খাবার খেয়েছেন খাদিজা আক্তার নার্গিস

প্রকাশিত: ৪:৫০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৮, ২০১৬

শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা বদরুলের চাপাতির আঘাতে গুরুতর আহত সিলেট সরকারি মহিলা কলেজ ছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিসের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে তাকে খাওয়ার জন্য পুডিং দেয়া হয়। খাদিজার পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন খাদিজাকে হত্যাচেষ্টা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিলেট নগরীর শাহপরান থানার এসআই হারুনুর রশীদ।

তিনি বলেন, মামলা সংক্রান্ত কাজে খাদিজার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলাপ হয়েছে। তার বাবা জানিয়েছেন খাদিজার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তিনি পরিবারের সদস্যদের চিনতে পারছেন।

সকালে তাকে খাবার হিসেবে পুডিং দেয়া হয় বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

তিরি আরো জানান, খাদিজার শরীরে চাপাতির দশটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। হাত, পাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে চাপাতির আঘাত থাকলেও মাথার আঘাতগুলো গুরুতর।

এদিকে আগামী সপ্তাহের প্রথম কার্য দিবসেই মামলার চার্জশিট প্রদান করা হবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, খাদিজার শারীরিক অনুভূতি ফিরে আসছে। তবে এখনো তার বাম-পা ও হাত কাজ করছে না। একইসঙ্গে তার শরীরের বিভিন্ন অংশের ব্যথার অনুভূতি ফিরে এসেছে।

এদিকে সোমবার দুপুরে খাদিজার ডান হাতের অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে। অপারেশনের পর তাকে হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) রাখা হয়।

উল্লেখ্য, ৩ অক্টোবর বিকালে সিলেটের এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে সরকারি মহিলা কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী খাদিজা আক্তার নার্গিসের ওপর হামলা চালায় শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শেষবর্ষের ছাত্র ও শাবি ছাত্রলীগের সহসম্পাদক বদরুল আলম।

এ সময় সে চাপাতি দিয়ে খাদিজার শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপাতে থাকে। এতে খাদিজা মাথা ও পায়ে গুরুতর আঘাত পান। পরে খাদিজার সহপাঠী ও স্থানীয়রা ধাওয়া করে বদরুলকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে।

একই সঙ্গে স্থানীয়রা খাদিজাকে উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে মঙ্গলবার ভোরে খাদিজাকে রাজধানী ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে আনা হয়। বর্তমানে তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়েছে।

ওই ঘটনায় বদরুলকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া খাদিজাকে কোপানোর কথা স্বীকার করে গত বুধবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বদরুল।

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট