২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১:১৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৩০, ২০১৭
নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষে সার্চ কমিটি ১২জন বিশিষ্ট নাগরিকের সাথে বসছে আজ। সার্চ কমিটি প্রেসিডেন্টের কাছে সুপারিশ পাঠানোর আগে এই বিশিষ্টজনদের মতামত নেয়ার ঘোষণা দেন।
সোমবার যে ১২ জন সিনিয়র নাগরিকের সঙ্গে সার্চ কমিটির বৈঠকের কথা তারা হলেন- বিচারপতি মো. আবদুর রশিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ, মানবাধিকারকর্মী অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এ টি এম শামসুল হুদা, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসাইন, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. তোফায়েল আহমেদ, সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের সাধারণ সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, শিক্ষাবিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সংখ্যাতিরিক্ত অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক ও পুলিশের সাবেক আইজিপি নুরুল হুদা।
এরআগে, শনিবার আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কার্যালয়ের ঠিকানায় নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয়ে ৫ জনের নাম চেয়ে চিঠি পাঠায় সার্চ কমিটি।
পর্যায়ক্রমে ৩১টি রাজনৈতিক দলের কাছে চিঠি পাঠানোর কাজ শুরু করেছে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ। তবে রবিবারও অনেক চিঠি পাঠানো হয়।
সার্চ কমিটির চিঠি পাওয়ার পর রবিবার ৫ সদস্যের নাম দেবে বলে জানায় বিএনপি। দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সার্চ কমিটিকে নাম দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। নির্বাচন কমিশন গঠনে বিএনপি নাম দেবে সার্চ কমিটিকে। তবে নামের তালিকায় কারা থাকছেন সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।’
রাষ্ট্রপতির ঘোষণা অনুযায়ী সার্চ কমিটিকে নিয়ে বিএনপি আপত্তি করলেও এই ১২ বিশিষ্ট নাগরিকের কাছেই আশার আলো দেখছে দলটি। শুধু বিএনপিই নয় গোটা জাতি তাকিয়ে আছে এই বিশিষ্টজনদের দিকে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় আইসিওতে থাকা ‘গণতন্ত্র রক্ষা’ এবং বিভেদের জরাজীর্ণতা ঘুচে গণতন্ত্রের আকাশে রাজনীতির নতুন সূর্যের উদয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন এই ১২ সিনিয়র নাগরিক।
দু’একজনের বিরুদ্ধে বিশেষ রাজনৈতিক দর্শনের প্রতি দুর্বলতার অভিযোগ থাকলেও ব্যক্তিত্ব এবং সামাজিক অবস্থানে তারা জাতীয় সম্পদ। জাতীয় স্বার্থে তারা সুচিন্তিত মতামত দিয়ে গণতন্ত্র, আইনের শাসন, ভোটের অধিকার রক্ষায় খাদের কিনার থেকে গণতন্ত্রের সূর্যের উদয় ঘটাতে পারেন। সিনিয়র নাগরিক হিসেবে তাদের যেমন এটা নৈতিক দায়িত্ব, তেমনি দেশের ১৬ কোটি মানুষ সে প্রত্যাশায় প্রহর গুনছেন।
এসব বিশিষ্টজনরা নিজ নিজ ক্ষেত্রে সাফল্য দেখিয়ে জাতির বিবেকের মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠত। তারা জাতীয় বৃহৎ স্বার্থে সবার গ্রহণযোগ্য ইসি গঠনে পরামর্শ দেবেন বলে প্রত্যাশা করছে দেশের মানুষ। দেশের যে শতাধিক ব্যক্তি সর্বজন শ্রদ্ধেয় এবং দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে জাতীয় স্বার্থে সিদ্ধান্ত দিতে পারেন তাদের মধ্যে এই ১২ ব্যক্তিত্ব অন্যতম।
নতুন নির্বাচন কমিশন হবে দেশের রাজনীতি এবং গণতন্ত্রের ভবিষ্যতের টার্নিং পয়েন্ট। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের মানুষ যে ভোটের অধিকার হারিয়েছে তা দেশে-বিদেশের বিবেকবানদের ভাবিয়ে তুলেছে।
মহামান্য প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদের সার্চ কমিটি গঠনের পর কমিটির সদস্যদের দল সম্পৃক্ততা নিয়ে শুরু হয় দলাদলি এবং সিনিয়র-জুনিয়র ইস্যুতে বিতর্ক।
কিন্তু প্রথম বৈঠকে কমিটি সংলাপের মাধ্যমে ১২ বিশিষ্টজনের মতামত নেয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করায় সবার দৃষ্টি এখন ওই ১২ জন সিনিয়র নাগরিকের দিকে।
মূলত ওই ১২ নাগরিকের মতামতের উপর আগামী দিনে জনগণের ভোটের অধিকার, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, অর্থনীতি, প্রভাবশালী দেশগুলোর সঙ্গে বৈদেশিক সম্পর্কসহ অনেক কিছু নির্ভর করছে।
দেশের গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও জনগণের ভোটের অধিকারের কথা চিন্তা করে জাতির বিবেক হিসেবে সার্চ কমিটিকে সঠিক দিকনির্দেশনা দেবেন বলে আশা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
পাশপাশি তাদের পরামর্শে সর্বজন গ্রহণযোগ্য একটি ইসি গঠন করে আগামী নির্বাচনে সকল রাজনৈতিক দলগুলো অংশগ্রহণ করবে বলে আশা করছে দেশবাসী।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
Office : Central Market (1st floor),
Bandar Bazar (Court Point),
Sylhet – 3100, Bangladesh.
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D