সার্চ কমিটির ভাবনায় নির্বাচন কমিশন, আসছে নতুন চমক

প্রকাশিত: ৩:৩৩ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০১৭

সার্চ কমিটির ভাবনায় নির্বাচন কমিশন, আসছে নতুন চমক

একটি স্বচ্ছ, সাহসী ও দলনিরপেক্ষ সাহসী নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনে তৎপরতা চালাচ্ছে সার্চ কমিটি। নাম চূড়ান্ত করতে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি ফের দফা বৈঠকে বসবে সার্চ কমিটির সদস্যরা। ৭ ফেব্রুয়ারি ১০ জনের চুড়ান্ত নামের তালিকা রাষ্ট্রপতি ভবনে পাঠিয়ে দিবেন সদস্যরা।

তবে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ইসি গঠনেেএর আগে দেশের বিশিষ্ট নাগরিকদের নিয়ে ইতোমধ্যে দুই দফা বৈঠক করেছে কমিটি। সেখানে সবাই একটি স্বচ্ছ, সাহসী ও দলনিরপেক্ষ সাহসী নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের ওপর পরামর্শ দিয়েছেন।

সার্চ কমিটিও জানিয়েছে, রাজনৈতিক দলগুলোর প্রভাবমুক্ত এবং চেয়ার হারাবার ভয় না থাকা সাহসী মানুষদেরই নির্বাচন কমিশনে নিয়োগ দেয়া হবে। সরকারের প্রভাবমুক্ত হয়েই সার্চ কমিটি ইসি পুনর্গঠন করবে বলেও জানিয়েছেন সার্চ কমিটির মুখপাত্র মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

কোনোপক্ষের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য সার্চ কমিটি কাজ করছে না বলে জানিয়েছেন সার্চ কমিটির সদস্য মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মাসুদ আহমেদ। প্রয়োজনে সার্চ কমিটিও নাম প্রস্তাব করবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

যোগ্যতার মানদণ্ডে কারা আসবেন, আর যোগ্যতার মানদণ্ডটা কি সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কথা বলেছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তিনি বলেন, বিশিষ্ট নাগরিকদের পরামর্শকে গুরুত্ব দিয়ে ৭০ বছরের উর্ধ্বে কাউকে নিয়োগ দেয়া হবে না।

তবে ছাত্র জীবনে রাজনীতি করলেও পরে যাদের কর্মকাণ্ডে দলীয় প্রভাব পড়েনি, সেই সব ব্যক্তিদের নিয়েই ইসি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।

সার্চ কমিটির এই সদস্য আরো বলেন, সরকারের প্রভাবমুক্ত হয়ে আগামীর জন্য এমন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে, যারা রাজনৈতিক দলগুলোর প্রভাবমুক্ত হয়ে প্রশাসন আর আইন শৃংঙ্খলা বাহিনীকে সঠিক নির্দেশনা দিতে পারবেন। নিজেদের যোগ্যতার পরিচয় দিতে পারবেন।

দলগুলোর দেয়া তালিকায় থাকা বির্তকমুক্ত নাম সার্চ কমিটি প্রস্তাব করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। সবমিলেই সার্চ কমিটি সবার কাছে গ্রহণযোগ্যে একটি নির্বাচন কমিশন করবে বলেও প্রত্যাশা দেশবাসী।

এ প্রসঙ্গে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, এ পর্যন্ত সার্চ কমিটি যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে তা খুবই প্রশংসনীয়। তবে শেষটা ভাল করতে হবে। কারণ এর উপর নির্ভর করছে দেশ ও গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ।