শিশুরাই জাতির ভবিষ্যৎ : রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত: ৬:০১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৬, ২০১৯

শিশুরাই জাতির ভবিষ্যৎ : রাষ্ট্রপতি

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, শিশুর পরিপূর্ণ বিকাশ ও অধিকার নিশ্চিত করতে সরকারের পাশাপাশি সমাজের সকল স্তরের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।

সোমবার (৭ অক্টোবর) ‘বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০১৯’ উপলক্ষে রবিবার (৬ অক্টোবর) এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০১৯’ উদ্যাপনের উদ্যোগকে রাষ্ট্রপতি স্বাগত জানান। এ উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল শিশুর প্রতি তিনি আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান।

তিনি বলেন, শিশুরাই জাতির ভবিষ্যৎ। তাদের হাতেই ন্যস্ত হবে আগামী দিনের নেতৃত্ব। তারাই ভবিষ্যতে সমাজ, দেশ ও বিশ্ব পরিচালনায় নেতৃত্ব দেবে। সভ্যতা ও সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে অনন্য উচ্চতায়। এ জন্য তাদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। শিশুরা স্নেহ-মমতা, জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রগতিশীল চিন্তা-চেতনায় সমৃদ্ধ হয়ে গড়ে উঠলে আগামী দিনের বিশ্বে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। বিশ্ব হয়ে উঠবে সুন্দর ও শান্তিময়। বিশ্ব শিশু দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য ‘আজকের শিশু আনবে আলো, বিশ্বটাকে রাখবে ভালো’ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও সময়োপযোগী বলে রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, শিশুদের শারীরিক, মানসিক ও সাংস্কৃতিক বিকাশে পুষ্টি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও বিনোদনের বিকল্প নেই। এগুলো শিশুর অধিকার। বিশ্বের সকল শিশুর অধিকার সংরক্ষণের বিষয়টি উপলব্ধি করে জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ গৃহীত হয়েছে। বাংলাদেশ এ সনদে অনুস্বাক্ষরকারী একটি দেশ।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘ সনদ অনুযায়ী শিশু অধিকার সংরক্ষণ, শিশুর জীবন ও জীবিকা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ প্রদান, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কর্মসূচি পরিচালনাসহ শিশু নির্যাতন বন্ধ, বিশেষ করে কন্যাশিশুদের বৈষম্য বিলোপ সাধনে বিভিন্ন প্রকল্প ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এর পাশাপাশি প্রণয়ন করা হয়েছে জাতীয় শিশুশ্রম নিরসন নীতি-২০১০’, জাতীয় শিশু নীতি ২০১১’ ও ‘শিশু আইন ২০১৩’। এসব কর্মসূচি ও নীতিমালা শিশুর শারীরিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

আবদুল হামিদ বলেন, ‘আমাদের স্বপ্ন শিশুর বাসযোগ্য বিশ্ব বিনির্মাণ। শিশুদের পরিপূর্ণ বিকাশের লক্ষ্যে মৌলিক অধিকার প্রদানের পাশাপাশি তাদের মধ্যে দেশপ্রেম ও মানবিক গুণাবলির উন্মেষ ঘটাতে হবে। আমি আশা করি ‘বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০১৯’ উদ্যাপনে গৃহীত কর্মসূচি শিশুদের পরিপূর্ণ বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’ এ বিষয়ে সরকারের পাশাপাশি সমাজের সকল স্তরের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল শিশু স্নেহমমতা ও নিরাপদে বেড়ে উঠুক – বিশ্ব শিশু দিবসে এ আমার একান্ত প্রত্যাশা।’ বাসস।