২৩শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:৫৩ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ২৯, ২০১৬
পানি ব্যবস্থাপনায় সার্বজনীন বৈশ্বিক উদ্যোগ চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুষ্প্রাপ্য উৎস অন্তর্ভুক্ত করে সাত দফা এজেন্ডা উত্থাপন করেন তিনি। এ জন্য বিশ্ব নেতাদেরকে তাদের দেশের পলিসিতে পানি সম্পর্কিত বিষয়কে অগ্রাধিকার দেয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
সোমবার হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আমাদের পানি ব্যবস্থাপনায় এখনই একত্রে কাজ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ তার ভূমিকা পালনে অঙ্গীকারাবদ্ধ।’
আন্তসীমান্ত নদীর পানি সঠিক নিয়মে ভাগাভাগির বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আন্তসীমান্ত নদীর পানি ব্যবস্থাপনার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ভাটির দিকের দেশের মানুষের জীবনযাত্রায় এর ব্যাপক প্রভাব রয়েছে।জাতিসংঘের পানিবিষয়ক উচ্চপর্যায়ের প্যানেলের সদস্য শেখ হাসিনা বলেন, পানির অভাব কিন্তু পানিসংকটের মূল কারণ নয়। পানির সুষম বণ্টনও এই সংকটের একটি কারণ। তবে তিনি স্বীকার করেন, আন্তসীমান্ত নদীর পানি ভাগাভাগি একটি ‘জটিল বিষয়’।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সংস্কৃতি, ধ্যানধারণা ও জীবনযাত্রার প্রধান অংশজুড়ে আছে পানি। তিনি সাতটি এজেন্ডা তুলে ধরে বলেন, গত সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন চলাকালে পানিবিষয়ক উচ্চপর্যায়ের প্যানেলে (এইচএলপিডব্লিউ) গৃহীত লক্ষ্য অর্জনে কার্যক্রমভিত্তিক এই এজেন্ডা সহায়ক হতে পারে।
প্রথম এজেন্ডা হিসেবে শেখ হাসিনা বলেন, এজেন্ডা ২০৩০-এ পানি এবং বৃহত্তর টেকসই উন্নয়ন কাঠামোর মধ্যে আন্তসংযোগ ও বিনিময়ের গৃহীত নীতি অনুযায়ী জাতীয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পর্যায়ে যেকোনো উন্নয়ন-প্রচেষ্টায় পানি হবে অবিচ্ছেদ্য অংশ।
দ্বিতীয় এজেন্ডা হলো- বিশ্বে পিছিয়ে থাকা লাখ লাখ মানুষ অথবা গ্রুপ, যারা বিশুদ্ধ খাবার পানি ও স্যানিটেশন সুবিধা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সংকট মোকাবিলা করছে, তাদের চাহিদার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।
তৃতীয় এজেন্ডা হলো- জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকির মুখোমুখি দেশগুলোর বিপদাপন্ন এলাকায় পানি সম্পর্কিত বিপর্যয় রোধে সহায়ক কাঠামো নির্মাণ জরুরি।
চতুর্থ এজেন্ডা হলো- অব্যাহত পানিসংকটের জন্য পানির ঘাটতি মূল কারণ নয়, তবে এখানে সমস্যা সুষম বণ্টনের জন্য আন্তসীমান্ত নদীর পানির কার্যকর ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
পঞ্চম এজেন্ডা হলো- কৃষি উন্নয়ন ও খাদ্যনিরাপত্তার জন্য ব্যাপকভাবে পানি ব্যবহার হচ্ছে। এ জন্য সীমিত পানি ব্যবহার করে শস্য উৎপাদন করা যায়- এমন জাতের উন্নয়নে অব্যাহত প্রচেষ্টা চালাতে হবে এবং পানিসাশ্রয়ী প্রযুক্তির উন্নয়ন ঘটাতে হবে।
ষষ্ঠ এজেন্ডা হলো- আমাদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার আরও উন্নয়নে প্রতিটি দেশের মধ্যে পরস্পরের ‘লাইট-হাউস-ইনিশিয়েটিভ’ বিনিময় প্রয়োজন। বিশেষ করে উন্নয়ন এবং পানিসম্পদের কার্যকর ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা ও কৌশল বিনিময় করতে হবে।
সপ্তম এজেন্ডা হলো- পানিসংক্রান্ত লক্ষ্য অর্জনে গবেষণা, উদ্ভাবনা ও প্রযুক্তি হস্তান্তরে একটি বৈশ্বিক তহবিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশনের ক্ষেত্রে এমডিজির লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশের সাফল্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ বৈরী পরিস্থিতি মোকাবিলায় ধারাবাহিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে আসছে, যা ইতিমধ্যেই বিশ্বের প্রশংসা অর্জন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বর্ষা মৌসুমে ব্যাপক পানিতে তলিয়ে যাওয়া এবং শুষ্ক মৌসুমে পানি ঘাটতির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। অতিমাত্রায় ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরশীলতার কারণে বাংলাদেশের ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পরে প্রধানমন্ত্রী হাঙ্গেরির প্রেসিডেন্ট এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে ‘সাসটেইনেবল ওয়াটার সলিউশন এক্সপো’ পরিদর্শন করেন।
সূত্র : বাসস
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
Office : Central Market (1st floor),
Bandar Bazar (Court Point),
Sylhet – 3100, Bangladesh.
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D