লাখো কণ্ঠে এক আওয়াজ বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই

প্রকাশিত: ১২:২৩ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৩, ২০১৯

লাখো কণ্ঠে এক আওয়াজ বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই

বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শোভাযাত্রা জনসমুদ্রে পরিণত ॥ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ত্যাগ স্বীকারের আহবান

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ত্যাগ স্বীকারের মানসিকতায় রাজপথের আন্দোলনে সোচ্চার হওয়ার আহবান জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দলের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল সোমবার বিকালে রাজধানীতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা  (র‌্যালি) পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এই আহবান জানান। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন। শোভাযাত্রা উপলক্ষে দুপুর থেকে নয়া পল্টনের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শোভাযাত্রা শুরু হওয়ার পর এক ঘন্টা নয়া পল্টন, ফকিরাপুল, মালিবাগ, বেইলি রোড, কাকরাইল, বিজয় নগর সড়কে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা যদি বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে চাই, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেবকে যদি দেশে ফিরিয়ে আনতে চাই তাহলে আমাদেরকে অবশ্যই ত্যাগ স্বীকার করে রাজপথে এসে এই  স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে আন্দোলন করতে হবে। আমরা কী রাজি আছি? আমরা অবশ্যই সেই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশনেত্রীকে মুক্ত করবো, গণতন্ত্রকে মুক্ত করব। আসুন শান্তিপূর্ণভাবে এই র‌্যালি অনুষ্ঠান করে আমরা প্রমাণ করি বিএনপি একটি সুশৃঙ্খল দল, বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনবে এবং দেশনেত্রীকে মুক্ত করবে।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র‌্যালিতে জনতার ঢল : বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র‌্যালিতে নেতাকর্মীদের ঢল নামে। রাস্তায় মানুষ আর মানুষ। র‌্যালিটির প্রথম প্রান্ত যখন মালিবাগে পৌঁছায় তখনও র‌্যালির বড় অংশ নয়াপল্টনেই থেকে যায়। র‌্যালির প্রথম ভাগ মালিবাগ মোড়ে পৌঁছালে আরও দূরে যেতে চায় নেতাকর্মীরা। কিন্তু পুলিশ তাদের সেখানেই আটকে দেয়। ফলে মালিবাগ থেকে নেতাকর্মীরা ফিরে আবারও দলের প্রধান কার্যালয়ে নয়াপল্টন ফিরে আসে। এর আগে দুপুর আড়াইটায় র‌্যালি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও দুপুর ১২টা থেকেই আসতে শুরু করেন নেতাকর্মীরা। খন্ড খন্ডভাবে জড়ো হয়ে দলের প্রধান কার্যালয়ের সামনের সড়কে নানা সেøাগান দেন নেতাকর্মীরা। বিকাল তিনটায় নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে এই শোভাযাত্রা নাইটেঙ্গল মোড় দিয়ে শান্তিনগরে এসে শেষ হয়। ততোক্ষণে পুরো এলাকা জনসমুদ্রে রূপ নেয়। দলীয় ও জাতীয় পতাকা, রঙ-বেরঙের ব্যানার-ফেষ্টুন, জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের প্রতিকৃতিসহ নানা বাদ্যযন্ত্র নিয়ে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী এই শোভাযাত্রায় অংশ নেয়। শোভাযাত্রায় মশারী টানিয়ে মহানগর দক্ষিণের নেতা-কর্মীরা এডিস মশা প্রতিরোধে জনসচেতনতার বিষয়টি তুলে ধরে। বিএনপির শোভাযাত্রা দেখতে রাস্তার দুই ধারে দাঁড়ানো পথচারীদের করতালি দিতে দেখা গেছে। মহানগর বিএনপি উত্তর-দক্ষিণ, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মুক্তিযোদ্ধা দল, মহিলা দল, কৃষক দল, মৎস্যজীবী দল, তাঁতী দল, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন, ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন, এগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে ফকিরাপুল থেকে নাইটেঙ্গল রেস্তারাঁ পর্যন্ত গোটা সড়ক জনসমুদ্রে পরিণত হয়। নেতা-কর্মীরা দলীয় পতাকা ও লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে এই শোভাযাত্রায় অংশ নেয়। জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বড় বড় প্রতিকৃতি হাতে ‘শুভ শুভ শুভদিন, বিএনপির জন্মদিন’, ‘স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া, লও লও লও সালাম’, ‘এক জিয়া লোকান্তরে, লক্ষ জিয়া ঘরে ঘরে’, ‘মুক্তি মুক্তি মুক্তি চাই, দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই’, সেøাগান দেয় কর্মী-সমর্থকরা। শোভাযাত্রার সম্মুখভাগ যখন নাইটেঙ্গল মোড়ে তখন মিছিলের শেষ ভাগ ছিলো ফকিরাপুল বাজার পর্যন্ত। র‌্যালি শুরুর আগে পুরো নয়াপল্টন সড়ক ব্যাপক মানুষের উপস্থিতিতে জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
শোভাযাত্রা শুরুর আগে ট্রাকের ওপর দাঁড়িয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এই সরকার জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, এই সরকার আজকে মানুষের বিরুদ্ধে কাজ করছে, জনগণ থেকে তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। দেশনেত্রীকে আটকিয়ে রেখে জনগণকে মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্যাতন করে, হত্যা করে তারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। পৃথিবীর কোনো স্বৈরশাসক এভাবে টিকে থাকতে পারেনি। তাই আজকে বাংলাদেশের সমস্ত মানুষকে জাগ্রত করতে হবে। বিএনপির দায়িত্ব সবচেয়ে বেশি। কারণ বিএনপি হচ্ছে সেই দল, যে দল তৈরি করেছিলেন স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান তিনি এই দলের প্রতিষ্ঠাতা। বাংলাদেশের সমস্ত দেশপ্রেমিক মানুষকে এক করে এই দল তিনি তৈরি করেছিলেন। ৪০ বছরে বিএনপি পাঁচ বার জনগণের ভোটে রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেছে। বিএনপি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ৯ বছর আপোসহীন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আবার গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে এনেছে।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমরা ভারাক্রান্ত মন নিয়ে এই র‌্যালিতে উপস্থিত হয়েছি। আমাদের চেয়ারপারসন তিন তিন বারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া আমাদের সাথে নেই, তিনি কারাগারে বন্দি রয়েছেন। আজকে আমাদের মনে রক্তক্ষরণ, অন্যায়ভাবে তারা নেত্রীকে কারাগারে রেখেছে। সরকারের উদ্দেশ্য হচ্ছে আমাদের নেত্রীকে কারাগারে রেখে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করে অলিখিত বাকশাল প্রতিষ্ঠা করা। আজকে সরকারের সব খেলা শেষ। তারা আমাদেরকে দুর্বল করতে চেয়েছিলো, আমরা দুর্বল নই, আগের থেকে আরো শক্তিশালী দল। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া জেল থেকে এবং আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আগের চেয়ে আমরা শক্তিশালী, জনগণ আমাদের পেছনে আছে। আজকে র‌্যালি প্রমাণ করেছে, দেশের জনগণ দেশনেত্রীর সাথে আছে, বিএনপির সাথে আছে।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, এই সরকার আর আমাদের স্তব্ধ করে রাখতে পারবে না। অনেকে প্রশ্ন করেন দেশনেত্রীর মুক্তি আন্দোলন কখন শুরু হবে? আমি বলতে চাই, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে। এই আন্দোলন আর কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আজকের এই সরকার ২৯ ডিসেম্বর ভোট চুরি করেছে। অনেকে বলে ওরা ভোট ডাকাতি করেছে। আমি বলব, ওরা ভোট ডাকাত নয়, সেই সাহস তাদের নেই। ওরা রাতের অন্ধকারে ভোট চুরি করেছে। তাই চুরি করা ভোটে যারা সরকার গঠন করেছে সেই সরকারকে আমাদের মানার কোনো প্রয়োজন নেই। এই সরকারের পতন ছাড়া বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে না।  আসুন আমরা সরকার পতন আন্দোলনের দিকে যাই। এই সরকার জনগণের নয়, এদের কোনো অধিকার নেই বাংলাদেশের সরকার পরিচালনা করার। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আজকে আমাদের একটি দাবি, সেটা হলো বিএনপি চেয়ারপারসন  বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি। আর এই দাবি আদায় করতে হলে, মিছিলে মিছিলে যোগ দিতে হবে এবং রাজপথ দখল করতে হবে। কারণ বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হলে আন্দোলন ছাড়া দ্বিতীয় কোনো পথ নাই। কারণ বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিতে বাধা সরকার। তাই সরকারের পতন ছাড়া বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে না। তাই আসুন, আমরা সরকার পতনের আন্দোলনে যাই। বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
