২৯শে নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:৪২ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২৭, ২০১৬
সিলেটে ১১ দিন পেরিয়ে গেলেও তরুণ ব্যবসায়ী করিম বক্স মামুন হত্যাকান্ডে জড়িত এজহারনামীয় আসামি ছাত্রলীগ ক্যাডাররা ধরা পড়েনি। হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করলেও তিনি আদৌ হত্যাকান্ডে জড়িত কিনা- এ নিয়েও দেখা দিয়েছে বিতর্ক। হত্যাকান্ডের মূলহোতা বলে চিহ্নিত সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সুলেমান হোসেন চৌধুরীকে ঘটনার পরপরই আজীবনের জন্য বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। কিন্তু এখনো তিনি রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। ব্যবসায়ী মামুন হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে এবং জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে ব্যবসায়ীরা টানা আন্দোলন-কর্মসূচী চালিয়ে গেলেও টনক নড়ছে না প্রশাসনের।
মোটরসাইকেল পার্কিং নিয়ে বাদানুবাদের জের ধরে গত ১৬ আগস্ট দুপুরে সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারস্থ এ্যালিগেন্ট শপিং সিটির মোবাইল ব্যবসায়ী করিম বক্স মামুনকে উপর্যুপুরি ছুরিকাঘাত করেন ছাত্রলীগ নেতা সুলেমান হোসেন চৌধুরী। এসময় তার সাথে জাবেদ আহমদসহ ৩-৪ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ছিলেন। ঘটনার পর নিহতের বাবা বাদী হয়ে সুলেমান ও জাবেদের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৪-৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। তবে হত্যাকান্ডের ১১ দিন পেরিয়ে গেলেও এজাহারনামীয় কোনো আসামিই ধরা পড়েনি। ছাত্রলীগ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কৃত হওয়ার পরও হত্যাকান্ডের মূল হোতা সুলেমান কোন অদৃশ্য শক্তি বলে পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন- এমন প্রশ্ন তুলছেন ব্যবসায়ীরা।
তরুণ ব্যবসায়ী মামুন হত্যাকান্ডের পরপরই একাট্টা হয়ে আন্দোলনে নামেন ব্যবসায়ীরা। তাদের সেই আন্দোলনে আওয়ামী লীগ, বিএনপিও একাত্মতা পোষণ করে জড়িতদের দ্রæত গ্রেফতারের জন্য প্রশাসনের প্রতি আহবান জানায়। সুলেমান হত্যাকান্ডের পর থেকেই ব্যবসায়ীরা প্রতিবাদ সমাবেশ, মানববন্ধন, ধর্মঘটসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করছেন। জড়িতদের গ্রেফতার করা না হলে সিলেটে হরতালের ডাক দেয়া হবে বলেও হুশিয়ারি দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু আন্দোলন চালিয়ে গেলেও পুলিশ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ছাত্রলীগ ক্যাডারদের গ্রেফতারে আন্তরিক নয় বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের।
মামুনের হত্যাকারীরা গ্রেফতার না হওয়া প্রসঙ্গে সিলেট ব্যবসায়ী স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি এহসানুল হক তাহের বলেন, মামুনের হত্যাকারীরা গ্রেফতার না হওয়ায় আমরা ক্ষুব্দ, ব্যথিত। একইসাথে আমরা শঙ্কিত যে হত্যাকারীরা গ্রেফতার হবে কিনা। মামুনের হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করা না হলে ব্যবসায়ীরা হরতালসহ কঠোর কর্মসূচী দেবেন।
এদিকে ব্যবসায়ী মামুন হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে গত ২১ আগস্ট যুবলীগ নেতা তারেক আহমদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরবর্তীতে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু যেদিন মামুন হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে, সেদিন তারেক ঢাকায় ছিলেন বলে তার ভাই মাহবুব মিঠুর দাবি। তিনি বলেন, তারেক ষড়যন্ত্রের শিকার। যেদিন মামুন খুন হন, সেদিন ব্যবসায়িক কাজে তারেক ঢাকায় ছিলেন।
এদিকে মামুন হত্যা মামলা ডিবিতে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নগরীর কোতোয়ালী থানার ওসি সুহেল আহমদ।
মামুন হত্যা মামলা এবং আসামিরা গ্রেফতার না হওয়া প্রসঙ্গে কথা বলতে মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার রহমত উল্লাহ ফোন দেয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
Office : Central Market (1st floor),
Bandar Bazar (Court Point),
Sylhet – 3100, Bangladesh.
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D