২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৪:৪৭ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৯
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন।
পুলিশের দাবি, দুজনই চিহ্নিত ডাকাত। তারা যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার আসামি।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের জামিদুড়া চাইল্ড ফেন্ডলী স্পেস অফিসের পেছনে পাহাড়ে এই ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সৈয়দ হোসেনের ছেলে নেছার আহাম্মদ ওরফে নেছার ডাকাত (২৭) ও একই শিবিরের জমির আহম্মদের ছেলে আব্দুল করিম ওরফে করিম ডাকাত (২৪)।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই দুই রোহিঙ্গা মিয়ানমারের মংডু পুইমালী ও হাইসুরাতা এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। তারা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে এখানে আশ্রয় নিয়েছিল। বন্দুকযুদ্ধের সময় পুলিশের তিন সদস্য এএসআই কাজী সাইফ উদ্দিন, কনষ্টেবল নাবিল ও রবিউল ইসলাম আহত হন।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাস বলেন, জাদিমুরা রোহিঙ্গা শিবিরে চাইল্ড ফেন্ডলী স্পেস অফিসের পেছনে যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার আসামিরা অস্ত্র নিয়ে অবস্থান করছে– এমন খবরের ভিত্তিতে পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়।
তিনি জানান, পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি চালালে আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পিছু হটলে সেখান ওই দুই রোহিঙ্গাকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। তাদের উদ্ধার করে রোহিঙ্গা মাঝি ও স্থানীয়দের মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত করে টেকনাফ হাসপাতালে নেওয়া হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার পাঠানো হলে সেখানে তাদের মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
ওসি জানান, ঘটনাস্থল থেকে দুটি দেশীয় অস্ত্র, ৭ রাউন্ড শটগানের কার্তুজ ও ৯ রাউন্ড কার্তুজের খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত দুই রোহিঙ্গার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
তাদের বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে উল্লেখ করে এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন ওসি প্রদীপ।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শংকর চন্দ্র দেব নাথ বলেন, পুলিশ রাতে গুলিবিদ্ধ দুই রোহিঙ্গাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। দুইজনের শরীরে গুলির চিহ্ন রয়েছে। আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ২৩ আগস্ট দিবাগত রাতে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ জাদিমুরা পাহাড়ের পাদদেশে ওমর ফারুক হত্যার আসামি টেকনাফের জাদিমুরা রোহিঙ্গা শিবিরের বাসিন্দা মো. শাহ ও আবদুর শুক্কুর এবং প্রহেলা সেপ্টেম্বর ওমর ফারুক হত্যা মামলার প্রধান আসামি শীর্ষ রোহিঙ্গা ডাকাত সর্দার নূর মোহাম্মদ নিহত হন।
উল্লেখ্য, টেকনাফের জাদিমুরায় গত ২২ আগস্ট রাতে যুবলীগ নেতা ওমর ফারুককে (৩০) গুলি করে হত্যা করা হয়। তার বড় ভাই ওসমান গণি অভিযোগ করেন, একদল রোহিঙ্গা ডাকাত তার ভাইকে তুলে নিয়ে যায় এবং পাশের একটি পাহাড়ে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
Office : Central Market (1st floor),
Bandar Bazar (Court Point),
Sylhet – 3100, Bangladesh.
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D