নির্বাচনকালীন সরকার ও প্রশাসন নিরপেক্ষ হতে হবে : ড. কামাল

প্রকাশিত: ৯:০৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৮, ২০১৭

নির্বাচনকালীন সরকার ও প্রশাসন নিরপেক্ষ হতে হবে : ড. কামাল

নির্বাচনকালীন সরকার প্রসঙ্গে গণফোরাম সভাপতি ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. কামাল হোসেন সরকার ও প্রশাসনকে নিরপেক্ষ ভূমিকায় থাকতে হবে বলে উল্লেখ করেছেন। এ সময় তিনি ২০০৮ সালের মতো জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে বলে উল্লেখ করেন।

রবিবার বিকেলে নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপ শেষে বঙ্গভবন থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে কামাল হোসেন এসব কথা বলেন।

ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন আইনে কী কী বিধান করা প্রয়োজন, সে বিষয়ে আমরা বলেছি। সার্চ কমিটি গঠনে আমরা কোনো নাম প্রস্তাব করিনি। তবে ক্যাটাগরি বলেছি।’

সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আইন ছাড়া বিগত নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়নি, সেটা কি সংবিধানের ব্যত্যয় হয়েছিল কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘যদি তারা অবাধ, নিরপেক্ষভাবে সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন না করে থাকে, তাহলে অবশ্যই ব্যত্যয় ঘটেছে। সেটা জনগণ বিচার করুক।’

বিকেল তিনটা ৫০ মিনিটে কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের প্রতিনিধিদল বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে দেখা করেন। তারা রাষ্ট্রপতির সাথে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টার বৈঠক করেন।

বৈঠকে গণফোরামের পক্ষ থেকে নয় দফা প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে, নির্বাহী বিভাগের প্রভাব ও হস্তক্ষেপমুক্ত স্বাধীন, শক্তিশালী ও কার্যকর নির্বাচন কমিশন গঠন আইনপ্রণয়ন; সততা, দক্ষতা, নিরপেক্ষতা ও আইনি জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তিদের মধ্য থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনারদের নিয়োগ; নির্বাচন কমিশন আর্থিকভাবে সম্পূর্ণ স্বাধীন ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণমুক্ত রাখা।

গণফোরামের প্রতিনিধিদলে আরো ছিলেন, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফা মোহসীন মন্টু, নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সভাপতি পরিষদের সদস্য তোবারক হোসেন, জগলুল হায়দার, আ ও ম শফিক উল্ল্যা, সগীর আনোয়ার, মোশতাক আহমেদ, বিলকিস বানু, মহিউদ্দিন কাদের, মফিজুল ইসলাম খান, এস এম আলতাফ হোসেন, শান্তিপদ ঘোষ ও নৃপেন ঘোষ প্রমুখ।