নবীগঞ্জের বিজনা নদীতে ৯০ মিটার দীর্ঘ সেতু নির্মিত হবে : কেয়া চৌধুরী

প্রকাশিত: ১০:৪৫ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৩, ২০১৬

এমপি কেয়া চৌধুরীর দাবির প্রেক্ষিতে অচিরেই হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জের গোপলা বিজনা নদীর উপরে  প্রায় ৩ থেকে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৯০ মিটার দীর্ঘ ও ৫.৫ প্রস্থ একটি ব্রিজ নির্মাণ কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। এ নদীর এপারে উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের কায়স্থগ্রাম বাজার রাস্তা। মাঝখানে নদী। পরে পূর্ব কায়স্থগ্রাম রাস্তা। ব্রিজটি নির্মাণ হলে খেয়া ছাড়াই সরাসরি প্রায় ১০টি গ্রামের হাজার হাজার লোক নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবে।  এমপি হবার পর এমপি কেয়া চৌধুরী পূর্বকায়স্থগ্রাম পরিদর্শনে যান। এ সময় লোকজন তার কাছে নদীর উপর ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানান।

সম্প্রতি তিনি (এমপি কেয়া চৌধুরী) নৌকাযোগে গোপলা বিজনা নদী পার হয়ে পূর্বকায়স্থ গ্রামে বিদ্যুৎ উদ্বোধন করতে গিয়ে ব্রিজ নির্মাণের আশ্বাস দেন। এলক্ষ্যে তিনি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর কাছে ডিও প্রদান করেন। এ প্রেক্ষিতে ব্রিজ নির্মাণের আশ্বাস পাওয়া যায়। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অর্থে ব্রিজ নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। কায়স্থগ্রাম বাজার রাস্তা হয়ে নদীর উপরদিয়ে ব্রিজ সংযোগ হবে পূর্বকায়স্থ গ্রাম রাস্তায়। নদীর ওপারে গ্রাম ছাড়া রয়েছে বিশাল হাওর। এ হাওরে হাজার হাজার মণ খাদ্যশস্য উৎপাদন হয়। ব্রিজ না থাকায় নদী পারের হাজার হাজার বাসিন্দাকে ফসল ঘরে তুলতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তারসাথে যোগাযোগ করতে নৌকাই তাদের ভরসা। এ অবস্থায় লোকজনের দীর্ঘদিনের দাবী ছিল এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণ করে দেওয়ার জন্য। অবশেষে লোকজনের প্রাণের এ দাবী পূরণ করতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন এমপি কেয়া চৌধুরী। বর্তমানে দাবী বাস্তবায়নের পথে এসে দাড়িয়ে। নদীতে ব্রিজ হবে। স্বপ্ন যেন বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। নদীপারে লোকেরা এ সংবাদ পেয়ে আনন্দে আত্মাহারা। এখন শুধু তারা ব্রিজ নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন।

এমপি কেয়া চৌধুরী বলেন, বর্তমান জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার কথা ও কাজে বিশ্বাসী। দেশজুড়ে চলছে উন্নয়ন। এখানে নবীগঞ্জ-বাহুবলবাসী কেন বাদ যাবে। জননেত্রীর নেতৃত্বে আমি নবীগঞ্জ-বাহুবরে গ্রামে গ্রামে উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করছি। অপেক্ষা করুন। কোন স্থানই উন্নয়ন বঞ্চিত থাকবে না। গোপলা বিজনা নদীর উপরে ৯০ মিটার দৈঘ্য ও ৫.৫ প্রস্থ একটি ব্রিজ নির্মাণ কাজ শুরু হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। এখানে কোন চক্রান্তই কাজে আসবে না। চক্রান্তকারীদের ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

উল্লেখ্য, গত ২৬ শে জুন এমপি কেয়া চৌধুরীর ডিওর ভিত্তিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী জনাব খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নির্দেশে প্রধান প্রকৌশলী এই ব্রীজটিকে (ডিপিপির) অর্ন্তভূক্ত করেছেন। এতে করে বিজনা নদীর উপরে সেতু নির্মানে বিষয়টি প্রায় নিশ্চিত হয়েছে।

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট