২৬শে জানুয়ারি, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই মাঘ, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২:৪৭ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৮, ২০১৬
হাভানা : মহান বিপ্লবী নেতা এবং জনগণের ভালোবাসা নিয়ে ৩০ বছর দেশ পরিচালনা করা সাবেক প্রেসিডেন্ট ফিদেল কাস্ত্রোর মৃত্যুতে শোকে মুহ্যমান গোটা কিউবা।
দিনরাত ২৪ ঘণ্টা যে হাভানায় থাকত মানুষের সরব উপস্থিতি, সেই শহরের রাস্তা সন্ধ্যার পর ফাঁকা। সব দোকানপাট বন্ধ। সব কিছু ফেলে জনতা ব্যস্ত প্রিয় নেতাকে বিদায়ী শ্রদ্ধা জ্ঞাপনে—শোকবার্তায় প্রতিক্রিয়া জানাতে, মোমবাতি প্রজ্বালনে। কিউবার মহান বিপ্লবী নেতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ফিদেল কাস্ত্রো মৃত্যুর পর স্থানীয় সময় গত শনিবার রাজধানী হাভানা ছিল এ রকম।
প্রিয় নেতার মৃত্যুতে শোকাহত এক ট্যাক্সিচালক বলছিলেন, ‘ফিদেল কাস্ত্রো ছাড়া নিজেকে শূন্য মনে হয়।’ এক বৃদ্ধা বলেন, ‘জুলুম বলুন, আর অভাব বলুন—যেকোনো কিছুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ফিদেল থাকতেন সবার আগে।’ আরেক নারী বলেন, ‘ফিদেল কিউবার সর্বত্র বিরাজমান। তিনি আমাদের রক্ষাকবচ।’
নিষ্পেষিত ও মেহনতি মানুষের নেতা চলে যাওয়ার পর শনিবার থেকে শুরু হয়েছে ৯ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক। দেশজুড়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হচ্ছে। বাতিল করা হয়েছে সব ধরনের শো, কনসার্ট। পানশালাগুলোয় মদ বিক্রিও বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া কাস্ত্রোর প্রিয় খেলা বেইসবলও মাঠে গড়াবে না এই কয় দিন।
কাস্ত্রোর ভাই প্রেসিডেন্ট রাউল কাস্ত্রো শনিবারই ফিদেল কাস্ত্রোর শব দাহ হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। দাহ সম্পন্ন হওয়ার বিষয়টি কর্তৃপক্ষ ঘোষণা না দিলেও কোনো কোনো গণমাধ্যম বলছে, কাস্ত্রোর মরদেহ শনিবারই দাহ করা হয়েছে।
দেশব্যাপী শোকযাত্রার সময় সেই ভষ্ম বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাওয়া হবে। আর বিপ্লবের সময় কাস্ত্রোর নেতৃত্বে গেরিলা যোদ্ধারা যে পথে অগ্রসর হয়েছিল, শোকযাত্রাও হবে সেই পথ ধরেই।
ঘোষণা অনুযায়ী, কাস্ত্রোকে সমাহিত করা হবে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর সান্তিয়াগোতে; আগামী ৪ ডিসেম্বর। এর আগে তাঁর দেহাবশেষ নিয়ে হবে চার দিনব্যাপী শোকযাত্রা। ১৯৫৩ সালে কিউবার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর সান্তিয়াগোতেই প্রথম অভ্যুত্থানের চেষ্টা চালান কাস্ত্রো। যদিও তাঁর সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। সফল হন এর ছয় বছর পর; ১৯৫৯ সালে বাতিস্তা সরকারকে হটিয়ে।
কাস্ত্রো স্মরণে নির্মিত বেশ কয়েকটি সৌধ উন্মুক্ত করা হবে আজ। তবে কিউবানরা সবাইকে হাভানার ‘রেভল্যুশন স্কয়ার’-এ জড়ো হতে বলেছে। সেখানে কাস্ত্রোর স্মরণে সমাবেশ হওয়ার কথা। একই স্থানে মঙ্গলবার একটি স্মরণসভাও হওয়ার কথা আছে। তাতে বিভিন্ন দেশের নেতারা যোগ দেবেন।
স্থানীয় সময় গত শুক্রবার রাতে ৯০ বছর বয়সে মৃত্যু হয় বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রোর। ১৯৫৯ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত অর্ধশতাব্দী ধরে কিউবার ক্ষমতায় ছিলেন তিনি। ক্ষমতায় এসেই পুঁজিবাদী যুক্তরাষ্ট্রের নাকের ডগায় বসে সমাজতন্ত্রের সূচনা করেন তিনি। স্লোগান করেন, ‘হয় সমাজতন্ত্র, না হয় মৃত্যু’। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এই স্লোগানই লালন করেছেন তিনি। বিপ্লবী এই নেতাকে অন্তত ৬৩৮ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে সব ষড়যন্ত্র থেকেই বেঁচে যান তিনি। অনেক ষড়যন্ত্রে যুক্তরাষ্ট্রের হাত ছিল।
এএফপি ও বিবিসি অবলম্বনে
EDITOR & PABLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
Executive Editor : M A Malek
UK Correspondent : Moheuddin Alamgir USA Correspondent : Abul Kashem Murshed
Office : Central Market (1st floor),
Bandar Bazar (Court Point),
Sylhet – 3100, Bangladesh.
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01711912127
Design and developed by M-W-D