শোভাযাত্রায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, বরকতউল্লাহ বুলু, মো. শাহজাহান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, মশিউর রহমান, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, আবদুল হাই, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, মাহবুবে রহমান শামীম, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, আবদুল আউয়াল খান, সেলিমুজ্জামান সেলিম, সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন, বেলাল আহমেদ, যুব বিষয়ক সহ-সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিম, শামীমুর রহমান শামীম, স্বাস্থ্য বিষয়ক সহ- সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, ডা. রফিকুল ইসলাম , সহ-জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিমউদ্দিন আলম, সেলিম রেজা হাবিব, শেখ রবিউল আলম রবি, আবু নাসের মুহাম্মাদ রহমাতুল্লাহ, অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরী, আ ক ম মোজ্জামেল হক, সালাহ উদ্দিন ভূইয়া শিশির, ওমর ফারুক শাফিন, রফিক শিকদার, হায়দার আলী লেলিন, মোস্তফা খান সফরী, ড. খন্দকার মারুফ হোসেন, কাজী রফিক, হাসান মামুন, আমিনুল ইসলাম, ফোরকান ই আলম, রাজীব আহসান, আকরামুল হাসান, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি ডা. দেওয়ান মো. সালাউদ্দিন, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি শামসুল আলম তোহা, বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন, নবী উল্লা নবী, হাসান উদ্দিন সরকার, জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নিবর, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোরতাজুল করিম বাদরু, যুগ্ম সাধারণ সম্পদক নূরুল ইসলাম নয়ন, সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সহ-সভাপতি গোলাম সারোয়ার, সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসিন আলী, মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদিকা সুলতানা আহমেদ, সহ-সভাপতি জেবা খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদিকা হেলেন জেরিন খান, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেইন, কৃষক দলের সদস্য সচিব হাসান জাফির তুহিন, যুগ্ম আহবায়ক তকদির হোসেন জসিম, জামাল উদ্দিন খান মিলন, সদস্য আলহাজ খলিলুর রহমান ভিপি ইব্রাহিম, এম জাহাঙ্গীর আলম, তাতী দলের আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ, যুগ্ম আহবায়ক ড. মনিরুজ্জামান মনির, মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক ড.  রফিকুল ইসলাম মাহতাব, যুবদল ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম মিল্টন, যুবদল দক্ষিণের সভাপতি রফিকুল আলম মজনু, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা শাহীন, স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি ফখরুল ইসলাম রবিন, সাধারণ সম্পাদক গাজী রেজওয়ানুল হোসেন রিয়াজ, ঢাকা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল দক্ষিণের সভাপতি এস. এম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম, উত্তরা পশ্চিম থানা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ কামাল পাশা, তুরাগ থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন সোহাগ (রাজা) দক্ষিণ খান থানা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নাজিম দেওয়ানসহ কেন্দ্রীয় নেতারা শোভাযাত্রায় অংশ নেন।
র‌্যালি উপলক্ষে নয়া পল্টনসহ শান্তিনগর পর্যন্ত ব্যাপক পুলিশ ও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনকে মোতায়েন করা হয়। শোভাযাত্রার অগ্রভাবে পুলিশ ও ডিবির সদস্যরা ছিলো। শোভাযাত্রাটি শান্তিনগরের কাছে এসে মোড় ঘুরে নয়া পল্টনের কার্যালয়ে দিকে চলে যায়।