জেএমবির মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়া হয়েছে : পুলিশ

প্রকাশিত: ১১:২৭ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৯, ২০১৬

পুলিশ দাবি করেছে একই দিনে পৃথক চারটি জঙ্গিবিরোধী অভিযানে ১২ জঙ্গি মারা যাওয়ার পর জেএমবির নতুন কার্যক্রম তারা প্রায় নিশ্চিহ্ন করে ফেলেছেন।

তাদের দাবি, জেএমবির মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের ঐ কর্মকর্তা বলছেন, গাজীপুরের আস্তানা থেকেই বিভিন্ন জঙ্গি আক্রমনের জন্য কর্মী সরবরাহ করা হতো।

গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার পর নিরাপত্তা বাহিনী বেশ কটি বড় ধরনের জঙ্গিবিরোধী অভিযান চালিয়েছে।

কিন্তু একই দিনে পৃথক চারটি অভিযান এবং এতো বেশি সংখ্যক জঙ্গি নিহত হওয়ার ঘটনা এই প্রথম।

গত শনিবার যে চারটি অভিযান হয়েছে তার দুটি গাজীপুরে, একটি টাঙ্গাইলে ‌এবং একটি আশুলিয়াতে।

কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা এখন আঙুলের ছাপ ও নিহতদের ছবি মিলিয়ে তাদের পরিচয় ও ঠিকানা বের করার চেষ্টা করছেন।

এদের মধ্যে চার জনের নাম আংশিক শনাক্ত করতে পেরেছে পুলিশ। একজনের কথা গতকালই বলা হয়েছে যে, তিনি জেএমবির নেতৃস্থানীয় ফরিদুল ইসলাম ওরফে আকাশ ওরফে প্রভাত।

জেএমবি নতুন করে শক্তি সঞ্চয় করে যেসব তৎপরতা চালাচ্ছিলো, যাকে তারা নব্য জেএমবি বলে আখ্যা দিচ্ছে, তারা ঢাকা বিভাগের অপারেশন কমাণ্ডার ছিলেন এই আকাশ।

গাজীপুরে নিহত আরো দুজনের নাম জানিয়েছে পুলিশ। তারা হলেন সানাউল্লাহ ও ইব্রাহিম।

অভিযানের সময় ছাদ থেকে পড়ে যিনি নিহত হয়েছেন তিনি আব্দুর রহমান। সংগঠনটির প্রধান অর্থ দাতা হিসেবে তাকে চিহ্নিত করছে পুলিশ।

এখনো পর্যন্ত নিহতদের কোনো আত্মীয় স্বজন কোনো মরদেহ শনাক্ত করতে এগিয়ে আসেন নি।

পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, জঙ্গি-বিরোধী অভিযানে নিহতদের বাড়ির ঠিকানা বা আরো বিস্তারিত তথ্য জানা সম্ভব হয়নি।

পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের একজন কর্মকর্তা সানোয়ার হোসেন দাবি করছেন, তারা গুলশান হামলার পর যে অভিযানগুলো চালিয়েছেন তার মধ্যে শনিবারের অভিযানের পর তারা মনে করছেন, জেএমবির নতুন শক্তি ও কার্যক্রম পরিচালনা করার ক্ষমতা প্রায় ধ্বংস করে দিয়েছেন।

পুলিশের দাবি, দলের নেতৃত্বের জায়গাটি একেবারে খালি করে দেওয়া হয়েছে এবং তাদের আর কোনো আক্রমণ করার ক্ষমতা নেই।

শনিবার গাজীপুরের যে দুটো এলাকায় অভিযান চালানো হয়েছিলো সেগুলোকে জঙ্গি আস্তানা বলে আখ্যা দেয়া হলেও পুলিশ এখন সেগুলোকে জঙ্গিদের হিউম্যান রিসোর্স সেন্টার বলে দাবি করছেন।

পুলিশে ধারনা সম্ভবত এখান থেকেই তাদের ঢাকা কেন্দ্রিক কার্যক্রমগুলো পরিচালিত হতো।

পুলিশ বলেছে, জুলাই মাসে কল্যাণপুরে, এরপর আগস্টে নারায়ণগঞ্জ, তারপর আজিমপুর এবং সর্বশেষ গাজীপুর ও টাঙ্গাইলের অভিযানের পর নতুন করে সদস্য সংগ্রহ করে আবার সংগঠিত হতে জেএমবির অনেক সময় লাগবে।

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট