২০শে জানুয়ারি, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই মাঘ, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩:৫১ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৭
ক্রমেই বৈচিত্র্যময় হয়ে উঠছে বাংলাদেশের রাজনীতি। মুক্তিযুদ্ধ থেকে ভাষা আন্দোলন, জন্মবার্ষিকী থেকে শোক সভা- প্রতিটি ক্ষেত্রেই রাজনীতি। মাঠের রাজনীতির কাদা ছোঁড়াছুড়ি এখন সর্বত্রই ছড়িয়ে পড়ছে। কিন্তু রাজনীতির অবস্থা যখন এমন হয় তখন জাতীয় জীবনে নানা প্রশ্নের জন্ম দেয়। আর বিষয়টি দেশের গুরুত্বপূর্ণ ও দায়িত্ববান লোকদের মুখে এলে স্বাভাবিক ভাবেই নতুন প্রজন্ম বিভ্রান্ত হয়।
ফেব্রয়ারি মাস, ভাষার মাস। এই দিনটি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের এবং এ দেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য গর্ব ও মর্যাদার বিষয়। জাতিসংঘের স্বীকৃতির পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ২১শে ফেব্রুয়ারি পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে। বাংলাদেশে এই দিনটি শ্রদ্ধা ও যথাযথ মর্যাদার সাথে পালন করা হয়। এই দিনে ভাষা শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানায় পুরো জাতি।
সোমবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ২০১৭ সালের একুশে পদকপ্রাপ্তদের মাঝে একুশে পদক বিতরণ উপলক্ষ্যে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অনুষ্ঠানে ২৫ মার্চে পাক বাহিনীর গণহত্যার দায় মুক্তিযোদ্ধাদের উপর চাপানোর অপচেষ্টার বিষয়টি বিস্তারিত তুলে ধরেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের দুর্ভাগ্য যে আমাদের দেশের কোন কোন রাজনৈতিক দলের নেতা, আমি নাম ধরেই বলতে চাই- বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া কিছুদিন আগে বলেছিলেন, মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ লোক শহীদ হয় নাই।…তার এ ধরনের বক্তব্যের সঙ্গে পাকিস্তানের এ ধরনের অপপ্রচারের কোনো সূত্র আছে কিনা তা আমাদের খুঁজে দেখতে হবে। তারা উভয়েই একই সূরে কথা বলেছেন। এ যেন শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানী এবং শহীদদের অবমাননা করা ছাড়া আর কিছুই না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জাতির পিতার নেতৃত্বে স্বাধীনতা অর্জন করেছি। কিন্তু জাতির পিতাকে ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট হত্যার পর দেশ উল্টোদিকে হেঁটেছে। একুশের ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং মহৎ অর্জনগুলোকে ভুলুণ্ঠিত করা হয়েছে।
একই দিন সোমবার দুপুরে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেন, দেশ স্বাধীন হলেও নতুন করে ভিন্ন মাত্রায় আধিপত্যবাদী শক্তি আমাদেরকে নতজানু করে রাখতে নানা কারসাজী চালিয়ে যাচ্ছে। এভাবেই আজ একুশের স্বপ্নকে তমসাচ্ছন্ন করা হয়েছে। কিন্তু একুশের অম্লান চেতনা সকল ষড়যন্ত্রকারী আধিপত্যবাদী শক্তিকে রুখতে আমাদের উদ্বুদ্ধ করবে। তাই এই দুঃসময়ে জনগণের হারানো গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে আমাদের প্রেরণা যোগাবে ৫২’র মহান একুশের শহীদদের আত্মদান।
তিনি আরো বলেন, দেশ স্বাধীন হলেও নতুন করে ভিন্ন মাত্রায় আধিপত্যবাদী শক্তি এদেশের ওপর সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক আধিপত্য কায়েম করে জাতি হিসেবে আমাদেরকে নতজানু করে রাখতে নানা কারসাজি চালিয়ে যাচ্ছে। ভিন্ন কায়দায় আমাদের ভাষা সংস্কৃতির ওপর বিদেশি সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চলছে মহল বিশেষের তাবেদারির জন্য। যাতে আমরা মাথা উচুঁ করে দাঁড়াতে না পারি। আর এ জন্যই এখন মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে আবারো একদলীয় দুঃশাসনের শৃঙ্খলে দেশের মানুষকে আটকে রাখা হয়েছে।
খালেদা জিয়া বলেন, এভাবেই আজ একুশের স্বপ্নকে তমসাচ্ছন্ন করা হয়েছে। কিন্তু একুশের অম্লান চেতনা সকল ষড়যন্ত্রকারী আধিপত্যবাদী শক্তিকে রুখতে আমাদের উদ্বুদ্ধ করবে। তাই এই দুঃসময়ে জনগণের হারানো গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে আমাদের প্রেরণা যোগাবে ৫২’র মহান একুশের শহীদদের আত্মদান।
সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে মহান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস উপলক্ষ্যে বিএনপি সভায় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যের পাল্টা বক্তব্য রাখেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ভাষা শহীদ ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের রক্তের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করছে আওয়ামী লীগ।
তিনি আরো বলেন, কলা-কৌশল ও ছলচাতুরি করে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো আবারো একটি একদলীয় নির্বাচন বর্তমান শাসকগোষ্ঠী করতে চাইলে দেশের জনগণ ও বিশ্ববাসী তা কখনো গ্রহণ করবে না।
পরদিন মঙ্গলবার সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের কাছে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, একুশের চেতনা ছিলো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাও ছিলো গণতন্ত্র। আজকে দেশকে গণতন্ত্রহীন রেখে ক্ষমতাসীনরা শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে মানুষের সকল অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে, গণতন্ত্র নিহত হয়েছে।
এদিকে সোমবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে সর্বস্তরে বাংলা ভাষার ব্যবহারের দাবিতে ও ভাষা শহীদের স্মরণে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়ার এতগুলো অপরাধ এবং তার নামে যতগুলো মামলায় হয়েছে যে, তার সেখান থেকে রেহাই পাওয়ার উপায় নেই। এটা বিএনপির নেতাকর্মীরাও জানে। তাই তারাও তলে তলে চায় খালেদা জিয়া দ্রুত জেলে যাক। কিন্তু রাজপথে দাঁড়িয়ে বলেন খালেদা জিয়া ছাড়া নির্বাচন হবে না।তিনি এ সব কথা বলেন।
EDITOR & PABLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
Executive Editor : M A Malek
UK Correspondent : Moheuddin Alamgir USA Correspondent : Abul Kashem Murshed
Office : Central Market (1st floor),
Bandar Bazar (Court Point),
Sylhet – 3100, Bangladesh.
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01711912127
Design and developed by M-W-D