকান কোটা ভাড়া দিতেন। এই ভাড়া থেকে প্রতিমাসে প্রায় ৪০ হাজার টাকা পেতেন প্রবাসী শাফিক আলী দম্পতি। ২০০৮ সালে দেশে আসেন শাফিক আলী। তখন বাসাটি দেখাশুনার জন্য তার ভাই খসরুজ্জামানকে দায়িত্ব দিয়ে যান। এরপর থেকে তিনি বাসা ভাড়ার কোন টাকা তাদের কাছ থেকে পাননি। উল্টো প্রবাস থেকে গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিলের টাকা দিতে হতো শাফিক সাহেবকে। এরপর থেকে পর্যায়ক্রমে খসরুজ্জামান গংরা দখলকারীর ভুমিকায় উত্তীর্ণ হয়ে যায়। এক পর্যায়ে তারা একটি ভুয়া দানপত্রের জাল দলিল তৈরী করে বাসাটির মালিক দাবী করে। সর্বশেষ ২০১৬ সালের ২০ মার্চ দেশে আসেন শাফিক-শেফালী দম্পতি। কিন্তু দখলদার খসরুজ্জামান গংদের হুমকীর কারনে নিজ বাসায় প্রবেশ করতে পারেন নি তারা। তখন কয়দিন আত্মীয়ের বাসায় থেকে যুক্তরাজ্যে ফিরে যান তারা। সেখানে গিয়ে এম্বেসীর মাধ্যমে প্রবাসী কল্যান সেলে অভিযোগ করেন তারা। তখন সেই অভিযোগ তদন্তে প্রমানিত হয় খসরুজ্জামান গংদের তৈরীকৃত দলিলটি জাল।
সর্বশেষ ২৩ ফেব্রæয়ারী বৃহস্পতিবার শাফিক আলীর পক্ষে আম্বরখানা পুলিশ ফাড়ীতে অভিযোগ দায়ের করেন তার শ্যালক শাহ আলম। অভিযোগের প্রেক্ষিতে সেদিন রাতেই খসরুজ্জামান (৫০) সহ তার ৩ ছেলেকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় পুলিশ। তারা হলেন- তার ছেলে ইকবাল(২৬), সানোয়ার(২৪) ও রবিউল (২০)। তাদেরকে গেফতারের পর কারাগারে প্রেরন করা হয়। এর প্রেক্ষিতে শনিবার দেশে আসেন বাসার মালিক শাফিক আলী-শেফালী দম্পতি। বিমানবন্দর থেকে তারা নগরীর একটি হোটেল অবস্থানের পর পুলিশের সহায়তায় বাসার দখল ফিরে পান তারা।
এসআই রমজান বলেন- আমরা প্রবাসী কল্যান সেলের সুপারিশ ও মালিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রাথমিক সত্যতা খোজে পাওয়ায় মালিকদের নিকট তাদের বাসার দখল ফিরিয়ে দিয়েছি। এসময় শাািফক আলীর মা মনোয়ারা বেগম পুলিশের সামনে স্বীকার করেন যে বাসার প্রকৃত মালিক তাঁর ছেলে প্রবাসী শাফিক আলী।
EDITOR & PABLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
Executive Editor : M A Malek
UK Correspondent : Moheuddin Alamgir USA Correspondent : Abul Kashem Murshed
Office : Central Market (1st floor),
Bandar Bazar (Court Point),
Sylhet – 3100, Bangladesh.
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01711912127
Design and developed by M-W-D