২৬শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই ফাল্গুন, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৮:০৭ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৭, ২০১৬
হাবিব সরোয়ার আজাদ, সুনামগঞ্জ থেকে : সুনামগঞ্জ সীমান্তের ওপারে ভারতীয়দের নির্যাতনে নিহত বাংলাদেশী শ্রমিক বশিরের লাশ ভারতীয় পুলিশ ফেরত দিয়েছে। গত রোববার রাতে সীমান্তের ওপারে অবৈধভাবে চুনাপাথর আনতে গিয়ে ভারতীয়দের হাতে ধরা পড়ে নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা যান বশির। তিনি তাহিরপুর উপজেলার বড়দল উত্তর ইউনিয়নের পাহাড়তলী রজনীলাইন গ্রামের মৃত শুক্কুর আলীর ছেলে। বশিরের লাশ ভারতের মেঘালয় ষ্টেইটের শিলং নিয়ে ময়নাতদন্তের পর মঙ্গলবার রাতে লাশ হস্তান্তর করা হয়।
বিজিবি জানায়, ভারতের বড়ছড়ায় ওখানকার নাগরিকদের নির্যাতনে নিহত বাংলাদেশী শ্রমিক বশির আহমদের লাশ মঙ্গলবার রাত পৌণে ৭টার দিকে ভারতের ঘোমাঘাট থানা পুলিশ সুনামগঞ্জের তাহিরপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। এর আগে সুনামগ্জ-২৮ বর্ডারগার্ড ব্যাটালিয়ন বিজিবির বড়ছড়া-শুল্কস্টেশনের মেইন পেলার ১১৯৯ এ বিজিবি ও বিএসএফ’র মধ্যে ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্টিত হয়। পতাকা বৈঠকে নেয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ি সন্ধ্যায় ভারতের ঘোমাঘাট থানার ওসি এপারের তাহিরপুর থানার এসআই’র নিকট লাশ হস্তান্তর করেন।
বিজিবি’র পক্ষে নিহত শ্রমিকের লাশ গ্রহন কালে বিজিবির সিলেট সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল আব্দুল্লাহ আল মামুন, সুনামগঞ্জ ২৮-বর্ডারগার্ড ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর মাহবুবুল আলম ও ভারতের শিংল ১১ বিএসএফের উপ-অধিনায়ক ফকির চাঁদ সহ বিজিবি-বিএসএফ’র দায়িত্বশীলরা উপস্থিত ছিলেন।
লাশ গ্রহন শেষে সেক্টর কমান্ডর কর্ণেল আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘পতাকা বৈঠকে আমরা বলেছি বিএসএফ ক্যাম্পের ১০০ গজের মধ্যে এভাবে একটি মানুষকে পিটিয়ে মারা অমানবিক।’ দুই দেশের প্রচলিত আইনে যদি কেউ অপরাধ করে থাকেন তাহলে তার বিচার হতে পারতো।’
এদিকে তাহিরপুর থানা পুলিশ কর্তৃক সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি শেষে রাত সোয়া ৭টায় নিহতের স্ত্রী কুলসুমা বেগমের নিকট বশির আহমদের লাশ হস্তান্তর করা হলে রাতেই এলাকার পঞ্চায়েতি কবরস্থানে তার লাশ দাফন করার কথা রয়েছে।
নিহত বশিরের বিধবা স্ত্রী কুলসুমা বেগম গণমাধ্যমকর্মীদের নিকট ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করে বলেন, আমার স্বামী অন্যান্য শ্রমিকের ন্যায় পেঠের দায়ে চুনাপাথর সংগ্রহ করতে ভারতে গিয়োছিলো।’ তিনি আরো বলেন, আমার তিন সন্তান এতিম হল, শশুড়-শাশুড়ি বা সংসারে আর কেউ নেই, ঘরে এক বেলার খাবারও জুটতনা ঠিকমত। একমাত্র উপার্জন ক্ষম ব্যাক্তিটি নেই, এখন আমি শিশু সন্তানদের নিয়ে কেমনে চলমু’ তিনি বিলাপ করে বলতে থাকেন আমি আমার স্বামীর নির্মম হত্যাকান্ডে জড়িতদের বিচার চাই।
EDITOR & PABLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
Executive Editor : M A Malek
UK Correspondent : Moheuddin Alamgir USA Correspondent : Abul Kashem Murshed
Office : Central Market (1st floor),
Bandar Bazar (Court Point),
Sylhet – 3100, Bangladesh.
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01711912127
Design and developed by M-W-D