১৬ই এপ্রিল, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা বৈশাখ, ১৪২৮ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:৫৮ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১৭, ২০১৬
লাল সবুজের পতাকার জন্য একাত্তরের রণাঙ্গণে জীবন বাজি ধরেছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা। পাক হায়েনাদের বুলেট আর কামানকে তুচ্ছ জ্ঞান করে লড়েছেন তারা। তাদের বীরত্বের ফলে মাত্র নয় মাসেই বিশ্বের মানচিত্রে পূর্ব পাকিস্থান নামটি রূপ লাভ করে লাল সবুজের ‘বাংলাদেশ’ নামে। এর আগে এত কম সময়ে কোন দেশ স্বাধীন হতে পারেনি।
রণাঙ্গণে লড়ে যাওয়া সেইসব বীর সেনানীদের অনেকেই আজ মানবেতর দিনযাপন করছেন। জীবন সায়াহ্নে এসে এখনো অনেকে খুঁজে পাননি ভবিষ্যত জীবনের দিশা। তাদের মধ্যে থেকে অস্বচ্ছল ও ভূমিহীন মুক্তিযোদ্ধাদের কথা বিবেচনা করে ২০১৩ সালে শুরু হয় ‘বীর নিবাস’ প্রকল্প। প্রকল্পটির কাজ শেষ হবে আগামী বছরের জুন মাসে।
প্রতিটি বাড়িকে লাল সবুজ রঙে রাঙানো হয়েছে। এসব বাড়ি দূর থেকে দেখলে মনে হবে জাতীয় পতাকা। সারাদেশের অন্যান্য জেলার মতো সিলেটেরও ৬২ মুক্তিযোদ্ধা পেয়েছেন সরকার উপহার হিসেবে নির্মাণ করা রাষ্ট্রীয় বাড়ি। ‘বীর নিবাস’ শিরোনামের রাষ্ট্রের নির্মিত বাড়ীগুলোর নির্মাণ প্রায় শেষের দিকে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) বাস্তবায়নে নির্মিত এসব বাসস্থানে থাকছে- দুটি শয়ন কক্ষ, একটি বসার কক্ষ, একটি রান্না ঘর এবং একটি বারান্দা। সব মিলিয়ে ফ্লোর এরিয়ার আয়তন ৫০০ বর্গফুট। এছাড়া, বাসস্থানের বাইরের দিকে রান্না ঘর সংলগ্ন একটি পাকা উঠান, টিউবওয়েল, টয়লেট, লাইভস্টক-শেড এবং পোল্ট্রি শেডেরও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
এলজিইডি সূত্র জানায়- ‘বীর নিবাস’ প্রকল্পের আওতায় সিলেট জেলায় ৭০টি বাসস্থান নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করলেও এ পর্যন্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে ৬২টির। এর মধ্যে সিলেট সদর ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় তিনটি করে মোট ছয়টি, বালাগঞ্জ ও বিশ্বনাথ উপজেলায় দুটি করে মোট চারটি, দক্ষিণ সুরমায় একটি, কোম্পানীগঞ্জে ৯টি, জৈন্তাপুরে ৮টি, গোয়াইনঘাটে সর্বোচ্চ ১১টি, কানাইঘাটে ৪টি, জকিগঞ্জ ও গোলাপগঞ্জে ৫টি করে মোট দশটি এবং বিয়ানীবাজারে ৯টি রয়েছে।
এরই মধ্যে সিলেট সদর, বালাগঞ্জ, বিশ্বনাথ, দক্ষিণ সুরমা, গোয়াইনঘাট ও কানাইঘাটে সব কটি বীর নিবাসের কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। বাকি উপজেলার নিবাসগুলোর কাজ সত্তর ভাগ শেষ হয়েছে। যেগুলো প্রকল্পের মেয়াদের আগেই নির্মাণ শেষ হয়ে যাবে।
নতুন বসত ঘর পাওয়া গোয়াইনঘাট উপজেলার নন্দিরগাঁও ইউনিয়নের শিয়ালাহাওরের বীর মুক্তিযোদ্ধা কাশেম আলী আবেগ আপ্লুত হয়ে বলেন, ‘মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানায়। এ প্রাপ্তি দেশের গর্বিত বীর সেনাদের উপহার। শেষ বয়সে এ বসতবাড়ি পেয়ে দেশবাসীর কাছে ঋণি হয়ে গেলাম।’
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ডা: আব্দুন নূর জানান, সরকারিভাবে প্রতি ৬০ জন মুক্তিযোদ্ধা অনুপাতে একটি করে বাড়ি নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে।
এলজিইডি সিলেট-এর নির্বাহী প্রকৌশলী স্বপন কান্তি পাল জানান, প্রতিটি নিবাসের প্রাক্কলিত মূল্য ধরা হয়েছে ৯ লাখ ২৫ হাজার ৫৬ টাকা। ২০১৩ সালের জুলাই মাসে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০১৭ সালের জুন মাসে।
এটা ভূমিহীন ও অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উপহার। আর মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বের প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রতিটি বাসগৃহের নাম রাখা হয়েছে ‘বীর নিবাস’-বলে উল্লেখ করেন এই কর্মকর্তা।
EDITOR & PABLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
Executive Editor : M A Malek
UK Correspondent : Moheuddin Alamgir USA Correspondent : Abul Kashem Murshed
Office : Central Market (1st floor),
Bandar Bazar (Court Point),
Sylhet – 3100, Bangladesh.
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01711912127
Design and developed by M-W-D