২৫শে জানুয়ারি, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই মাঘ, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১:০৫ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৮, ২০১৬
সিলেটের জৈন্তাপুরে অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ে নিয়ে তিন পক্ষের মধ্যে টানাটানি। উপজেলাজুড়ে চলছে নানা আলোচনা ও সমালোচনা। প্রভাবশালী পক্ষ ওই মেয়ের বাল্যবিয়ে দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। আইন প্রয়োগকারী বলেছে আদালত সিদ্ধান্ত দিবে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়- ৮ জুলাই শুক্রবার সন্ধ্যায় বিবাদী জৈন্তাপুর উপজেলার পূর্ব ল²ীপ্রসাদ গ্রামের ফরিদা বেগমের প্রথম বিবাহের মেয়ে জৈন্তা দারুছ-ছুন্নাহ্ জামেয়া ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণির ছাত্রী মাছুমা আক্তার মনি (১৪) নানার বাড়ি পার্শ্ববর্তী গ্রামে যাওয়ার পথে একই উপজেলার লামনীগ্রাম মাছুপাড়া গ্রামের সুনাই মিয়ার ছেলে পলিকুর রহমান (২২) জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। পিতা-মাতার অজান্তে এবং প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় বাল্যবিবাহ সম্পাদন করার পাঁয়তারায় লিপ্ত রয়েছে বলে অভিযোগ। এ নিয়ে ফরিদা বেগম নিজপাট ইউনিয়ন চেয়াম্যানের সুপারিশসহ জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী বরাবর বাল্যবিবাহ বন্ধ এবং মেয়েকে উদ্ধারের জন্য আবেদন করে। যার ডকেট নং-১২৫৪, তারিখ-১৪/০৭/২০১৬।
ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদনটি প্রেরণ করেন। প্রভাবশালী চক্র ছেলের পক্ষালম্বন করে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে উঠে। তারা জোরপূর্বক শামীমাকে বাল্যবিবাহ দিতে মরিয়া হয়ে ওঠে। সেজন্য মেয়ের পিতা গোয়াইনঘাট উপজেলার ওজুহাত গ্রামের জইন উদ্দিনের সহযেগিতা নেয়। ফরিদা বেগমের অভিযোগ ৩ মাসের শিশু সন্তান রেখে জইন উদ্দিন ফরিদা বেগমকে তালাক দেন। এরপর হতে মেয়ের কোন খোঁজ-খবর কিংবা দেখা শুনা করে নাই।
আমার ২য় বিয়ের স্বামী শামীম আহমদ শিশুসন্তানসহ আমাকে বিয়ে করে মাছুমার বরন পোষণসহ এ পর্যন্ত লোখা পড়ার খরচ বহন করে আসছে। প্রভাবশালীরা বিষয়টি ইর্ষান্বিত হয়ে ছেলের পক্ষাবলম্বন করে ফায়দা হাসিলের জন্য ১৩-১৪ বৎসর পর অর্থের বিনিময়ে পূর্বের লম্পট স্বামী জইন উদ্দিনকে নিয়ে আসে। জইন উদ্দিন আমার জীবন ধ্বংস করে এখন অর্থের বিনিময়ে অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েটির জীবন নষ্ট করেত পিতার দাবি নিয়ে সামনে আসে। এদিকে, একই মেয়ের ২ পিতার দাবিদার হওয়ায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সফিউল কবির জানান- আমাদের কাছে অভিযোগে আসার আগেই আদালতের মাধ্যমে মেয়েটির বিয়ে হয়ে গেছে। তারপরও অভিযোগের ভিত্তিতে মেয়েটিকে উদ্ধার করি। বর্তমানে শামীমা আমার থানা হেফাজতে রয়েছে এবং এ বিষয়ে মামলা হবে।
তিনি আরও বলেন- ২ ব্যক্তি শামীমার পিতা দাবিদার হওয়ার নিয়মিত মামলা দেখিয়ে মেয়েটিকে আদালতে কাছে হস্তান্তর করা হবে।
EDITOR & PABLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
Executive Editor : M A Malek
UK Correspondent : Moheuddin Alamgir USA Correspondent : Abul Kashem Murshed
Office : Central Market (1st floor),
Bandar Bazar (Court Point),
Sylhet – 3100, Bangladesh.
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01711912127
Design and developed by M-W-D