অকাল প্রয়াত সাংবাদিক আবদুর রাহমানের নামাজে জানাজা মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় সিলেট প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সকাল ১০টা ৯ মিনিটের দিকে তার লাশ ডায়াবেটিক হাসপাতালের মরচুয়ারি থেকে প্রেসক্লাবে আনা হলে সেখানে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন অনেক সাংবাদিক। এ সময় সাংবাদিক এবং তার পরিবারের সদস্যদের শান্তনা দেয়ার ভাষা খুঁজে পাওয়া যায়নি।
জানাজার পূর্বে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন-সিলেট প্রেসক্লাব সভাপতি ইকরামুল কবির, সাবেক সভাপতি দৈনিক কালের কণ্ঠের সিলেট ব্যুরো প্রধান আহমেদ নূর, কোম্পানীগঞ্জের এম সাইফুর রহমান কলেজের অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম এবং সাংবাদিক আবদুর রাহমানের চাচা গল্পকার-সাংবাদিক সেলিম আউয়াল। প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে সাংবাদিক রাহমানের কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পন করা হচ্ছে-সিলেটের সকালজানাজায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মুকতাবিস উন নূর ও ইকবাল সিদ্দিকী, সুজন সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী, সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ, মহানগর জামায়াতের আমীর এহসানুল মাহবুব জুবায়ের ও সেক্রেটারী ফখরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলী দুলাল, বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বদরুল ইসলাম শোয়েব, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা দলের আহ্বায়ক সালেহ আহমদ খসরু,  সিনিয়র সাংবাদিক আল আজাদ, চৌধুরী মুমতাজ আহমদ, ও সালাম মশরুর, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বশির উদ্দিন ও মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, সিলেট প্রেসক্লাবের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ রেনুসহ প্রেসক্লাব সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। জানাজায় ইমামতি করেন হাফিজ আসলাম উদ্দিন।

জানাজাশেষে তার লাশ গ্রামের বাড়ি মরদেহ তাঁর গ্রামের বাড়ি বালাগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম গৌরীপুর ইউনিয়নের খুজগীপুর নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় প্রেসক্লাব সদস্য অশ্রুসজল নয়নে তার শবদেহকে বিদায় জানান।  বেলা আড়াইটায় সেখানে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শেষে স্থানীয় গোরস্তানে তাঁকে দাফন করা হবে।
প্রেসক্লাব চত্বরে সাংবাদিক আবদুর রাহমানের প্রথম জানাজা-সিলেটের সকাল সোমবার বিকেল ৪টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান দৈনিক কালের কন্ঠের সিলেট অফিসের নিজস্ব প্রতিবেদক আবদুর রাহমান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল মাত্র ৪০ বছর। তিনি স্ত্রী এবং সাড়ে তিন বছর বয়সী এক কন্যা সন্তানসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
সাংবাদিক আবদুর রাহমান গত ৭-৮ মাস ধরে খাদ্যনালীতে ক্যান্সারে ভুগছিলেন।
আবদুর রাহমান দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সিলেট ব্যুরোতে নিজস্ব প্রতিবেদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এর আগে তিনি স্থানীয় দৈনিক সিলেটের ডাক, দৈনিক জালালাবাদ ও সিলেট প্রতিদিন পত্রিকায় কর্মরত ছিলেন। ২০১৪ সালে তাঁর লেখা ভ্রমনধর্মী বই ‘বিলেতের গ্রাম’ প্রকাশিত হয়।