অডিটরিয়ামের নাম পরিবর্তন করলেন সেনা প্রধান

প্রকাশিত: ৮:২২ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ৩১, ২০১৬

ঢাকা সেনানিবাসের আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল ইনস্টিউট অডিটরিয়াম এর নামকরণ পরিবর্তন করা হয়েছে।

রবিবার সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক এ নামকরণ করেন।

পরিবর্তন করে অডিটরিয়ামের নাম সামরিক চিকিৎসা সার্ভিস মহাপরিদপ্তরের প্রথম মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এম শামসুল হকের নামে করা হয়েছে।

নামকরণ অনুষ্ঠানে পরপরই স্তন ক্যান্সার সচেতনা ও বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে বিজ্ঞানভিত্তিক আলোচনা অনুষ্ঠান বেলুন উড়িয়ে উদ্বোধন করেন সেনা প্রধান।

মেজর জেনারেল এম শামসুল হক ১৯৩১ সালের ১ সেপ্টেম্বর বৃহত্তম কুমিল্লার মতলব থানার সুগন্ধি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৬ সালে তিনি এমবিবিএস পাশ করে একই সালে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। ১৯৭১ সালে তিনি ঢাকা সেনানিবাসের ইস্ট পাকিস্তান এয়ার ফোর্স বেজে কর্মরত ছিলেন।

৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ উপস্থিত থেকে শোনার পর তিনি অনুপ্রাণিত ও প্রত্যয়ী হয়ে উঠেন। ২৬ মার্চের পর ক্যান্টনমেন্ট থেকে পালিয়ে চলে যান গ্রামের বাড়িতে। এপ্রিল মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে রাতের অন্ধকারে আগরতলা যান।

সেখানে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ ও যুদ্ধাহত মুত্তিুযোদ্ধাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। পরবর্তীতে জেনারেল ওসমানী সেনাবাহিনীর জন্য পৃথক মেডিকেল কোর সংগঠিত করতে স্কোয়াড্রন লিডার এম শামসুল হককে দায়িত্ব দেন।

তিনি বাংলাদেশের প্রথম ডিজিএমএস নিযুত্তু হন। বিজয় অর্জিত হওয়ার পর তিনি ২২ ডিসেম্বর দেশে প্রত্যাবর্তন করেন। তিনি ১৯৮২ সালের ৫ এপ্রিল দীর্ঘ প্রায় ১১ বছর ডিজিএমএস এর দায়িত্বে ছিলেন।

১৯৮২ সালের মার্চ থেকে হতে ডিসেম্বর ১৯৯০ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে তিনি স্বাস্থ্য, পরিকল্পনা, সমাজ কল্যাণ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন।

এ মানুষটি গতবছর ২১ নভেম্বর পরলোক গমণ করেন।

এএফএমআই প্রতিষ্ঠার পেছনে মেজর জেনারেল এম শামসুল হক এর অবদান অপরিসীম। তারই স্বীকৃতিস্বরূপ এই এএফএমআই অডিটোরিয়াম এর নামকরণ করা হয়েছে মেজর জেনারেল এম শামসুল হক অডিটোরিয়াম।

ক্যান্সার সারা বিশ্বজুড়ে একটি দূরারোগ্য রোগ, যার অন্যতম হচ্ছে স্তন ক্যান্সার। উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে মহিলাদের এটি অন্যতম প্রধান স্বাস্থ সমস্যা।

প্রতি বছর বাংলাদেশের প্রায় ১৫ হাজার মহিলা আক্রান্ত হন,   মধ্যে প্রায় ৭ হাজার মৃত্যুবরণ করেন।

অক্টোবর মাস জুড়ে সারা বিশ্বে ‘ব্রেস্ট ক্যান্সার এ্যাওয়ারনেস মানথ’ হিসাবে পালিত হচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় সশস্ত্র বাহিনীর পরিবারবর্গের মাঝে স্তন ক্যান্সারের ব্যাপারে সচেতনতা, প্রাথমিক নির্ণয় পদ্ধতি এবং পরিপূর্ণ চিকিৎসার পক্ষে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।